আমল ওযিফা
দুখি দিলোকা সাহারা- ব্যথার্ত হৃদয়ের সান্তনা
মাওলানা বশীরর অঅর ফারুকী (পাকিস্তান)
দারুসসাআদাত কর্তৃক অনূদিত
প্রত্যেক রোগের পরিপূর্ণ আরোগ্য
কানযুল উম্মাল গ্রন্থে যরত ইবনে মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি অসুস্থ (অজ্ঞান) এক ব্যক্তির কানে কিছু পড়ে ফুঁক দিলে সে তৎক্ষনাৎ সংজ্ঞা ফিরে পায়। রাসূলুল্লাহ (সা) জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি তার কানে কি পড়েছ? ইবনে মাসউদ (রা) বললেন-
[সূরা মুমিনূনের শেষ আয়াত সমষ্টি]
أَفَحَسِبْتُمْ أَنَّمَا خَلَقْنَاكُمْ عَبَثاً وَأَنَّكُمْ إِلَيْنَا لا تُرْجَعُونَ (115) فَتَعَالَى اللَّهُ الْمَلِكُ الْحَقُّ لا إِلَهَ إِلاَّ هُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْكَرِيمِ (116) وَمَنْ يَدْعُ مَعَ اللَّهِ إِلَهاً آخَرَ لا بُرْهَانَ لَهُ بِهِ فَإِنَّمَا حِسَابُهُ عِنْدَ رَبِّهِ إِنَّهُ لا يُفْلِحُ الْكَافِرُونَ (117) وَقُلْ رَبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ وَأَنْتَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَ (118)
আয়াতে শেফা
وَيَشْفِ صُدُورَ قَوْمٍ مُؤْمِنِينَ وَيُذْهِبْ غَيْظَ قُلُوبِهِمْ [সূরা তওবা ১৪-১৫]
يَا أَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءَتْكُمْ مَوْعِظَةٌ مِنْ رَبِّكُمْ وَشِفَاءٌ لِمَا فِي الصُّدُورِ وَهُدًى وَرَحْمَةٌ لِلْمُؤْمِنِينَ [সূরা ইউনূস ৫৭]
يَخْرُجُ مِنْ بُطُونِهَا شَرَابٌ مُخْتَلِفٌ أَلْوَانُهُ فِيهِ شِفَاءٌ لِلنَّاسِ [সূরা নাহল ৬৯]
وَنُنَزِّلُ مِنَ الْقُرْآَنِ مَا هُوَ شِفَاءٌ وَرَحْمَةٌ لِلْمُؤْمِنِينَ وَلَا يَزِيدُ الظَّالِمِينَ إِلَّا خَسَارًا [সূরা ইসরা ৮২]
وَإِذَا مَرِضْتُ فَهُوَ يَشْفِينِ [সূরা শুআরা ৮০]
قُلْ هُوَ لِلَّذِينَ آَمَنُوا هُدًى وَشِفَاءٌ [সূরা হামিম সাজদা ৪৪]
মাদারিজুন নুবুওয়াত গ্রন্থে হযরত আবুল কাসিম কুশায়রী (রহ) থেকে বর্ণিত আছে যে, একবার তার বাচ্চা অসুস্থ হয়ে পড়ে। অসুস্থতা এত প্রকট ছিল যে, তিনি অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা)-কে স্বপ্নে দেখতে পেয়ে বাচ্চার অবস্থার কথা বললাম। রাসূলুল্লাহ (সা) বললেন, তুমি আয়াতে শেফা থেকে কেন দূরে থাক? তা প্রয়োগ করে তার দ্বারা কেন আরোগ্য অনুসন্ধান কর না? অতঃপর জাগ্রত হয়ে ভাবতে লাগলাম। তারপর কুরআনের ৬ স্থানে তা পেলাম।
