আমল ওযিফা
দারুস সাআদাত গ্রন্থ
গ্রন্থঃ দুখি দিলোকা সাহারা- ব্যথার্ত হৃদয়ের সান্তনা
লেখক, মাওলানা বশীর আল ফারুকী (পাকিস্তান)
অনুবাদঃ দারুস সাআদাত কর্তৃক অনূদিত
স্বত্বঃ দারুস সাআদাত কর্তৃক সংরক্ষিত, বিনানুমতিতে কপি করা, মূদ্রণ করা এবং এপে ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয়।
দুখি দিলোকা সাহারা- ব্যথার্ত হৃদয়ের সান্তনা
প্রত্যেক রোগের পরিপূর্ণ আরোগ্য
কানযুল উম্মাল গ্রন্থে যরত ইবনে মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি অসুস্থ (অজ্ঞান) এক ব্যক্তির কানে কিছু পড়ে ফুঁক দিলে সে তৎক্ষনাৎ সংজ্ঞা ফিরে পায়। রাসূলুল্লাহ (সা) জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি তার কানে কি পড়েছ? ইবনে মাসউদ (রা) বললেন-
[সূরা মুমিনূনের শেষ আয়াত সমষ্টি]
أَفَحَسِبْتُمْ أَنَّمَا خَلَقْنَاكُمْ عَبَثاً وَأَنَّكُمْ إِلَيْنَا لا تُرْجَعُونَ (115) فَتَعَالَى اللَّهُ الْمَلِكُ الْحَقُّ لا إِلَهَ إِلاَّ هُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْكَرِيمِ (116) وَمَنْ يَدْعُ مَعَ اللَّهِ إِلَهاً آخَرَ لا بُرْهَانَ لَهُ بِهِ فَإِنَّمَا حِسَابُهُ عِنْدَ رَبِّهِ إِنَّهُ لا يُفْلِحُ الْكَافِرُونَ (117) وَقُلْ رَبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ وَأَنْتَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَ (118)
আয়াতে শেফা
وَيَشْفِ صُدُورَ قَوْمٍ مُؤْمِنِينَ وَيُذْهِبْ غَيْظَ قُلُوبِهِمْ [সূরা তওবা ১৪-১৫]
يَا أَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءَتْكُمْ مَوْعِظَةٌ مِنْ رَبِّكُمْ وَشِفَاءٌ لِمَا فِي الصُّدُورِ وَهُدًى وَرَحْمَةٌ لِلْمُؤْمِنِينَ [সূরা ইউনূস ৫৭]
يَخْرُجُ مِنْ بُطُونِهَا شَرَابٌ مُخْتَلِفٌ أَلْوَانُهُ فِيهِ شِفَاءٌ لِلنَّاسِ [সূরা নাহল ৬৯]
وَنُنَزِّلُ مِنَ الْقُرْآَنِ مَا هُوَ شِفَاءٌ وَرَحْمَةٌ لِلْمُؤْمِنِينَ وَلَا يَزِيدُ الظَّالِمِينَ إِلَّا خَسَارًا [সূরা ইসরা ৮২]
وَإِذَا مَرِضْتُ فَهُوَ يَشْفِينِ [সূরা শুআরা ৮০]
قُلْ هُوَ لِلَّذِينَ آَمَنُوا هُدًى وَشِفَاءٌ [সূরা হামিম সাজদা ৪৪]
মাদারিজুন নুবুওয়াত গ্রন্থে হযরত আবুল কাসিম কুশায়রী (রহ) থেকে বর্ণিত আছে যে, একবার তার বাচ্চা অসুস্থ হয়ে পড়ে। অসুস্থতা এত প্রকট ছিল যে, তিনি অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা)-কে স্বপ্নে দেখতে পেয়ে বাচ্চার অবস্থার কথা বললাম। রাসূলুল্লাহ (সা) বললেন, তুমি আয়াতে শেফা থেকে কেন দূরে থাক? তা প্রয়োগ করে তার দ্বারা কেন আরোগ্য অনুসন্ধান কর না? অতঃপর জাগ্রত হয়ে ভাবতে লাগলাম। তারপর কুরআনের ৬ স্থানে তা পেলাম।
