মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বাহ – ইমাম ইবনে আবী শায়বাহ

কিতাবুত তাহারাত – পবিত্রতা অধ্যায়

 

দারুস সাআদাত কর্তৃক অনূদিত

স্বত্বঃ দারুস সাআদাত কর্তৃক সংরক্ষিত

المصنف في الأحاديث والآثار

كِتَابُ الطَّهَارَاتِ

আল মুসান্নাফ ফিল আহাদীস ওয়াল আসার

কিতাবুত তাহারাত – পবিত্রতা অধ্যায়

مَا يَقُولُ الرَّجُلُ إِذَا دَخَلَ الْخَلَاءَ

বাথরুমে প্রবেশ করার সময় কি দুআ পড়বে?

1 – عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا دَخَلَ الْخَلَاءَ قَالَ: «أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الْخُبُثِ وَالْخَبَائِثِ»

১.হযরত আনাস বিন মালিক (রা) বলেন, নবী কারীম (সা) বাথরুমে যাওয়ার সময় বলতেন- আমি আল্লাহর আশ্রয় চাই অনিষ্টকারী পুরুষ ও নারী জিন-শয়তান হতে।

2 – عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” إِنَّ هَذِهِ الْحُشُوشَ مَحْتَضَرَةٌ، فَإِذَا دَخَلَ أَحَدُكُمُ الْخَلَاءَ فَلْيَقُلِ: اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بُكَ مِنَ الْخُبْثِ وَالْخَبَائِثِ

২. হযরত যায়েদ বিন আরকাম (রা) থেকে বর্ণিত। নবী কারীম (সা) ইরশাদ করেন। নিশ্চয়ই এই সকল স্থান (বাথরুম) শয়তানদের অবস্থানস্থল। অতএব তোমাদের কেউ যখন বাথরুমে প্রবেশ করে তখন সে যেন এই দুআ পড়ে, হে আল্লাহ আমি আপনার আশ্রয় চাই অনিষ্টকারী পুরুষ ও নারী জিন-শয়তান হতে।

3 – قَالَ عَبْدُ اللَّهِ: ” إِذَا دَخَلْتَ الْغَائِطَ فَأَرَدْتَ التَّكَشُّفَ فَقُلِ: اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الرِّجْسِ النَّجِسِ، وَالْخُبُثِ وَالْخَبَائِثِ، وَالشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ “

৩ হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসুদ বলেন, যখন তোমাদের কেউ বাথরুমে প্রবেশ করে এবং নিজের সতর উন্মুক্ত করতে থাকে তখন সে যেন (মনে মনে) এই দুআ পড়ে, হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট কদর্যতা ও অপবিত্রতা এবং অনিষ্টকারী পুরুষ ও নারী জিন-শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

4 – عَنِ الضَّحَّاكِ، قَالَ: كَانَ حُذَيْفَةُ إِذَا دَخَلَ الْخَلَاءَ، قَالَ: «أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الرِّجْسِ النَّجِسِ، الخَبِيثِ الْمُخْبِثِ، الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ»

৪.হযরত যাহহাক (রহ) বলেন, হযরত হুযায়ফা (রা) যখন বাথরুমে প্রবেশ করতেন তখন এই দুআ পড়তেন, আমি আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাইছি কদর্যতা ও অপবিত্রতা এবং অনিষ্টকারী পুরুষ ও নারী জিন-শয়তান হতে।

5 – عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، كَانَ إِذَا دَخَلَ الْكَنِيفَ قَالَ: «بِسْمِ اللَّهِ، اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْخُبْثِ وَالْخَبَائِثِ»

৫ হযরত আনাস (রা) বলেন, সালাম সালাম বাথরুমে প্রবেশ করতেন তখন বলতেন- বিসমিল্লাহ, হে আল্লাহ আমি আপনার আশ্রয় চাই অনিষ্টকারী পুরুষ ও নারী জিন-শয়তান হতে।

6 – عَنِ الضَّحَّاكِ بن مُزَاحِمٍ قال إِذَا دَخَلْتَ الْخَلَاءَ فَقُلِ: اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الرِّجْسِ النَّجَسِ، الْخَبِيثِ الْمُخْبِثِ، الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ “

৬. যাহহাক বিন মুযাহিম বলেন, তোমাদের কেউ যখন বাথরুমে প্রবেশ করে তখন সে যেন এই দুআ পড়ে হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করি কদর্যতা ও অপবিত্রতা এবং অনিষ্টকারী পুরুষ ও নারী জিন-শয়তান হতে