অতঃপর আমি তা লিখে ধুয়ে বাচ্চাকে পান করালাম। ফলে সে এমনভাবে সুস্থ হয়ে গেল যে, মনে হলো, কেউ যেন তার পা থেকে বাঁধন খুলে দিল।
যে এই আয়াতে শিফা জাফরান দ্বারা (অথবা সাদা কাগজে) লিখে রোগীকে (নিয়মিত) পান করাবে, ইনশাআল্লাহ পূর্ণ আরোগ্য লাভ করবে।
স্বপ্নে রাসূলুল্লাহ (সা) এর দর্শন লাভের জন্য
إِنَّ اللَّهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى النَّبِيِّ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا صَلُّوا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوا تَسْلِيمًا
সূরা আহযাবের এই আয়াত:৫৬ প্রতিরাতে শোবার সময় ১০১ বার এবং দরূদ শরীফ ৩১৩ বার পাঠ করতে থাকবে যিয়ারত লাভ হওয়া পর্যন্ত।
জান্নাতুর ফিরদাউস লাভ হওয়ার আমলের উপর দৃঢ়তা লাভের জন্য
قَدْ أَفْلَحَ الْمُؤْمِنُونَ (1) الَّذِينَ هُمْ فِي صَلَاتِهِمْ خَاشِعُونَ (2) وَالَّذِينَ هُمْ عَنِ اللَّغْوِ مُعْرِضُونَ (3) وَالَّذِينَ هُمْ لِلزَّكَاةِ فَاعِلُونَ (4) وَالَّذِينَ هُمْ لِفُرُوجِهِمْ حَافِظُونَ (5) إِلَّا عَلَى أَزْوَاجِهِمْ أوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُمْ فَإِنَّهُمْ غَيْرُ مَلُومِينَ (6) فَمَنِ ابْتَغَى وَرَاءَ ذَلِكَ فَأُولَئِكَ هُمُ الْعَادُونَ (7) وَالَّذِينَ هُمْ لِأَمَانَاتِهِمْ وَعَهْدِهِمْ رَاعُونَ (8) وَالَّذِينَ هُمْ عَلَى صَلَوَاتِهِمْ يُحَافِظُونَ (9) أُولَئِكَ هُمُ الْوَارِثُونَ (10) الَّذِينَ يَرِثُونَ الْفِرْدَوْسَ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ (11)
সূরা মুমিনূনের এই আয়াতগুলোঃ১-১১ পর্যন্ত প্রতিরাতে শোবার সময় একবার পাঠ করবে। ইনশাল্লাহ! নেক আমলের তাওফীক এবং তার উপর দৃঢ়তা লাভ হবে।
নামাযের নিয়মানুবর্তিতার জন্য
وَأَقِمِ الصَّلَاةَ طَرَفَيِ النَّهَارِ وَزُلَفًا مِنَ اللَّيْلِ إِنَّ الْحَسَنَاتِ يُذْهِبْنَ السَّيِّئَاتِ ذَلِكَ ذِكْرَى لِلذَّاكِرِينَ (114) وَاصْبِرْ فَإِنَّ اللَّهَ لَا يُضِيعُ أَجْرَ الْمُحْسِنِينَ (115)
সূরা হুদের এই আয়াতঃ ১১৪-১১৫ প্রত্যেক নামাযের পর তিনবার পাঠ করে নিজের উপর দম করুন এবং পানিতে ফুক দিয়ে পান করুন।
ইস্তিখারা বা স্বপ্নে কোন বিষয়ের ভাল-মন্দ জানার জন্য
وَأَسِرُّوا قَوْلَكُمْ أَوِ اجْهَرُوا بِهِ إِنَّهُ عَلِيمٌ بِذَاتِ الصُّدُورِ (13) أَلَا يَعْلَمُ مَنْ خَلَقَ وَهُوَ اللَّطِيفُ الْخَبِيرُ (14)
