আমল ওযীফা
দুুখি দিলো কা সাহারা-মাওলানা বশীর আল ফারুকী-পাকিস্তান
দারুস সাআদাত গ্রন্থ
গ্রন্থঃ দুুখি দিলো কা সাহারা
লেখকঃ দুুখি দিলো কা সাহারা-মাওলানা বশীর আল ফারুকী-পাকিস্তান
অনুবাদঃ দারুস সাআদাত কর্তৃক অনূদিত
স্বত্বঃ দারুস সাআদাত কর্তৃক সংরক্ষিত
পূর্ব প্রকাশিতের পর
ভোরে ঘুম থেকে উঠতে না পারলে
إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ كَانَتْ لَهُمْ جَنَّاتُ الْفِرْدَوْسِ نُزُلًا (107) خَالِدِينَ فِيهَا لَا يَبْغُونَ عَنْهَا حِوَلًا (108) قُلْ لَوْ كَانَ الْبَحْرُ مِدَادًا لِكَلِمَاتِ رَبِّي لَنَفِدَ الْبَحْرُ قَبْلَ أَنْ تَنْفَدَ كَلِمَاتُ رَبِّي وَلَوْ جِئْنَا بِمِثْلِهِ مَدَدًا (109) قُلْ إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ مِثْلُكُمْ يُوحَى إِلَيَّ أَنَّمَا إِلَهُكُمْ إِلَهٌ وَاحِدٌ فَمَنْ كَانَ يَرْجُو لِقَاءَ رَبِّهِ فَلْيَعْمَلْ عَمَلًا صَالِحًا وَلَا يُشْرِكْ بِعِبَادَةِ رَبِّهِ أَحَدًا (110)
রাতে ঘুমানোর পূর্বে ১৬ পারায় সূরা কাহফের শেষ আয়াতগুলো (১০৭-১১০) পাঠ করে শুয়ে পড়ুন। যেখানে রুহানিয়ত- (আধ্যাত্মকিতা, মনের শক্তি, ইমানের শক্তি) লাভ হবে সেখানে ফজরের নামাযের জন্য সহজেই ঘুম ভেঙে যাবে।
বন্ধ্যা মহীলার জন্য আমল
وَالذَّارِيَاتِ ذَرْوًا (1) فَالْحَامِلَاتِ وِقْرًا (2) فَالْجَارِيَاتِ يُسْرًا (3) فَالْمُقَسِّمَاتِ أَمْرًا (4) إِنَّمَا تُوعَدُونَ لَصَادِقٌ (5) وَإِنَّ الدِّينَ لَوَاقِعٌ (6)
গর্ভ হওয়ার জন্য এবং বন্ধ্যাত্ব দূর করার জন্য তিনটি খেজুরের উপর এই আয়াত সূরা আয-যারিয়াত ১-৬ আয়াত পাঠ করে মহীলাকে খাওয়ানো অনেক উপকারী। প্রত্যেক খেজুরের উপর এই আয়াত ১০০ বার পাঠ করে দম করুন এবং এই আমল সাতদিন পর্যন্ত করুন।
বন্ধ্যাত্বর চিকিৎসা
أَوْ كَظُلُمَاتٍ فِي بَحْرٍ لُجِّيٍّ يَغْشَاهُ مَوْجٌ مِنْ فَوْقِهِ مَوْجٌ مِنْ فَوْقِهِ سَحَابٌ ظُلُمَاتٌ بَعْضُهَا فَوْقَ بَعْضٍ إِذَا أَخْرَجَ يَدَهُ لَمْ يَكَدْ يَرَاهَا وَمَنْ لَمْ يَجْعَلِ اللَّهُ لَهُ نُورًا فَمَا لَهُ مِنْ نُورٍ (40)
৪০ টি লং নিয়ে প্রত্যেকটির উপর সূরা নূর আয়াতঃ৪০ সাতবার করে পাঠ করে দম করুন। আর যেদিন মহীলা হায়েযবা মাসিক থেকে পবিত্র হয়ে গোসল করবে সেই দিন থেকে প্রতি রাতে শোওযার পূর্ব একটি করে লং খাওয়া শুরু করবে এবং এর সাথে পানি পান করা থেকে বিরত থাকবে। আর এই ৪০ দিনের মধ্যে স্বামীর সাথে সহবাসও করবে। ইনশাআল্লাহ আল্লাহ চাহে সন্তান হযে যাবে।
অধিক পিপাসা নিবারণের আমল
যার পিপাসা নিবারণ হয় না অথবা বার বার পিপাসা লাগে তার উচিত তিনবার সূরা ওয়াকিয়া পাঠ করে পানিতে দম করে সাত দিন পর্যন্ত পান করা। ইনশাআল্লাহ অধিক পিপাসা নিবারিত হয়ে যাবে।
লু বা গরম হাওয়া লেগে গেলে
إِنَّ الْأَبْرَارَ يَشْرَبُونَ مِنْ كَأْسٍ كَانَ مِزَاجُهَا كَافُورًا (5) عَيْنًا يَشْرَبُ بِهَا عِبَادُ اللَّهِ يُفَجِّرُونَهَا تَفْجِيرًا (6)
যদি কোন ব্যক্তির লু লেগে যায় অথবা পিপাসার রোগী হয়ে যায় তাহলে যদি সূরা দাহর আয়াতঃ৫-৬ গোলাপ পানির মধ্যে ১০৩ বার পাঠ করে রোগীকে পান করিয়ে দেয়া হয়, তাহেল রোগী সুস্থ হয়ে যাবে এবং বিষাক্ত বাতাসের প্রতিক্রয়া শেষ হয়ে যাবে।
বিবাহের প্রতিবন্ধকতা দূর হওয়ার আমল