অতঃপর আমি তা লিখে ধুয়ে বাচ্চাকে পান করালাম। ফলে সে এমনভাবে সুস্থ হয়ে গেল যে, মনে হলো, কেউ যেন তার পা থেকে বাঁধন খুলে দিল।
যে এই আয়াতে শিফা জাফরান দ্বারা (অথবা সাদা কাগজে) লিখে রোগীকে (নিয়মিত) পান করাবে, ইনশাআল্লাহ পূর্ণ আরোগ্য লাভ করবে।
স্বপ্নে রাসূলুল্লাহ (সা) এর দর্শন লাভের জন্য
إِنَّ اللَّهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى النَّبِيِّ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا صَلُّوا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوا تَسْلِيمًا
সূরা আহযাবের এই আয়াত:৫৬ প্রতিরাতে শোবার সময় ১০১ বার এবং দরূদ শরীফ ৩১৩ বার পাঠ করতে থাকবে যিয়ারত লাভ হওয়া পর্যন্ত।
জান্নাতুর ফিরদাউস লাভ হওয়ার আমলের উপর দৃঢ়তা লাভের জন্য
قَدْ أَفْلَحَ الْمُؤْمِنُونَ (1) الَّذِينَ هُمْ فِي صَلَاتِهِمْ خَاشِعُونَ (2) وَالَّذِينَ هُمْ عَنِ اللَّغْوِ مُعْرِضُونَ (3) وَالَّذِينَ هُمْ لِلزَّكَاةِ فَاعِلُونَ (4) وَالَّذِينَ هُمْ لِفُرُوجِهِمْ حَافِظُونَ (5) إِلَّا عَلَى أَزْوَاجِهِمْ أوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُمْ فَإِنَّهُمْ غَيْرُ مَلُومِينَ (6) فَمَنِ ابْتَغَى وَرَاءَ ذَلِكَ فَأُولَئِكَ هُمُ الْعَادُونَ (7) وَالَّذِينَ هُمْ لِأَمَانَاتِهِمْ وَعَهْدِهِمْ رَاعُونَ (8) وَالَّذِينَ هُمْ عَلَى صَلَوَاتِهِمْ يُحَافِظُونَ (9) أُولَئِكَ هُمُ الْوَارِثُونَ (10) الَّذِينَ يَرِثُونَ الْفِرْدَوْسَ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ (11)
সূরা মুমিনূনের এই আয়াতগুলোঃ১-১১ পর্যন্ত প্রতিরাতে শোবার সময় একবার পাঠ করবে। ইনশাল্লাহ! নেক আমলের তাওফীক এবং তার উপর দৃঢ়তা লাভ হবে।
নামাযের নিয়মানুবর্তিতার জন্য
وَأَقِمِ الصَّلَاةَ طَرَفَيِ النَّهَارِ وَزُلَفًا مِنَ اللَّيْلِ إِنَّ الْحَسَنَاتِ يُذْهِبْنَ السَّيِّئَاتِ ذَلِكَ ذِكْرَى لِلذَّاكِرِينَ (114) وَاصْبِرْ فَإِنَّ اللَّهَ لَا يُضِيعُ أَجْرَ الْمُحْسِنِينَ (115)
সূরা হুদের এই আয়াতঃ ১১৪-১১৫ প্রত্যেক নামাযের পর তিনবার পাঠ করে নিজের উপর দম করুন এবং পানিতে ফুক দিয়ে পান করুন।
ইস্তিখারা বা স্বপ্নে কোন বিষয়ের ভাল-মন্দ জানার জন্য
وَأَسِرُّوا قَوْلَكُمْ أَوِ اجْهَرُوا بِهِ إِنَّهُ عَلِيمٌ بِذَاتِ الصُّدُورِ (13) أَلَا يَعْلَمُ مَنْ خَلَقَ وَهُوَ اللَّطِيفُ الْخَبِيرُ (14)
