৪০ হাদীস – নিয়ত ইখলাস ও আন্তরিকতা
দারুস সাআদাত গ্রন্থ
গ্রন্থঃ আরবাঈন- ৪০ হাদীস সংকলন
দারুস সাআদাত কর্তৃক সংকলিত
স্বত্বঃ দারুস সাআদাত কর্তৃক সংরক্ষিত, বিনানুমতিতে কপি করা, মূদ্রণ করা বা এপে ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয়। কেউ করলে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।
আরবাঈন- ৪০ হাদীস সংকলন
নিয়ত ইখলাস ও আন্তরিকতা
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ
نَحْمَدُه وَنُصَلِّ عَلٰى رَسُوْلِهِ الْكَرِيْمِ
[১]إِنَّمَا الأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ
নিশ্চয়ই আমলের প্রতিদান তার নিয়ত অনুযায়ী হয়।
وَإِنَّمَا لِكُلِّ امْرِئٍ مَا نَوَى
আর মানুষ যেমন নিয়ত করে তেমন প্রতিদানই সে পায়।
সহিহ- উমর (রা) বর্ণিত, সহিহ বুখারী ১।
[২] لاَ هِجْرَةَ وَلَكِنْ جِهَادٌ وَنِيَّةٌ
মক্কা বিজয়ের পর হিজরত নেই, তবে জিহাদ ও নিয়ত বাকী রয়েছে।
সহিহ- আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) বর্ণিত, সহিহ বুখারী ৩০৭৭।
[৩] إِنَّمَا يُبْعَثُ النَّاسُ عَلَى نِيَّاتِهِمْ
মানুষ তার নিয়ত অনুযায়ী পূণরুত্থিত হবে।
সহিহ- আবু হুরায়রা (রা) বর্ণিত, সুনান ইবনে মাজাহ ৪২২৯।
[৪] إِنَّ اللهَ كَتَبَ الْحَسَنَاتِ وَالسَّيِّئَاتِ
আল্লাহ তাআলা যাবতীয় সৎ ও অসৎকর্মের হিসাব লিখেন।
সহিহ- ইবনে আব্বাস (রা) বর্ণিত, সহিহ বুখারী ৬৪৯১।
[৫] مَنْ هَمَّ بِحَسَنَةٍ فَلَمْ يَعْمَلْهَا، كُتِبَتْ لَهُ حَسَنَةً
যে ব্যক্তি কোন নেক কাজের ইচ্ছা করে আর তা কাজে পরিণত করতে পারে না, তার জন্য একটি নেকী লিখে দেয়া হয়।
সহিহ- আবু হুরায়রা (রা) বর্ণিত, সহিহ মুসলিম ১৩০।
[৬] إِنَّ اللهَ لَا يَنْظُرُ إِلَى أَجْسَادِكُمْ، وَلَا إِلَى صُوَرِكُمْ، وَلَكِنْ يَنْظُرُ إِلَى قُلُوبِكُمْ
আল্লাহ তাআলা তোমাদের শরীর ও চেহারার দিকে দেখেন না, তিনি দেখেন তোমাদের অন্তর।
সহিহ- আবু হুরায়রা (রা) বর্ণিত, সহিহ মুসলিম ২৫৬৪।
[৭] رُبَّ صَائِمٍ لَيْسَ لَهُ مِنْ صِيَامِهِ إِلَّا الْجُوعُ
অনেক রোযাদার এমন রয়েছে যাদের রোযা কেবল ক্ষুধার্ত থাকাই।
وَرُبَّ قَائِمٍ لَيْسَ لَهُ مِنْ قِيَامِهِ إِلَّا السَّهَرُ
আর অনেক সালাত আদায়কারী রয়েছে যাদের সালাত কেবল রাত্রি জাগরণ ছাড়া আর কিছুই নয়।
সহিহ- আবু হরায়রা (রা) বর্ণিত, সুনান ইবনে মাজাহ ১৬৯০।