এশার নামায ও ফজর নামাযের পর সাত বার সরা মুযযাম্মিল অতঃপর একশতবার দরূদ শরীফ পাঠ করে খুব আহাজারী করে দুআ করুন। ইনশাআল্লাহ সফলতা লাভ হবে।
অর্শ রোগ নিরাময়ের জন্য
যদি কারো অর্শ রোগের কষ্ট হয় তাহলে ফজরের সুন্নত নামাযের প্রথম রাকাতে সূরা আলাম নাশরাহ এবং দ্বিতীয় রাকাতে সূরা ফীল পাঠ করুন। ইনশাআল্লাহ নিয়মিত এই আমল করলে অর্শ রোগ থেকে নাজাত মিলে যাবে।
বাচ্চা বড় হতে থাকার পরও কথা না বললে
يُسَبِّحُ لِلَّهِ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ الْمَلِكِ الْقُدُّوسِ الْعَزِيزِ الْحَكِيمِ (1) هُوَ الَّذِي بَعَثَ فِي الْأُمِّيِّينَ رَسُولًا مِنْهُمْ يَتْلُو عَلَيْهِمْ آيَاتِهِ وَيُزَكِّيهِمْ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَإِنْ كَانُوا مِنْ قَبْلُ لَفِي ضَلَالٍ مُبِينٍ (2) وَآخَرِينَ مِنْهُمْ لَمَّا يَلْحَقُوا بِهِمْ وَهُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ (3) ذَلِكَ فَضْلُ اللَّهِ يُؤْتِيهِ مَنْ يَشَاءُ وَاللَّهُ ذُو الْفَضْلِ الْعَظِيمِ (4)
যে বাচ্চা কথা বলার বয়স পার হওয়ার পরও কথা বলতে পারে না, তাহলে সূরা জুমুআর প্রথম চার আয়াত প্রতিদিন ১১ বার ২১ দিন পর্যন্ত পানিতে দম করে পান করান। ইনশাআল্লাহ কথা বলবে।
ঘুম কম হওয়ার চিকিৎসা
وَهُوَ الَّذِي جَعَلَ لَكُمُ اللَّيْلَ لِبَاسًا وَالنَّوْمَ سُبَاتًا وَجَعَلَ النَّهَارَ نُشُورًا (47)
যার রাতে ঘুম আসে না সে সূরা ফুরকানের এইআয়াতঃ৪৭ ৫০০ বার পাঠ করে পানিতে দম করে পান করুন অথবা কেউ পাঠ করে পানিতে দম করে পান করান। সাত দিন পর্যন্ত এই আমল করুন।
তোতলামী শ্বাস উঠা এবং ঘাবড়িয়ে যাওয়ার প্রতিকার
رَبِّ اشْرَحْ لِي صَدْرِي (25) وَيَسِّرْ لِي أَمْرِي (26) وَاحْلُلْ عُقْدَةً مِنْ لِسَانِي (27) يَفْقَهُوا قَوْلِي (28)
যে ব্যক্তি কথাবার্তা বলতে দুর্বল, (কাজ-কর্মে) পেরেশান হয়ে যায়, বা তার মিজাজে ভয় প্রবল হয় অথবা লোকসমাবেশে মন ঘাবড়ায় তাহলে সে প্রতিদিন ফজরের নামাজেরে পর ২১ বার সূরা ত্বাহার এই আয়াতঃ২৫-২৮ পাঠ করে তাহলে এই সমস্যাগুলে দূর হতে থাকবে।
ঘর বাড়ী বা আসবাবপত্রে নযর লাগলে বা লাগা প্রতিরোধে
خَتَمَ اللَّهُ عَلَى قُلُوبِهِمْ وَعَلَى سَمْعِهِمْ وَعَلَى أَبْصَارِهِمْ غِشَاوَةٌ وَلَهُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ (7)
প্রথম পারায় সূরা আল বাকারার আয়াতঃ৭, ৭বার পাঠ করে ঘর বাড়ী আসবাব পত্রে দম করা খুব উপকারী। আর প্রকৃতপক্ষে এই আয়াতটি নযর লাগা প্রতিরোধে দুর্গের মত কাজ করে।
চোখ পিড়পিড় করলে
فَلَا أُقْسِمُ بِالشَّفَقِ (16) وَاللَّيْلِ وَمَا وَسَقَ (17) وَالْقَمَرِ إِذَا اتَّسَقَ (18) لَتَرْكَبُنَّ طَبَقًا عَنْ طَبَقٍ (19) فَمَا لَهُمْ لَا يُؤْمِنُونَ (20)
পারা ৩০ সূরা ইনশিকাক আয়াতঃ ১৬-২০ সাতবার পাঠ করে রোগীকে পান করিয়ে দিন। ইনশাআল্লাহ! রোগ ভাল হয়ে যাবে।
চোখের যাবতীয় রোগ আরোগ্যের জন্য
وَالْعَصْرِ (1) إِنَّ الْإِنْسَانَ لَفِي خُسْرٍ (2) إِلَّا الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ وَتَوَاصَوْا بِالْحَقِّ وَتَوَاصَوْا بِالصَّبْرِ (3)
সূরা আল আসর তিনবার পাঠ করে সুরমার কাঠিতে দম করে সুরমা লাগানোর দ্বারা চোখের যাবতীয় রোগ দূর করে। ১১ দিন পর্যন্ত আমল জারি রাখুন।
চলবে