ইশার নামাযের পর শোবার সময় দুই রাকাত নফল নামায ইস্তিখারার নিয়তে পড়ে নিন। সালাম ফিরানোর পর সূরা মুলকের এই আয়াতঃ১৩-১৪ একশত একবার পড়ে কোন কথা না বলে শুয়ে পড়ুন।
স্ত্রীর ভালবাসার জন্য
وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَتَّخِذُ مِنْ دُونِ اللَّهِ أَنْدَادًا يُحِبُّونَهُمْ كَحُبِّ اللَّهِ وَالَّذِينَ آَمَنُوا أَشَدُّ حُبًّا لِلَّهِ وَلَوْ يَرَى الَّذِينَ ظَلَمُوا إِذْ يَرَوْنَ الْعَذَابَ أَنَّ الْقُوَّةَ لِلَّهِ جَمِيعًا وَأَنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعَذَابِ (165)
স্ত্রীর মহব্বত এর জন্য সূরা বাকারার এই আয়াতঃ১৬৫ পাঠ করে কোন মিষ্টি জিনিসের উপর ফুক দিয়ে তাকে খাইয়ে দিন। তবে কোন নাজায়েয কাজের জন্য এই আমল করবেন না।
যে ব্যক্তি কোন পরীক্ষা ও বিপদে আক্রান্ত
سَلَامٌ عَلَيْكُمْ بِمَا صَبَرْتُمْ فَنِعْمَ عُقْبَى الدَّارِ (24)
সূরা রা’দের এই আয়াতঃ২৪ প্রত্যেক নামাযের পর তিনবার করে পাঠ করুন। ইনশাআল্লাহ সহজতা ও নাজাত লাভ হবে এবং দীন ও দুনিয়ার কামিয়াবী ও সফলতা লাভ হবে।
যে ব্যক্তি দুশ্চিন্তা ও পেরেশানীতে নিপতিত
إِلَّا رَحْمَةً مِنْ رَبِّكَ إِنَّ فَضْلَهُ كَانَ عَلَيْكَ كَبِيرًا (87)
সূরা বনী ইসরাইলের এই আয়াত:৮২ প্রত্যেক নামাযের পর ১১ বার পাঠ করে কায়মনোবাক্যে দুআ করুন।
পারিবারিক ঝগড়া–বিবাদ কলহ ও তিক্ততার প্রতিকার
وَنَزَعْنَا مَا فِي صُدُورِهِمْ مِنْ غِلٍّ إِخْوَانًا عَلَى سُرُرٍ مُتَقَابِلِينَ (47)
সূরা হিজর এর এই আয়াত:৪৭ প্রত্যেক নামাযের পর ১১ বার পাঠ করে কল্পনায় পরিবারের সব বিবাদীদের উপর দম করুন।
ফুসফুস বা শ্বাসযন্ত্রের রোগের চিকিৎসা
الرَّحْمَنُ (1) عَلَّمَ الْقُرْآَنَ (2) خَلَقَ الْإِنْسَانَ (3) عَلَّمَهُ الْبَيَانَ (4) الشَّمْسُ وَالْقَمَرُ بِحُسْبَانٍ (5) وَالنَّجْمُ وَالشَّجَرُ يَسْجُدَانِ (6) وَالسَّمَاءَ رَفَعَهَا وَوَضَعَ الْمِيزَانَ (7) أَلَّا تَطْغَوْا فِي الْمِيزَانِ (8) وَأَقِيمُوا الْوَزْنَ بِالْقِسْطِ وَلَا تُخْسِرُوا الْمِيزَانَ (9) وَالْأَرْضَ وَضَعَهَا لِلْأَنَامِ (10) فِيهَا فَاكِهَةٌ وَالنَّخْلُ ذَاتُ الْأَكْمَامِ (11) وَالْحَبُّ ذُو الْعَصْفِ وَالرَّيْحَانُ (12) فَبِأَيِّ آَلَاءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ (13) خَلَقَ الْإِنْسَانَ مِنْ صَلْصَالٍ كَالْفَخَّارِ (14) وَخَلَقَ الْجَانَّ مِنْ مَارِجٍ مِنْ نَارٍ (15) فَبِأَيِّ آَلَاءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ (16) رَبُّ الْمَشْرِقَيْنِ وَرَبُّ الْمَغْرِبَيْنِ (17) فَبِأَيِّ آَلَاءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ (18) مَرَجَ الْبَحْرَيْنِ يَلْتَقِيَانِ (19)