ইশার নামাযের পর শোবার সময় দুই রাকাত নফল নামায ইস্তিখারার নিয়তে পড়ে নিন। সালাম ফিরানোর পর সূরা মুলকের এই আয়াতঃ১৩-১৪ একশত একবার পড়ে কোন কথা না বলে শুয়ে পড়ুন।
স্ত্রীর ভালবাসার জন্য
وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَتَّخِذُ مِنْ دُونِ اللَّهِ أَنْدَادًا يُحِبُّونَهُمْ كَحُبِّ اللَّهِ وَالَّذِينَ آَمَنُوا أَشَدُّ حُبًّا لِلَّهِ وَلَوْ يَرَى الَّذِينَ ظَلَمُوا إِذْ يَرَوْنَ الْعَذَابَ أَنَّ الْقُوَّةَ لِلَّهِ جَمِيعًا وَأَنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعَذَابِ (165)
স্ত্রীর মহব্বত এর জন্য সূরা বাকারার এই আয়াতঃ১৬৫ পাঠ করে কোন মিষ্টি জিনিসের উপর ফুক দিয়ে তাকে খাইয়ে দিন। তবে কোন নাজায়েয কাজের জন্য এই আমল করবেন না।
যে ব্যক্তি কোন পরীক্ষা ও বিপদে আক্রান্ত
سَلَامٌ عَلَيْكُمْ بِمَا صَبَرْتُمْ فَنِعْمَ عُقْبَى الدَّارِ (24)
সূরা রা’দের এই আয়াতঃ২৪ প্রত্যেক নামাযের পর তিনবার করে পাঠ করুন। ইনশাআল্লাহ সহজতা ও নাজাত লাভ হবে এবং দীন ও দুনিয়ার কামিয়াবী ও সফলতা লাভ হবে।
যে ব্যক্তি দুশ্চিন্তা ও পেরেশানীতে নিপতিত
إِلَّا رَحْمَةً مِنْ رَبِّكَ إِنَّ فَضْلَهُ كَانَ عَلَيْكَ كَبِيرًا (87)
সূরা বনী ইসরাইলের এই আয়াত:৮২ প্রত্যেক নামাযের পর ১১ বার পাঠ করে কায়মনোবাক্যে দুআ করুন।
পারিবারিক ঝগড়া–বিবাদ কলহ ও তিক্ততার প্রতিকার
وَنَزَعْنَا مَا فِي صُدُورِهِمْ مِنْ غِلٍّ إِخْوَانًا عَلَى سُرُرٍ مُتَقَابِلِينَ (47)
সূরা হিজর এর এই আয়াত:৪৭ প্রত্যেক নামাযের পর ১১ বার পাঠ করে কল্পনায় পরিবারের সব বিবাদীদের উপর দম করুন।
ফুসফুস বা শ্বাসযন্ত্রের রোগের চিকিৎসা
الرَّحْمَنُ (1) عَلَّمَ الْقُرْآَنَ (2) خَلَقَ الْإِنْسَانَ (3) عَلَّمَهُ الْبَيَانَ (4) الشَّمْسُ وَالْقَمَرُ بِحُسْبَانٍ (5) وَالنَّجْمُ وَالشَّجَرُ يَسْجُدَانِ (6) وَالسَّمَاءَ رَفَعَهَا وَوَضَعَ الْمِيزَانَ (7) أَلَّا تَطْغَوْا فِي الْمِيزَانِ (8) وَأَقِيمُوا الْوَزْنَ بِالْقِسْطِ وَلَا تُخْسِرُوا الْمِيزَانَ (9) وَالْأَرْضَ وَضَعَهَا لِلْأَنَامِ (10) فِيهَا فَاكِهَةٌ وَالنَّخْلُ ذَاتُ الْأَكْمَامِ (11) وَالْحَبُّ ذُو الْعَصْفِ وَالرَّيْحَانُ (12) فَبِأَيِّ آَلَاءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ (13) خَلَقَ الْإِنْسَانَ مِنْ صَلْصَالٍ كَالْفَخَّارِ (14) وَخَلَقَ الْجَانَّ مِنْ مَارِجٍ مِنْ نَارٍ (15) فَبِأَيِّ آَلَاءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ (16) رَبُّ الْمَشْرِقَيْنِ وَرَبُّ الْمَغْرِبَيْنِ (17) فَبِأَيِّ آَلَاءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ (18) مَرَجَ الْبَحْرَيْنِ يَلْتَقِيَانِ (19)
