কুরআন তিলাওয়াতের ফযীলত
কানযুল উম্মাল - কিতাবুল আযকার থেকে
গ্রন্থঃ কানযুল উম্মাল
দারুস সাআদাত কর্তৃক অনূদিত
স্বত্ব দারুস সাআদাত
فضائل تلاوة القرآن
কুরআন তিলায়াতের ফযীলত
2257 – “إذا أحب أحدكم أن يحدث ربه فليقرأ القرآن”. (خط فر عن أنس) .
২২৫৭. যে ব্যক্তি তার প্রতিপালকের সাথে কথা বলতে চায় তাহলে সে যেন কুরআন তিলাওয়াতে মগ্ন হয়ে যায়।
খতীব-আত তারীখ, দায়লামী-মুসনাদ আল ফিরদাউ- রিওয়ায়াতঃ আনাস (রা)
2258 – “إذا ختم العبد القرآن صلى عليه عند ختمه ستون ألف ملك”. (فر) عن عمرو بن شعيب.
২২৫৮. বান্দা যখন কুরআন খতম করে তখন খতমে কুরআনের সময় ষাট হাজার ফেরেশতা পাঠকারীর জন্য রহমতের দুআ করে।–
দায়লামী-মুসনাদ আল ফিরদাউস- রিওয়ায়াতঃ আমর বিন শুআইব
2259 – “أشراف أمتي حملة القرآن، وأصحاب القرآن وأصحاب الليل”. (طب هب) عن ابن عباس.
২২৫৯. আমার উম্মতের সম্ভ্রান্ত লোক হল কুরআনের বাহক, কুআনের ধারক ও (নামাযে তিলাওয়াত দ্বারা) রাত্রি জাগরণকারী।–
তাবরানী-কাবীর, বায়হাকী-শুআবুল ইমান
2260 – “أعبد الناس أكثرهم تلاوة للقرآن”. (فر) عن أبي هريرة.
২২৬০. লোকদের মধ্যে সবচেয়ে ইবাদতগুযার ঐ ব্যক্তি, যে সবচেয়ে বেশী কুরআন তিলাওয়াত করে।–
দায়লামী-মুসনাদ আল ফিরদাউস-রিওয়ায়াতঃ আবু হুরায়রা (রা)
2261 – “أغنى الناس حملة القرآن من جعله الله تعالى في جوفه”. (ابن عساكر) عن أبي ذر.
২২৬১. লোকদের মধ্যে সবচেয়ে সমৃদ্ধ ব্যক্তি হল কুরআনের বাহক, যার বুকে আল্লাহ তাআলা কুরআন আবাদ করে দিয়েছেন।
ইবনে আসাকির-রিওয়ায়াতঃ আবু যার
2262 – “أعطوا أعينكم حظها من العبادة النظر في المصحف والتفكر فيه والاعتبار عند عجائبه”. (الحكيم حب) عن أبي سعيد.
২২৬২. চোখকেও ইবাদতের অংশ প্রদান কর। অর্থাৎ কুরআন দেখ আর তার মধ্যে চিন্তা ফিকির কর। আর তার ঘটনাবলী থেকে শিক্ষা গ্রহণ কর।
হাকীম, সহিহ ইবনে হিব্বান- রিওয়ায়াতঃ আবু সাঈদ
2263 – “أفضل العبادة قراءة القرآن”. (ابن قانع) عن أسير بن جابر. (السجزي في الإبانة) عن أنس.
২২৬৩. উত্তম ইবাদত হল কুরআন তিলাওয়াত।
ইবনে কানে- রিওয়ায়াতঃ আসীর বিন জাবের, আস-সিজযী-আল ইবানাহ- রিওয়ায়াতঃ আনাস (রা)
2264 – “أفضل عبادة أمتي تلاوة القرآن”. (هب عن النعمان ابن بشير) .
২২৬৪. আমার উম্মতের সর্বোত্তম ইবাদত হল কুরআন তিলাওয়াত।
শুআবুল ইমান- রিওয়ায়াতঃ নুমান ইবনে বাশীর (রা)
2265 – “أفضل عبادة أمتي قراءة القرآن نظرا”. (الحكيم) عن عبادة بن الصامت.
২২৬৫. আমার উম্মতের সর্বোত্তম ইবাদত হলো দেখে কুরআন পাঠ করা।– হাকীম- রিওয়ায়াতঃ উবাদা ইবনুস সামিত (রা)
2266 – “الماهر بالقرآن مع السفرة البررة والذي يقرأه ويتعتع فيه وهو عليه شاق له أجران”. (ق د هـ) عن عائشة.