[৮] مَنْ طَلَبَ الشَّهَادَةَ صَادِقًا، أُعْطِيَهَا، وَلَوْ لَمْ تُصِبْهُ
যে ব্যক্তি নিষ্ঠার সাথে শাহাদাতের আকাঙ্ক্ষা করে আল্লাহ তাকে তা দিয়ে থাকেন যদিও সে শাহাদাত লাভের সুযোগ না পায়।
সহিহ- আনাস (রা) বর্ণিত, সহিহ মুসলিম ১৯০৮।
[৯] مَنْ سَأَلَ اللهَ الشَّهَادَةَ بِصِدْقٍ، بَلَّغَهُ اللهُ مَنَازِلَ الشُّهَدَاءِ، وَإِنْ مَاتَ عَلَى فِرَاشِهِ
যে ব্যক্তি সত্য অন্তর নিয়ে আল্লাহর নিকট শাহাদাত প্রার্থনা করবে, আল্লাহ তাকে শহীদের মর্যাদায় পৌঁছাবেন, যদিও সে নিজ বিছানায় মৃত্যুবরণ করে।
সহিহ- সাহল বিন আবু উমামা (রা) বর্ণিত, সহিহ মুসলিম ১৯০৯।
[১০] لَا يَسْتَقِيمُ إِيمَانُ عَبْدٍ حَتَّى يَسْتَقِيمَ قَلْبُهُ
কোন বান্দার ইমান ঠিক হতে পারে না, যে পর্যন্ত না তার অন্তর ঠিক হবে।
وَلَا يَسْتَقِيمُ قَلْبُهُ حَتَّى يَسْتَقِيمَ لِسَانُهُ
আর তার অন্তর ঠিক হবে না ঐ পর্যন্ত, যে পর্যন্ত না তার যবান ঠিক হবে।
সহিহ- আনাস (রা) বর্ণিত, মুসনাদ আহমদ ১৩০৪৮।
[১১] إِنَّكَ لَنْ تُنْفِقَ نَفَقَةً تَبْتَغِي بِهَا وَجْهَ اللَّهِ إِلَّا أُجِرْتَ عَلَيْهَا،
তুমি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় যা-ই খরচ কর না কেন, তোমাকে তার প্রতিদান দেওয়া হবে।
حَتَّى مَا تَجْعَلُ فِي فَمِ امْرَأَتِكَ
এমনকি তুমি তোমার স্ত্রীর মুখে যা তুলে দাও, তারও।
সহিহ- সাদ ইবনে আবী ওয়াক্কাস (রা) বর্ণিত, সহিহ বুখারী ৫৬।
[১২] مَا الْإِيمَان قَالَ الْإِخْلَاص
ইমান কি? তিনি (সা) বললেন, ইখলাস (কথায় ও কাজে নিষ্ঠা)।
সহিহ- আবু ফিরাস (রা) বর্ণিত, শুআবুল ইমান ৬৪৪১।
[১৩] إِنَّ اللهَ لَا يَقْبَلُ مِنَ الْعَمَلِ إِلَّا مَا كَانَ لَهُ خَالِصًا وَابْتُغِيَ بِهِ وَجْهُهُ
আল্লাহর সন্তোষ লাভ ও নিষ্ঠা ব্যতীত আমল আল্লাহ কবুল করেন না।
সহিহ- আবু উমামা (রা) বর্ণিত, সুনান আন-নাসাঈ, হাদীস ৩১৪০।
[১৪] الدُّنْيَا مَلْعُونَةُ، مَلْعُونٌ مَا فِيهَا إِلَّا مَا ابْتُغِيَ بِهِ وَجْهُ اللَّهِ
দুনিয়া এবং এর মধ্যে যা আছে সব অভিশপ্ত, একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে যা করা হয় তা ব্যতীত।
হাসান- আবু দারদা (রা) বর্ণিত, তাবরানী- মুসনাদ আশ-শামিয়ীন ৬১২।
[১৫] إِنَّمَا يَنْصُرُ اللَّهُ هَذِهِ الْأُمَّةَ بِضَعِيفِهَا، بِدَعْوَتِهِمْ وَصَلَاتِهِمْ وَإِخْلَاصِهِمْ