ফুসফুস বা শ্বাসযন্ত্রে ব্যথা বা পানি আসলে সূরা রহমানের এই আয়াত ১-১৯ প্রথমে ও শেষে তিনবার দরুদ শরীফসহ ১১ বার পাঠ করে পানিতে দম করে ৪১ দিন পর্যন্ত নিয়তিন পান করান। ইনশাআল্লাহ আরোগ্য লাভ হবে।
ফুসফুসের সব ধরণের রোগের ২য় ওযিফা
يس (1) وَالْقُرْآَنِ الْحَكِيمِ (2) إِنَّكَ لَمِنَ الْمُرْسَلِينَ (3) عَلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ (4) تَنْزِيلَ الْعَزِيزِ الرَّحِيمِ (5) لِتُنْذِرَ قَوْمًا مَا أُنْذِرَ آَبَاؤُهُمْ فَهُمْ غَافِلُونَ (6) لَقَدْ حَقَّ الْقَوْلُ عَلَى أَكْثَرِهِمْ فَهُمْ لَا يُؤْمِنُونَ (7) إِنَّا جَعَلْنَا فِي أَعْنَاقِهِمْ أَغْلَالًا فَهِيَ إِلَى الْأَذْقَانِ فَهُمْ مُقْمَحُونَ (8) وَجَعَلْنَا مِنْ بَيْنِ أَيْدِيهِمْ سَدًّا وَمِنْ خَلْفِهِمْ سَدًّا فَأَغْشَيْنَاهُمْ فَهُمْ لَا يُبْصِرُونَ (9) وَسَوَاءٌ عَلَيْهِمْ أَأَنْذَرْتَهُمْ أَمْ لَمْ تُنْذِرْهُمْ لَا يُؤْمِنُونَ (10) إِنَّمَا تُنْذِرُ مَنِ اتَّبَعَ الذِّكْرَ وَخَشِيَ الرَّحْمَنَ بِالْغَيْبِ فَبَشِّرْهُ بِمَغْفِرَةٍ وَأَجْرٍ كَرِيمٍ (11) إِنَّا نَحْنُ نُحْيِي الْمَوْتَى وَنَكْتُبُ مَا قَدَّمُوا وَآَثَارَهُمْ وَكُلَّ شَيْءٍ أحْصَيْنَاهُ فِي إِمَامٍ مُبِينٍ (12)
সূরা ইয়াসিনের এই আয়াতঃ১ ১২ পর্যন্ত পাঠ করে পানিতে দম করে পান করান। ইনশাআল্লাহ আরোগ্য লাভ হবে।
কিডনি ও পিত্তথলির পাথরির জন্য
وَإِنَّ مِنَ الْحِجَارَةِ لَمَا يَتَفَجَّرُ مِنْهُ الْأَنْهَارُ وَإِنَّ مِنْهَا لَمَا يَشَّقَّقُ فَيَخْرُجُ مِنْهُ الْمَاءُ وَإِنَّ مِنْهَا لَمَا يَهْبِطُ مِنْ خَشْيَةِ اللَّهِ وَمَا اللَّهُ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعْمَلُونَ (74)
কিডনি ও পিত্তথলির পাথরি দূর করার জন্য সূরা বাকারার এই আয়াতঃ৭৪, ৪১ বার পাঠ করে পানিতে দম করে সে পর্যন্ত পান করান, যে পর্যন্ত ভাল না হয়।
যখন শত্রু বা কষ্টদায়ক কোন প্রাণীর ভয় হয়
صُمٌّ بُكْمٌ عُمْيٌ فَهُمْ لَا يَرْجِعُونَ (18)
শত্রুর ভয় বা কোন ধরণের প্রাণী থেকে কষ্ট পৌছার আশঙ্কা হলে সূরা বাকারার এই আয়াতঃ৮, ৭ বার পাঠ করে তার দিকে ফুক দিন।
শত্রুর ভয়ের ২য় ওযিফা
