নবী (সা) এর উপর দরূদ পাঠ ও তার ফযীলত
কানযুল উম্মাল – কিতাবুল আযকার থেকে
গ্রন্থস্বত্বঃ দারুস সাআদাত
2138 – “أتاني آت من ربي عز وجل فقال: من صلى عليك من أمتك صلاة كتب الله له بها عشر حسنات ومحى عنه عشر سيئآت ورفع له عشر درجات ورد عليه مثلها”. (حم ص) عن أبي طلحة.
২১৩৮. আমার নিকট আমার প্রতিপালকের একজন দূত আসলো এবং বলল, আপনার উম্মতের যে ব্যক্তিই আপনার প্রতি একবার দরুদ প্রেরণ করবে, আল্লাহ তাআলা তার জন্য দশটি নেকী লিখে দিবেন, দশটি গুনাহ মিটিয়ে দিবেন আর তার দশটি মর্যাদা বাড়িয়ে দিবেন।
2139 – “أكثروا الصلاة علي في الليلة الغراء واليوم الأزهر فإن صلاتكم تعرض علي”. (هب) عن أبي هريرة (عد) عن أنس (ص) عن الحسن وخالد بن معدان مرسلا.
২১৩৯- প্রতি জুমআর রাতে এবং দিনে আমার প্রতি অধিক পরিমাণে দরূদ পাঠ কর। কেননা তোমাদের দরূদ আমার নিকট পেশ করা হয়।
2140 – “أكثروا من الصلاة علي في يوم الجمعة فإنه يوم مشهود تشهده الملائكة، وإن أحدا لن يصلي علي إلا عرضت علي صلاته حتى يفرغ منها”. (هـ) عن أبي الدرداء.
২১৪০. জুমআর দিন আমার উপর অধিক পরিমাণে দরূদ পাঠ কর। কেননা তা ফেরেশতাদের সমবেত হওয়ার দিন। যে ব্যক্তিই আমার উপর দুরূদ পাঠ করে তা থেকে সে বিরত না হওয়া পর্যন্ত তা আমার নিকট পৌঁছতে থাকে।
2141 – “أكثروا من الصلاة علي في كل يوم جمعة فإن صلاة أمتي تعرض علي في كل يوم جمعة، فمن كان أكثرهم علي صلاة كان أقربهم مني منزلة”. (هب) عن أبي أمامة.
২১৪১. প্রত্যেক জুমআর দিন আমার উপর অধিক পরিমাণে দরূদ পাঠ কর। কেননা প্রত্যেক জুমআর দিন আমার উম্মতের দরূদ আমার নিকট পেশ করা হয়। অতএব যে আমার প্রতি বেশী দরুদ প্রেরণকারী হয় সে-ই আমার অধিক নিকটবর্তী হয়।
2142 – “أكثروا من الصلاة علي في يوم الجمعة وليلة الجمعة فمن فعل ذلك كنت له شهيدا وشافعا يوم القيامة”. (هب) عن أنس.
২১৪২. প্রত্যেক জুমআর দিন ও রাতে আমার উপর অধিক পরিমাণে দুরূদ পাঠ কর। যে এমন করবে আমি তার জন্য হাশরের দিন সাক্ষ্য ও সুপারিশকারী হব।
2143 – “أكثروا الصلاة علي فإن صلاتكم علي مغفرة لذنوبكم واطلبوا لي الدرجة والوسيلة فإن وسيلتي عند ربي شفاعة لكم”. (ابن عساكر) عن الحسن بن علي.
২১৪৩. আমার প্রতি অধিক পরিমাণে দুরূদ প্রেরণ কর। কেননা আমার প্রতি তোমাদের দরুদ প্রেরণ তোমার গুনাহ মাফ হওয়ার উপায়। আর আমার জন্য ওসীলার মর্যাদা প্রার্থনা কর। কেননা আমার প্রতিপালকের নিকট আমার মাকামের ওসীলার উপর কৃতকার্য হওয়া তোমাদের জন্য শাফাআতের কারণ হবে।
2144 – “إن أبخل الناس من ذكرت عنده ولم يصل علي”. (الحارث عن عوف بن مالك) .
২১৪৪. লোকদের মধ্যে সবচেয়ে কৃপণ ঐ ব্যক্তি, যার সামনে আমার আলোচনা করা হয় অথচ আমার প্রতি দরুদ প্রেরণ করে না।
2145 – “إن أولى الناس بي يوم القيامة أكثرهم علي صلاة”. (تخ ت حب عن ابن مسعود) .
২১৪৫. কিয়ামতের দিন সে আমার অধিক নিকটবর্তী হবে, যে আমার উপর অধিক পরিমাণে দরুদ পাঠ করে।
2146 – “البخيل من ذكرت عنده فلم يصل علي”. (حم ت ن حب عن الحسن بن علي) .