আল্লাহ তাআলা এই উম্মতকে তাদের দুর্বলদের দুআ, সালাত এবং নিষ্ঠার কারণে সাহায্য করেন।
সহিহ- মুসআব ইবনে সাদ (রা) বর্ণিত, সুনান আন-নাসাঈ হাদীস ৩১৭৮।
[১৬] فَمَنْ عَمِلَ مِنْهُمْ عَمَلَ الْآخِرَةِ لِلدُّنْيَا، لَمْ يَكُنْ لَهُ فِي الْآخِرَةِ نَصِيبٌ
যে ব্যক্তি আখিরাতের আমল দ্বারা দুনিয়া অর্জন করবে তার জন্য আখিরাতে কোন অংশ নাই।
সহিহ- উবাই ইবনে কাব (রা) বর্ণিত, মুসনাদ আহমদ ২১২২০।
[১৭] مَنْ قَامَ مَقَامَ رِيَاءٍ وَسُمْعَةٍ رَاءَى اللهُ بِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَسَمَّعَ
যে ব্যক্তি রিয়াকারী করবে তথা লোককে দেখানো বা শোনানের উদ্দেশ্যে কোন কাজ করবে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাকে রিয়াকার হিসাবেই উত্থিত করবেন।
সহিহ- আবু হিন্দ আদ দারী (রা) বর্ণিত, মুসনাদ আহমদ ২২৩২২।
[১৮] مَنْ سَمَّعَ النَّاسَ بِعَمَلِهِ سَمَّعَ اللهُ بِهِ سَامِعَ خَلْقِهِ، وحَقَّرَهُ وصَغَّرَهُ
যে ব্যক্তি কাউকে শোনানের উদ্দেশ্যে কোন আমল করবে, আল্লাহ তা মানুষেকে শুনিয়ে দিবেন, তবে তাকে হীন ও অপদস্থ করে দিবেন।
সহিহ- আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা) বর্ণিত, মুসনাদ আহমদ ৬৫০৯।
[১৯] مَنْ سَمَّعَ سَمَّعَ اللَّهُ بِهِ، وَمَنْ يُرَائِي يُرَائِي اللَّهُ بِهِ
যে ব্যক্তি শোনানের উদ্দেশ্যে কোন আমল করবে আল্লাহ তা শুনিয়ে দিবেন, আর যে দেখানোর উদ্দশ্যে আমল করবে আল্লাহ তা দেখিয়ে দিবেন।
সহিহ- জুনদুব ইবনে আব্দুল্লাহ (রা) বর্ণিত, সহিহ বুখারী ৬৪৯৯।
[২০] يَقُومُ الرَّجُلُ فَيُصَلِّي فَيُزَيِّنُ صَلَاتَهُ جَاهِدًا
কোন ব্যক্তি নামাযে দাড়ায় অতঃপর তা সুন্দর করার চেষ্টা করে,
لِمَا يَرَى مِنْ نَظَرِ النَّاسِ إِلَيْهِ، فَذَلِكَ شِرْكُ السَّرَائِرِ
যেন লোকেরা তাকে দেখে, এটাই গোপন শিরক।
হাসান- মাহমুদ ইবনে লাবীদ (রা) বর্ণিত, সহিহ ইবনে খুযায়মাহ ৯৩৭।
[২১] فَمَنْ عَمِلَ لِي عَمَلًا أَشْرَكَ فِيهِ غَيْرِي، فَأَنَا مِنْهُ بَرِيءٌ
(আল্লাহ তাআলা বলেন) যে ব্যক্তি আমার জন্য কোন আমল করে, আর তাতে অন্য কাউকে শরীক করে, তাহলে আমি তার দায়িত্বমুক্ত।
সহিহ- হযরত আবু হুরায়রা (রা) বর্ণিত, সুনান ইবনে মাজাহ ৪২০২।
[২২] اصْدُقُوا إِذَا حَدَّثْتُمْ
যখন তোমরা কথা বলবে, সত্য বলবে।
হাসান- উবাদাহ ইবনে সামিত (রা) বর্ণিত, মুসনাদ আহমদ ২২৭৫৭।
