মাকারিমুল আখলাক- ইমাম তাবরানী (রহ)

দারুস সাআদাত গ্রন্থ

গ্রন্থঃ মাকারিমুল আখলাক

লেখকঃ ইমাম তাবরানী (রহ)

অনুবাদঃ দারুস সাআদাত কর্তৃক অনূদিত

স্বত্বঃ দারুস সাআদাত কর্তৃক সংরক্ষিত, বিনানুমতিতে কপি করা, মূদ্রণ করা বা এপে ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয়। কেউ করলে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।

Pdf এর জন্য কল করুন অথবা whatsapp করুন এই নং এ 01961810343

مَكَارِمُ الْأَخْلَاقِ لِلطَّبَرَانِيِّ
رَبِّ يَسِّرِ الْخَيْرَ، وَاخْتِمْ بِخَيْرٍ لَنَا بِهِ وَلِلْمُسْلِمِينَ آمِينَ
মাকারিমুল আখলাক
(প্রশংসনীয় চরিত্র ও গুণাবলী)
ইমাম তাবরানী (রহ)

بَابُ مَا جَاءَ فِي حُسْنِ الْخُلُقِ
পরিচ্ছেদঃ উত্তম চরিত্রর ফযীলত
2 -عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ الرَّجُلَ لَيَبْلُغُ بِحُسْنِ خُلُقِهِ دَرَجَةَ الصَّائِمِ الْقَائِمِ، وَإِنَّ الرَّجُلَ لَيُكْتَبُ جَبَّارًا وَمَا هَلَكَ إِلَّا أَهْلُ بَيْتِهِ»
২. আলী (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন- নিশ্চয়ই কোন ব্যক্তি উত্তম চরিত্রের দ্বারা দিনে রোযা এবং রাতে নামায পড়ার মর্যাদা লাভ করে। আবার কখনো কোন ব্যক্তীকে অহংকারী লিখে দেয়া হয় যদিও সে তার পরিবার ব্যতীত আর কিছুর উপর ক্ষমতাবান নয়।
3 – عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ الرَّجُلَ لَيُدْرِكُ بِحُسْنِ خُلُقِهِ دَرَجَةَ السَّاهِرِ بِاللَّيْلِ الظَّامِئِ بِالْهَوَاجِرِ»
৩.আয়িশা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন- বান্দা উত্তম চরিত্রের দ্বারা রাতে তাহাজ্জুদ এবং দিনে রোযা রাখার মর্যাদা লাভ করে।
4 – عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا مِنْ شَيْءٍ أَثْقَلُ فِي الْمِيزَانِ مِنَ حُسْنِ الْخُلُقِ»
৪.আবু দারদা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন- মীযানে উত্তম চরিত্রের চাইতে বেশী ওজনদার আর কিছুই নেই।
5 – عَنْ جَابِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَلَا أُخْبِرُكُمْ بِخِيَارِكُمْ؟» ، قَالُوا: بَلَى قَالَ: «أَحْسَنُكُمْ أَخْلَاقًا»
৫.জাবির (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন- আমি কি তোমাদেরকে সবচেয়ে উত্তম ব্যক্তি সম্পর্কে বলব না? আমরা বললাম, অবশ্যই। তিনি (সা) বললেন, সে হলো ঐ ব্যক্তি, যে তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে উত্তম চরিত্রের অধিকারী।
6 – عَنْ جَابِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ أَحَبَّكُمْ إِلَيَّ وَأَقْرَبَكُمْ مِنِّي مَجْلِسًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَحَاسِنُكُمْ أَخْلَاقًا، الْمُوَطَّئُونَ أَكْنَافًا، الَّذِينَ يَأْلَفُونَ وَيُؤْلَفُونَ، وَإِنَّ أَبْغَضَكُمْ إِلَيَّ وَأَبْعَدَكُمْ مِنِّي مَجْلِسًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ الثَّرْثَارُونَ، الْمُتَشَدِّقُونِ، الْمُتَفَيْهِقُونَ»
৬. জাবির (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন- কিয়ামতের দিন আমার মজলিসে ঐ ব্যক্তি আমার সবচেয়ে পছন্দনীয় ও নিকটবর্তী হবে, যে উত্তম চরিত্রের অধিকারী ও বিনয়ী হবে। সে লোকজনকে পছন্দ করে আর লোকজন তাকে পছন্দ করে। আর আমার মজলিসে আমার থেকে সবচেয়ে দূরে ঐ ব্যক্তি হবে, যে অধিক কথা বলে, বক বক করে এবং অহংকারী হয়।