২২৬৬. কুরআনে দক্ষ ব্যাক্তি নেককার দূতদের (ফেরেশতাদের) সঙ্গী হবে। আর ঐ ব্যক্তি যে কুরআন আটকে আটকে পাঠ করে এবং কষ্ট স্বীকার করে, তার দ্বিগুণ প্রতিদান লাভ হবে।
বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ- রিওয়ায়াতঃ আয়িশা (রা)
2267 – “الذي يقرأ القرآن وهو ماهر فيه مع السفرة الكرام البررة والذي يقرأه وهو شاق عليه له أجران”. (حم ت) عن عائشة.
২২৬৭. ঐ ব্যক্তি যে কুরআন পাঠ করে আর এতে সে দক্ষ, সে নেককার সম্মানিত লিপিকার ফেরেশতাদের সঙ্গী হবে। আর যে ব্যক্তি কষ্ট সহকারে কুরআন পাঠ করে তার দ্বিগুণ প্রতিদান লাভ হবে।
মুসনাদ আহমদ, তিরমিযী- রিওয়াযাতঃ আয়িশা (রা)
2268 – “لا يخون قارئ القرآن”. (ابن عساكر عن أنس) .
২২৬৮.কুরআনের পাঠক খিয়ানতকারী হওয়া অসম্ভব।
ইবনে আসাকির-রিওয়ায়াতঃ আনাস (রা)
2269 – “تعلموا القرآن واقرؤوه وارقدوا فإن مثل القرآن لمن تعلم فقرأه وقام به كمثل جراب محشو مسكا يفوح ريحه في كل مكان، ومثل من تعلمه فيرقد وهو في جوفه كمثل جراب أوكي على مسك” (ت ن هـ) حب عن أبي هريرة.
২২৭৯. কুরআন শিক্ষা কর, তা পাঠ কর আর শ্রবণ কর। কুরআনের দৃষ্টান্ত এমন, যে ব্যক্তি তা শিখল অতঃপর পাঠ করল, আর তার দ্বারা রাতে নফল নামাযে কিয়াম করল, তার দৃষ্টান্ত মিশকের ঐ থলির মত যার মুখ খোলা। আর তার সুঘ্রাণ পুরো বাড়িতে ছড়িয়ে পড়েছে। আর যে ব্যক্তি কুরআন শিক্ষা করেছে অতঃপর বুকে নিয়েই ঘুমিয়ে পড়েছে তার দৃষ্টান্ত মিশকের ঐ থলির মত যার মুখ বন্ধ।
তিরমিযী, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ রিওয়ায়াতঃ আবু হুরায়রা (রা)
2270 – “اقرؤوا القرآن واعملوا به، ولا تجفوا عنه ولا تغلوا فيه ولا تأكلوا به ولا تستكثروا به” (حم ع طب هب عن عبد الرحمن ابن شبل) .
২২৭০.কুরআন পাঠ কর, আর তার উপর আমল কর, এর থেকে বিমুখ হয়ো না। এর মধ্যে খিয়ানত করো না। এর দ্বারা ভক্ষণ (দুনিয়া লাভ) করো না। আর এর দ্বারা সম্পদ লাভের উপায় করো না।
মুসনাদ আহমদ, মুসনাদ আবু ইয়ালা, তাবরানী-কাবীর শুআবুল ইমান– রিওয়ায়াতঃ আব্দুর রহমান বিন শিবল.
2271 – ” اقرؤوا القرآن، فإن الله تعالى لا يعذب قلبا وعى القرآن”. (تمام عن أبي أمامة) .
২২৭১. কুরআন পাঠ কর, কেননা আল্লাহ ঐ অন্তরকে আযাব দ্বারা একাকার করেন না, যে ব্যক্তি কুরআন ইয়াদ রেখেছে।
তামাম -রিওয়ায়াতঃ আবু উমামা (রা)
2272 – ” إن عدد درج الجنة عدد أي القرآن فمن دخل الجنة ممن قرأ القرآن لم يكن فوقه أحد”. (ابن مردويه) عن عائشة.
২২৭২. জান্নাতের মর্যাদা কুরআনের আয়াতসমূহের সমপরিমাণ। অতএব যে কুরআন পাঠকারী জান্নাতে প্রবেশ করে, তার উপর আর কোন মর্যাদা হবে না।
ইবনে মারদুবিয়াহ রিওয়ায়াতঃ আয়িশা (রা)