مَا يَقُولُ إِذَا خَرَجَ مِنَ الْمَخْرَجِ

বাথরুম থেকে বের হয়ে কি দুআ পড়বে

7 – يَقُولُ: دَخَلْتُ عَلَى عَائِشَةَ فَسَمِعْتُهَا تَقُولُ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا خَرَجَ مِنَ الْغَائِطِ، قَالَ: «غُفْرَانَكَ»

৭. হযরত আয়িশা (রা) বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ (সা) বাথরুম থেকে বের হয়ে আসতেন তখন বলতেন, হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি

8 – عَنْ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ: ” أَنَّ نُوحًا النَّبِيَّ كَانَ إِذَا خَرَجَ مِنَ الْغَائِطِ، قَالَ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَذْهَبَ عَنِّي الْأَذَى وَعَافَانِي “

৮. হযরত ইব্রাহীম তাইমী (রহ) বলেন, হযরত নূহ (আ) যখন বাথরুম থেকে বের হয়ে আসতেন তখন বলতেন, সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহর জন্য যিনি আমার থেকে কষ্টদায়ক বস্তু অপসারণ করেছেন এবং আমাকে সুস্থ ও  নিরাপদ করেছেন।

9 – ح أَخْبَرَنَا الْعَوَّامُ، قَالَ: ” حُدِّثْتُ أَنَّ نُوحًا كَانَ يَقُولُ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَذَاقَنِي لَذَّتِهِ، وَأَبْقَى فِيَّ مَنْفَعَتِهِ، وَأَذْهَبَ عَنِّي أَذَاهُ “

৯. হযরত আওয়াম বলেন, অমাদের নিকট বর্ণনা করা হয়েছে যে, হযরত নূহ (আ) বলতেন, সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহর জন্য যিনি খাবারের স্বাদ আস্বাদন করিয়েছেন, উপকারী বস্তু রেখে দিয়েছে এবং অপকারী বস্তু অপসারণ করে দিয়েছেন।  

10 – عَنْ أَبِي عَلِيٍّ، أَنَّ أَبَا ذَرٍّ كَانَ يَقُولُ إِذَا خَرَجَ مِنَ الْخَلَاءِ: «الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَذْهَبَ عَنِّي الْأَذَى وَعَافَانِي»

১০. হযরত আবু আলী বলেন, হযরত আবু যার (রা) যখন বাথরুম থেকে বের হয়ে আসতেন তখন বলতেন- সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের জন্য যিনি আমার থেকে কষ্টদায়ক বস্তু অপসারণ করেছেন এবং আমাকে সুস্থ ও নিরাপদ করেছেন।

11 – عَنِ الضَّحَّاكِ، قَالَ: كَانَ حُذَيْفَةُ يَقُولُ إِذَا خَرَجَ، يَعْنِي مِنَ الْخَلَاءِ: «الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَذْهَبَ عَنِّي الْأَذَى وَعَافَانِي»

১১. হযরত যাহহাক (রহ) বলেন, হযরত হুযায়ফা (রা) যখন বাথরুম থেকে বের হয়ে আসতেন তখন বলতেন- সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের জন্য যিনি আমার থেকে কষ্টদায়ক বস্তু অপসারণ করেছেন এবং আমাকে সুস্থ ও নিরাপদ করেছেন।

12 – عَنْ طَاوُسَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” إِذَا خَرَجَ أَحَدُكُمْ مِنَ الْخَلَاءِ فَلْيَقُلِ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَذْهَبَ عَنِّي مَا يُؤْذِينِي، وَأَمْسَكَ عَلَيَّ مَا يَنْفَعُنِي

১২. হযরত তাউস (রহ) বর্ণনা করেন। রাসূলুল্লাহ (সা) যখন বাথরুমে থেকে বের হতেন তখন বলতেন, সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের জন্য যিনি আমার থেকে কষ্টদায়ক বস্তু দূর করেছেন এবং উপকারী বস্তু রেখে দিয়েছেন।  

13 – عَنِ الْمِنْهَالِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ: كَانَ أَبُو الدَّرْدَاءِ إِذَا خَرَجَ مِنَ الْخَلَاءِ، قَالَ: «الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَمَاطَ عَنِّي الْأَذَى وَعَافَانِي»

১৩. হযরত মিনফাল বিন আমর বলেন, হযরত আবু দারদা (রা) যখন বাথরুম থেকে বের হতেন তখন বলতেন সমস্ত প্রশংসা ঐ আল্লাহ তাআলার জন্য যিনি আমার থেকে কষ্টদায়ক বস্তু দুর করেছেন এবং আমাকে সুস্থ ও নিরাপদ করেছেন।

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button
error: Content is protected !!