ফুসফুস বা শ্বাসযন্ত্রে ব্যথা বা পানি আসলে সূরা রহমানের এই আয়াত ১-১৯ প্রথমে ও শেষে তিনবার দরুদ শরীফসহ ১১ বার পাঠ করে পানিতে দম করে ৪১ দিন পর্যন্ত নিয়তিন পান করান। ইনশাআল্লাহ আরোগ্য লাভ হবে।
ফুসফুসের সব ধরণের রোগের ২য় ওযিফা
يس (1) وَالْقُرْآَنِ الْحَكِيمِ (2) إِنَّكَ لَمِنَ الْمُرْسَلِينَ (3) عَلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ (4) تَنْزِيلَ الْعَزِيزِ الرَّحِيمِ (5) لِتُنْذِرَ قَوْمًا مَا أُنْذِرَ آَبَاؤُهُمْ فَهُمْ غَافِلُونَ (6) لَقَدْ حَقَّ الْقَوْلُ عَلَى أَكْثَرِهِمْ فَهُمْ لَا يُؤْمِنُونَ (7) إِنَّا جَعَلْنَا فِي أَعْنَاقِهِمْ أَغْلَالًا فَهِيَ إِلَى الْأَذْقَانِ فَهُمْ مُقْمَحُونَ (8) وَجَعَلْنَا مِنْ بَيْنِ أَيْدِيهِمْ سَدًّا وَمِنْ خَلْفِهِمْ سَدًّا فَأَغْشَيْنَاهُمْ فَهُمْ لَا يُبْصِرُونَ (9) وَسَوَاءٌ عَلَيْهِمْ أَأَنْذَرْتَهُمْ أَمْ لَمْ تُنْذِرْهُمْ لَا يُؤْمِنُونَ (10) إِنَّمَا تُنْذِرُ مَنِ اتَّبَعَ الذِّكْرَ وَخَشِيَ الرَّحْمَنَ بِالْغَيْبِ فَبَشِّرْهُ بِمَغْفِرَةٍ وَأَجْرٍ كَرِيمٍ (11) إِنَّا نَحْنُ نُحْيِي الْمَوْتَى وَنَكْتُبُ مَا قَدَّمُوا وَآَثَارَهُمْ وَكُلَّ شَيْءٍ أحْصَيْنَاهُ فِي إِمَامٍ مُبِينٍ (12)
সূরা ইয়াসিনের এই আয়াতঃ১ ১২ পর্যন্ত পাঠ করে পানিতে দম করে পান করান। ইনশাআল্লাহ আরোগ্য লাভ হবে।
কিডনি ও পিত্তথলির পাথরির জন্য
وَإِنَّ مِنَ الْحِجَارَةِ لَمَا يَتَفَجَّرُ مِنْهُ الْأَنْهَارُ وَإِنَّ مِنْهَا لَمَا يَشَّقَّقُ فَيَخْرُجُ مِنْهُ الْمَاءُ وَإِنَّ مِنْهَا لَمَا يَهْبِطُ مِنْ خَشْيَةِ اللَّهِ وَمَا اللَّهُ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعْمَلُونَ (74)
কিডনি ও পিত্তথলির পাথরি দূর করার জন্য সূরা বাকারার এই আয়াতঃ৭৪, ৪১ বার পাঠ করে পানিতে দম করে সে পর্যন্ত পান করান, যে পর্যন্ত ভাল না হয়।
যখন শত্রু বা কষ্টদায়ক কোন প্রাণীর ভয় হয়
صُمٌّ بُكْمٌ عُمْيٌ فَهُمْ لَا يَرْجِعُونَ (18)
শত্রুর ভয় বা কোন ধরণের প্রাণী থেকে কষ্ট পৌছার আশঙ্কা হলে সূরা বাকারার এই আয়াতঃ৮, ৭ বার পাঠ করে তার দিকে ফুক দিন।
শত্রুর ভয়ের ২য় ওযিফা