7 – عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” يَقُولُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ: أَنَا خَلَقْتُ الْعِبَادَ بِعِلْمِي، فَمَنْ أَرَدْتُ بِهِ خَيْرًا مَنَحْتُهُ خُلُقًا حَسَنًا، وَمَنْ أَرَدْتُ بِهِ شَرًّا مَنَحْتُهُ خُلُقًا سَيِّئًا “
৭. .আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন। মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, আমি বান্দাদেরকে আমার জ্ঞান থেকে সৃষ্টি করেছি। অতএব যার জন্য আমি কল্যাণের ইচ্ছা করি তাকে উত্তম চরিত্র দান করি। আর যার জন্য অকল্যাণের ইচ্ছা করি তাকে মন্দ চরিত্র দান করি।
8 – عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ أَحْسَنَ النَّاسِ إِسْلَامًا أَحْسَنُهُمْ خُلُقًا»
৮.জাবির বিন সামুরা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন- মানুষের মধ্যে ইসলামে সবেচেয়ে উত্তম ঐ ব্যক্তি যার চরিত্র সবচাইতে উত্তম।
9 – عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ: عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «أَكْمَلُ الْمُؤْمِنِينَ إِيمَانًا أَحْسَنُهُمْ خُلُقًا»
৯.আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন- পরিপূর্ণ ইমানদার ঐ ব্যক্তি যার চরিত্র সবচাইতে উত্তম।
10 – عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا حَسَّنَ اللَّهُ خَلْقَ رَجُلٍ وَخُلُقَهُ، فَيُطْعِمَهُ النَّارَ»
১০.আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন- আল্লাহ তাআলা যার সীরাত (স্বভাব–চরিত্র) ও সুরত (চেহার-অবয়ব) সুন্দর করেছেন তাকে দোযখের আগুন ভক্ষণ করবে না।
11 – عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «حُسْنُ الْخُلُقِ يُذِيبُ الْخَطِيئَةَ كَمَا تُذِيبُ الشَّمْسُ الْجَلِيدَ»
১১.আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন- উত্তম চরিত্র গুনাহকে এমনভাবে মিটিয়ে দেয় যেভাবে সূর্যের তাপ বরফ গলিয়ে দেয়।
12 – عَنْ أُسَامَةَ بْنِ شَرِيكٍ قَالَ: قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا خَيْرُ مَا أُعْطِيَ النَّاسُ؟ قَالَ: «إِنَّ النَّاسَ لَمْ يُعْطَوْا شَيْئًا خَيْرًا مِنْ خُلُقٍ حَسَنٍ»
১২.উসামাহ বিন শারীক (রা) থেকে বর্ণিত। সাহাবীগণ রাসূলূল্লাহ (সা)-কে জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! মানুষকে সবচেয়ে উত্তম জিনিস কোনটি দেয়া হয়েছে? তিনি (সা) বললেন, মানুষেকে সুন্দর স্বভাব- চরিত্রের চাইতে উত্তম কোন কিছু প্রদান করা হয়নি।
13 – عَنْ أَبِي ذَرٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اتَّقِ اللَّهَ حَيْثُمَا كُنْتَ، وَأَتْبِعِ السَّيِّئَةَ الْحَسَنَةَ تَمْحُهَا، وَخَالِقِ النَّاسَ بِخُلُقٍ حَسَنٍ»
১৩. আবু যার গিফারী (রা) বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমকে নবী (সা) নসীহত করেছেন যে, তুমি যেখানেই থাক আল্লাহকে ভয় কর। আর যখনই কোন গুনাহ হয়ে যায় সাথে সাথেই কোন নেককাজ করে নাও যাতে ঐ নেককাজ ঐ গুনাহকে মিটিয়ে দেয়। আর মানুষের সাথে উত্তম চরিত্র নিয়ে মেলামেশা কর।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button
error: Content is protected !!