২১৪৬. লোকদের মধ্যে কৃপণ ঐ ব্যক্তি, যার সামনে আমার আলোচনা করা হয় অথচ সে আমার প্রতি দরুদ পাঠ করে না।
2147 – “حيثما كنتم فصلوا علي فإن صلاتكم تبلغني”. (طب عن الحسن بن علي) .
২১৪৭. তোমরা যেখানেই থাক, আমার প্রতি দরুদ পাঠ কর। কেননা আমার প্রতি তোমাদের দরুদ পাঠ আমার নিকট পৌঁছানো হয়।
2148 – “رغم أنف رجل ذكرت عنده فلم يصل علي ورغم أنف رجل دخل عليه رمضان ثم انسلخ قبل أن يغفر له ورغم، أنف رجل أدرك أبواه عند الكبر ولم يدخلاه الجنة”. (ت ك عن أبي هريرة) .
২১৪৮. আফসোস ঐ ব্যক্তির জন্য, যার সামনে আমার আলোচনা করা হয় অথচ সে আমার প্রতি দরুদ পাঠ করে না। আফসোস ঐ ব্যক্তির জন্য, যে রমজান পেল অথচ তার গুনাহ ক্ষমা করাতে পারল না। আফসোস ঐ ব্যক্তির জন্য, যে তার পিতা-মাতাকে বৃদ্ধাবস্থায় পেল অথচ সে তাদের সেবাযত্ন করে জান্নাতে যেতে পারল না।
2149 – “الصلاة علي نور على الصراط فمن صلى علي يوم الجمعة ثمانين مرة غفرت له ذنوب ثمانين عاما”. (الأزدي في الضعفاء قط في الأفراد عن أبي هريرة) .
২১৪৯. আমার প্রতি দরুদ প্রেরণ পুলসিরাতের উপর নূরস্বরুপ হবে। অতএব যে ব্যক্তি জুমআর দিন আমার প্রতি আশি বার দরূদ পাঠ করবে, তার আশি বৎসরের গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে।
2150 – “قولوا اللهم صل على محمد وعلى آل محمد كما صليت على إبراهيم وعلى آل إبراهيم في العالمين إنك حميد مجيد”. (ق د ن هـ عن كعب بن عجره) .
২১৫০. বল, হে আল্লাহ! মুহাম্মদ ও তার পরিবারের প্রতি দরূদ নাযিল করুন। যেভাবে আপনি ইবরাহীম ও তার পরিবারের প্রতি জগতে দরূদ নাযিল করেছিলেন। নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসিত সম্মানিত
2151 – “كفى به شحا أن أذكر عند رجل فلا يصلي علي”. (ص عن الحسن مرسلا) .
২১৫১. কারো কৃপণ হওয়ার জন্য এটাই যথেষ্ট যে, তার সামনে আমার নাম উচ্চারণ করা হয় অথচ সে আমার প্রতি দরূদ প্রেরণ করে না।
2152 – “إن البخيل كل البخيل من ذكرت عنده فلم يصل علي”. (هب عن أبي هريرة) .
২১৫২. কৃপণদের মধ্যে সবচেয়ে কৃপণ ঐ ব্যক্তি, যার সামনে আমার নাম উচ্চারণ করা হয় অথচ সে আমার প্রতি দরূদ পড়ে না।
2153 – “كل دعاء محجوب حتى يصلى على النبي صلى الله عليه وسلم”. (فرعن أنس) (هب عن علي موقوفا) .
২১৫৩. প্রত্যেক দুআ পর্দাবৃত থাকে, যে পর্যন্ত না নবী (সা) এর প্রতি দরূদ পাঠ করা হয়।
2154 – “ما من عبد من أمتي يصلي علي صلاة صادقا بها من قبل نفسه، إلا صلى الله عليه بها عشر صلوات وكتب له بها عشر حسنات ومحا بها عنه عشر سيئآت”. (حل عن سعيد بن عمير الأنصاري) .
২১৫৪. আমার উম্মতের যে বান্দাই সত্য দিলে আমার প্রদি দরূদ প্রেরণ করে, আল্লাহ তাআলা তার প্রতি দশটি রহমত প্রেরণ করেন। তার জন্য দশটি নেকী লিখে দেন। আর তার দশটি গুনাহ মিটিয়ে দেন।
2155 – “ما من عبد يصلي علي إلا صلت عليه الملائكة ما دام يصلي علي فليقل العبد من ذلك أوليكثر”. (حم هـ والضياء عن عامر بن ربيعة) .
২১৫৫. যখন কোন বান্দা আমার প্রতি দরূদ পাঠ করে তখন ফেরেশতারা তার জন্য দুআ করতে থাকে, যে পর্যন্ত সে আমার প্রতি দরূদ পাঠ করে। এখন বান্দার ইচ্ছা সে কম করুক বা বেশী।