قُلْ لَنْ يُصِيبَنَا إِلَّا مَا كَتَبَ اللَّهُ لَنَا هُوَ مَوْلَانَا وَعَلَى اللَّهِ فَلْيَتَوَكَّلِ الْمُؤْمِنُونَ (51)
সূরা তওবার এই আয়াতঃ৫১ প্রত্যেক নামাযের ৭ বার পাঠ করে নিজের উপর দম করুন।
শত্রুর ভয়ের ৩য় ওযীফা
إِنَّ اللَّهَ يُدَافِعُ عَنِ الَّذِينَ آَمَنُوا إِنَّ اللَّهَ لَا يُحِبُّ كُلَّ خَوَّانٍ كَفُورٍ (38)
সূরা হজের এই আয়াতঃ৩৮ প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যায় ১১ বার করে পাঠ করুন।
নিয়ামত লাভের জন্য
قُلْ إِنَّ الْفَضْلَ بِيَدِ اللَّهِ يُؤْتِيهِ مَنْ يَشَاءُ وَاللَّهُ وَاسِعٌ عَلِيمٌ (73) يَخْتَصُّ بِرَحْمَتِهِ مَنْ يَشَاءُ وَاللَّهُ ذُو الْفَضْلِ الْعَظِيمِ (74)
সূরা আল ইমরানের এই আয়াতঃ৭৩-৭৪ সকাল সন্ধ্যায় সাতবার করে পাঠ করুন।
দুনিয়া ও আখিরাতের নিআমত লাভের জন্য
مَثَلُ الْجَنَّةِ الَّتِي وُعِدَ الْمُتَّقُونَ فِيهَا أَنْهَارٌ مِنْ مَاءٍ غَيْرِ آَسِنٍ وَأَنْهَارٌ مِنْ لَبَنٍ لَمْ يَتَغَيَّرْ طَعْمُهُ وَأَنْهَارٌ مِنْ خَمْرٍ لَذَّةٍ لِلشَّارِبِينَ وَأَنْهَارٌ مِنْ عَسَلٍ مُصَفًّى وَلَهُمْ فِيهَا مِنْ كُلِّ الثَّمَرَاتِ وَمَغْفِرَةٌ مِنْ رَبِّهِمْ كَمَنْ هُوَ خَالِدٌ فِي النَّارِ وَسُقُوا مَاءً حَمِيمًا فَقَطَّعَ أَمْعَاءَهُمْ (15)
উভয় জগতের নিআমত লাভ করার জন্য সূরা মুহাম্মদের আয়াতঃ১৫ ফজর ও ইশার নামাযের পর তিনবার করে পাঠ করুন।
হিদায়াতের জন্য
أُولَئِكَ عَلَى هُدًى مِنْ رَبِّهِمْ وَأُولَئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ (5)
পথভ্রষ্ট বা বিগড়ে যাওয়া ব্যক্তিকে সোজা পথে আনতে সূরা বাকারার এই আয়াতঃ৫, ১১০ বার পাঠ করে পানিতে দম করে উদ্দিষ্ট ব্যক্তিকে ১৪ দিন পর্যন্ত পান করান।
পথভ্রষ্টকে সঠিক পথে আনার জন্য
وَأَهْدِيَكَ إِلَى رَبِّكَ فَتَخْشَى (19)
সূরা নাযিআত এর এই আয়াতঃ১৯ প্রতিদিন ১০১ বার পাঠ করে পানিতে দম করে উদ্দিষ্ট ব্যক্তিকে পান করান।
সব ধরণের রোগ আরোগ্যের জন্য
وَإِنْ يَمْسَسْكَ اللَّهُ بِضُرٍّ فَلَا كَاشِفَ لَهُ إِلَّا هُوَ وَإِنْ يَمْسَسْكَ بِخَيْرٍ فَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ (17)
যে কোন ধরণের রোগ আরোগ্যের জন্য সূরা আনআম এর এই আয়াত:১৭, ৭বার পাঠ করে রোগের স্থানে দম করুন এবং পানিতে দম করে রোগীকে পান করান- রোগ আরোগ্য হওয়া পর্যন্ত।
যে চায় যে সে সুস্থ–সবল থাকবে
فَأَقِمْ وَجْهَكَ لِلدِّينِ حَنِيفًا فِطْرَةَ اللَّهِ الَّتِي فَطَرَ النَّاسَ عَلَيْهَا لَا تَبْدِيلَ لِخَلْقِ اللَّهِ ذَلِكَ الدِّينُ الْقَيِّمُ وَلَكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُونَ (30)