[২৩] إِنَّ الصِّدْقَ يَهْدِي إِلَى البِرِّ، وَإِنَّ البِرَّ يَهْدِي إِلَى الجَنَّةِ
নিশ্চয়ই সত্য পূণ্যর পথ দেখায় এবং পূণ্য জান্নাতের দিকে নিয়ে যায়।
সহিহ- ইবনে মাসউদ (রা) বর্ণিত, সহিহ বুখারী ৬০৯৪।
[২৪] عَلَيْكُمْ بِالصِّدْقِ، فَإِنَّهُ مَعَ الْبِرِّ وَهُمَا فِي الْجَنَّةِ
তোমরা সত্যবাদীতাকে আঁকড়ে ধর, কেননা তা পূণ্যের সঙ্গী। আর এ দুটির অবস্থান জান্নাতে।
সহিহ- আবু বকর (রা) বর্ণিত, সুনান ইবনে মাজাহ ৩৮৪৯।
[২৫] دَعْ مَا يَرِيبُكَ إِلَى مَا لَا يَرِيبُكَ
তোমার যাতে সন্দেহ রয়েছে তা পরিত্যাগ করে যাতে সন্দেহ নেই তার দিকে তুমি যাবে।
فَإِنَّ الصِّدْقَ طُمَأْنِينَةٌ وَإِنَّ الْكَذِبُ رِيبَةٌ
কারণ সত্য হলো শান্তি-স্বস্তি আর মিথ্যা হলো দ্বিধা-সন্দেহ।
সহিহ- হযরত হাসান (রা) বর্ণিত, সুনান আত তিরমিযী ২৫১৮।
[২৬] الْبِرُّ مَا سَكَنَتْ إِلَيْهِ النَّفْسُ، وَاطْمَأَنَّ إِلَيْهِ الْقَلْبُ
পূণ্য হলো ঐ কাজ যাতে মন স্থির ও প্রশান্ত হয়।
وَالْإِثْمُ مَا لَمْ تَسْكُنْ إِلَيْهِ النَّفْسُ، وَلَمْ يَطْمَئِنَّ إِلَيْهِ الْقَلْبُ
আর পাপ হলো ঐ কাজ যার প্রতি মন স্থির ও প্রশান্ত হয় না।
وَإِنْ أَفْتَاكَ الْمُفْتُونَ
আর মানুষ যেমনই বলুক না কেন।
সহিহ- আবু সালাবা খুশানী (রা) বর্ণিত, মুসনাদে আহমদ ১৭৭৪৩।
[২৭] يَا أَيُّهَا النَّاسُ، قُولُوا قَوْلَكُمْ، فَإِنَّمَا تَشْقِيقُ الْكَلَامِ مِنَ الشَّيْطَانِ
হে লোকসকল! কথা সরলভাবে বলবে, কেননা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কথা বলা শয়তানের কাজ।
সহিহ- যায়দ ইবনে আসলাম (রা) বর্ণিত, আল আদাবুল মুফরাদ ৮৭৫।
[২৮] إِنَّ كَثْرَةَ الْكَلَامِ فِي الْخُطَبِ مِنْ شَقَاشِقِ الشَّيْطَانِ
বক্তৃতায় অধীক কথা বলা হচ্ছে শয়তানের কাজ।
সহিহ- আনাস (রা) বর্ণিত, আল আদাবুল মুফরাদ:৮৭৬।
[২৯] هَلَكَ الْمُتَنَطِّعُونَ
কথায় অতিরঞ্জনকারীরা ধ্বংস হয়েছে।
সহিহ- ইবনে মাসউদ (রা) বর্ণিত, সহিহ মুসলিম ২৬৭০।
[৩০] إِنَّ مِنَ الْبَيَانِ سِحْرًا، وَإِنَّ مِنَ الشِّعْرِ حِكْمَةً
কোন কান কথায় যাদুকরী প্রভাব থাকে। আর কোন কোন কবিতা হয় প্রজ্ঞাপূর্ণ।
সহিহ- ইবনে আব্বাস (রা) বর্ণিত, আল আদাবুল মুফরাদ:৮৭২।
[৩১] الْحَيَاءُ وَالْعِيُّ شُعْبَتَانِ مِنَ الْإِيمَانِ
লজ্জা ও কম কথা বলা ইমানের দুটি শাখা
وَالْبَذَاءُ وَالْبَيَانُ شُعْبَتَانِ مِنَ النِّفَاقِ
আর অশ্লিল ও অপ্রয়োজনীয় কথা বলা মুনাফিকীর দুটি শাখা।
সহিহ- আবু উমামাহ (রা) বর্ণিত, সুনান আত তিরমিযী ২০২৭।
[৩২] لَيْسَ الكَذَّابُ الَّذِي يُصْلِحُ بَيْنَ النَّاسِ، فَيَنْمِي خَيْرًا، أَوْ يَقُولُ خَيْرًا
সে ব্যক্তি মিথ্যাবাদী নয়, যে মানুষের মধ্যে মীমাংসা করার জন্য ভালো কথা পৌঁছে দেয় কিংবা ভালো কথা বলে।
সহিহ- উম্মে কুলসুম (রা) বর্ণিত, সহিহ বুখারিী ২৬৯২।
[৩৩] مَا أُحِبُّ أَنِّي حَكَيْتُ أَحَدًا وَأَنَّ لي كَذَا وَكَذَا
আমি কাউকে বিদ্রপ করা বা অযাচিত কথা বলা পছন্দ করি না, যদিও আমার জন্য এরুপ এরুপ হয়।
সহিহ- আয়িশাহ (রা) বর্ণিত, সুনান আত তিরমিযী ২৫০৩।
[৩৪] إِذَا رَأَيْتُمُ الْمَدَّاحِينَ فَاحْثُوا فِي وُجُوهِهِمُ التُّرَابَ
যখন তোমার প্রশংসাকারীদেরকে দেখবে তখন মাটি ছুঁড়ে মারবে।
সহিহ- ইবনে উমর (রা) বর্ণিত, আল আদাবুল মুফরাদ ৩৪০।
[৩৫] وَيْلٌ لِلَّذِي يُحَدِّثُ فَيَكْذِبُ وَيَضْحَكُ بِهِ الْقَوْمُ وَيْلٌ لَهُ وَيْلٌ لَهُ
ধ্বংস তার জন্য যে মিথ্যা বলে লোকদেরকে হাসায়। তার জন্য ধ্বংস, তার জন্য ধ্বংস।
সহিহ- বহয বিন হাকীম (রা) বর্ণিত, আল মুস্তাদরাক হাকীম ১৪২।
[৩৬] مَنْ صَمَتَ نَجَا
যে ব্যক্তি নীরব থাকল সে মুক্তি পেল।
হাসান- আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা) বর্ণিত, সুনান আত-তিরমিযী ২৫০১।
[৩৭] مَقَامُ الرَّجُلِ لِلصَّمْتِ أَفْضَلُ مِنْ عِبَادَةِ سِتِّينَ سَنَةً
কোন ব্যক্তির নিরবতার উপর কায়েম থাকা ষাট বছরের নফল ইবাদত হতে উত্তম।
সহিহ- ইমরান ইবনে হুসায়ন (রা) বর্ণিত, শুআবুল ইমান ৪৬০২।
[৩৮] إِنَّ اللهَ يُحِبُّ الْعَبْدَ التَّقِيَّ، الْغَنِيَّ، الْخَفِيَّ
নিশ্চয়ই আল্লাহ মুত্তাকী, অমুখাপেক্ষী এবং নিভৃতচারী বান্দাকে পছ্দ করেন।
সহিহ- আমর ইবনে সাদ বর্ণিত, সহিহ মুসলিম:২৯৬৫।
[৩৯] خِيَارُ عِبَادِ اللَّهِ الَّذِينَ إِذَا رُؤُوا ذُكِرَ اللَّهُ
আল্লাহর প্রিয় বান্দা তারা যাদেরতে দেখলে আল্লাহ স্মরণ হয়।
হাসান- আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা) বর্ণিত, শুআবুল ইমান ৬২৮২।
[৪০] قَرِيبًا حَرَّمَهُ اللهُ عَلَى النَّار ِ مَنْ كَانَ هَيِّنًا لَيِّنًا
যে ব্যক্তি নম্র-ভদ্র, কোমল এবং মিশুক হয় আল্লাহ তার জন্য জাহান্নামের আগুনকে হারাম করে দিবেন।
সহিহ- আবু হুরায়রা (রা) বর্ণিত, আল মুস্তাদরাক হাকীম ৪৩৫।