সূরা রূম এর এই আয়াতঃ৩০ প্রত্যেক নামাযের পর তিন বার পাঠ করে নিজের উপর দম করুন।
অসুস্থ ও দুর্বল ব্যক্তির জন্য
وَكَذَلِكَ مَكَّنَّا لِيُوسُفَ فِي الْأَرْضِ يَتَبَوَّأُ مِنْهَا حَيْثُ يَشَاءُ نُصِيبُ بِرَحْمَتِنَا مَنْ نَشَاءُ وَلَا نُضِيعُ أَجْرَ الْمُحْسِنِينَ (56)
সূরা ইউসুফের এই আয়াতঃ৫৬, ৪১ বার পাঠ করে পানি ও বাদাম এর উপর দম করে ২১ তিন পর্যন্ত প্রতিদিন সকালে বাসি মুখে বাদাম খাওয়ান এবং পানি সব সময় পান করান। অসুস্থ ও দুর্বল ব্যক্তি যেমন কতক বাচ্চা শুকিয়ে যায় তাদের জন্য এই আমল উপকারী।
রুযী–রোযগারে বরকতের জন্য
اللَّهُمَّ رَبَّنَا أَنْزِلْ عَلَيْنَا مَائِدَةً مِنَ السَّمَاءِ تَكُونُ لَنَا عِيدًا لِأَوَّلِنَا وَآَخِرِنَا وَآَيَةً مِنْكَ وَارْزُقْنَا وَأَنْتَ خَيرُ الرَّازِقِينَ (114)
রুযী-রোযগারে বরকতের জন্য এবং উপবাস ও দারিদ্রতা দূর করার জন্য সূরা মায়িদার এই আয়াতঃ১১৪, ৭ বার পাঠ করে এর মাধ্যমে দুআ করুন।
রিযিকের উন্নতির জন্য
সূরা মুযযাম্মিল এক বৈঠকে ৪১ বার পাঠ করার দ্বারা উদ্দেশ্যে সহজতা এবং রিযিকে প্রাচূর্য আসবে।
প্রশস্ত জীবিকার জন্য
اللَّهُ يَبْسُطُ الرِّزْقَ لِمَنْ يَشَاءُ مِنْ عِبَادِهِ وَيَقْدِرُ لَهُ إِنَّ اللَّهَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ (62)
সূরা আনকাবূত এর এই আয়াতঃ৬২ ফজরের পর ১১ বার পাঠ করুন।
প্রশস্ত রিযিকের ২য় ওযিফা
هُوَ الَّذِي أَنْشَأَكُمْ وَجَعَلَ لَكُمُ السَّمْعَ وَالْأَبْصَارَ وَالْأَفْئِدَةَ قَلِيلًا مَا تَشْكُرُونَ (23)
সূরা মুলক এর এই আয়াতঃ২৩ প্রত্যেক নামাযের পর ৩ বার করে পাঠ করুন।
ব্যবসায় উন্নতির জন্য
لِلَّهِ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ إِنَّ اللَّهَ هُوَ الْغَنِيُّ الْحَمِيدُ (26)
সূরা লুকমান আয়াতঃ২৬ প্রত্যেক নামাযের পর ৪১ বার পাঠ করুন।
ঘর–বাড়ি ও ব্যবসা–বাণিজ্যে প্রশস্ততার জন্য
وَهُزِّي إِلَيْكِ بِجِذْعِ النَّخْلَةِ تُسَاقِطْ عَلَيْكِ رُطَبًا جَنِيًّا (25) فَكُلِي وَاشْرَبِي وَقَرِّي عَيْنًا
সূরা মারইয়াম এর এই আয়াতঃ২৫-২৬ ধারাবাহিকভাবে ১১ দিন পর্যন্ত ৩১৩ বার করে পাঠ করুন।
বিবাহের সম্বন্ধ, ব্যবসা বাণিজ্য এবং সব ধরণের পেরেশানী দূর করার জন্য
فَإِنَّ مَعَ الْعُسْرِ يُسْرًا (5) إِنَّ مَعَ الْعُسْرِ يُسْرًا (6)
সূরা আলাম নাশরাহ আয়াতঃ৫-৬ প্রত্যেক নামাযের পর ২১ বার পাঠ করুন।