قُلْ لَنْ يُصِيبَنَا إِلَّا مَا كَتَبَ اللَّهُ لَنَا هُوَ مَوْلَانَا وَعَلَى اللَّهِ فَلْيَتَوَكَّلِ الْمُؤْمِنُونَ (51)
সূরা তওবার এই আয়াতঃ৫১ প্রত্যেক নামাযের ৭ বার পাঠ করে নিজের উপর দম করুন।
শত্রুর ভয়ের ৩য় ওযীফা
إِنَّ اللَّهَ يُدَافِعُ عَنِ الَّذِينَ آَمَنُوا إِنَّ اللَّهَ لَا يُحِبُّ كُلَّ خَوَّانٍ كَفُورٍ (38)
সূরা হজের এই আয়াতঃ৩৮ প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যায় ১১ বার করে পাঠ করুন।
নিয়ামত লাভের জন্য
قُلْ إِنَّ الْفَضْلَ بِيَدِ اللَّهِ يُؤْتِيهِ مَنْ يَشَاءُ وَاللَّهُ وَاسِعٌ عَلِيمٌ (73) يَخْتَصُّ بِرَحْمَتِهِ مَنْ يَشَاءُ وَاللَّهُ ذُو الْفَضْلِ الْعَظِيمِ (74)
সূরা আল ইমরানের এই আয়াতঃ৭৩-৭৪ সকাল সন্ধ্যায় সাতবার করে পাঠ করুন।
দুনিয়া ও আখিরাতের নিআমত লাভের জন্য
مَثَلُ الْجَنَّةِ الَّتِي وُعِدَ الْمُتَّقُونَ فِيهَا أَنْهَارٌ مِنْ مَاءٍ غَيْرِ آَسِنٍ وَأَنْهَارٌ مِنْ لَبَنٍ لَمْ يَتَغَيَّرْ طَعْمُهُ وَأَنْهَارٌ مِنْ خَمْرٍ لَذَّةٍ لِلشَّارِبِينَ وَأَنْهَارٌ مِنْ عَسَلٍ مُصَفًّى وَلَهُمْ فِيهَا مِنْ كُلِّ الثَّمَرَاتِ وَمَغْفِرَةٌ مِنْ رَبِّهِمْ كَمَنْ هُوَ خَالِدٌ فِي النَّارِ وَسُقُوا مَاءً حَمِيمًا فَقَطَّعَ أَمْعَاءَهُمْ (15)
উভয় জগতের নিআমত লাভ করার জন্য সূরা মুহাম্মদের আয়াতঃ১৫ ফজর ও ইশার নামাযের পর তিনবার করে পাঠ করুন।
হিদায়াতের জন্য
أُولَئِكَ عَلَى هُدًى مِنْ رَبِّهِمْ وَأُولَئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ (5)
পথভ্রষ্ট বা বিগড়ে যাওয়া ব্যক্তিকে সোজা পথে আনতে সূরা বাকারার এই আয়াতঃ৫, ১১০ বার পাঠ করে পানিতে দম করে উদ্দিষ্ট ব্যক্তিকে ১৪ দিন পর্যন্ত পান করান।
পথভ্রষ্টকে সঠিক পথে আনার জন্য
وَأَهْدِيَكَ إِلَى رَبِّكَ فَتَخْشَى (19)
সূরা নাযিআত এর এই আয়াতঃ১৯ প্রতিদিন ১০১ বার পাঠ করে পানিতে দম করে উদ্দিষ্ট ব্যক্তিকে পান করান।
সব ধরণের রোগ আরোগ্যের জন্য
وَإِنْ يَمْسَسْكَ اللَّهُ بِضُرٍّ فَلَا كَاشِفَ لَهُ إِلَّا هُوَ وَإِنْ يَمْسَسْكَ بِخَيْرٍ فَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ (17)
যে কোন ধরণের রোগ আরোগ্যের জন্য সূরা আনআম এর এই আয়াত:১৭, ৭বার পাঠ করে রোগের স্থানে দম করুন এবং পানিতে দম করে রোগীকে পান করান- রোগ আরোগ্য হওয়া পর্যন্ত।
যে চায় যে সে সুস্থ–সবল থাকবে
فَأَقِمْ وَجْهَكَ لِلدِّينِ حَنِيفًا فِطْرَةَ اللَّهِ الَّتِي فَطَرَ النَّاسَ عَلَيْهَا لَا تَبْدِيلَ لِخَلْقِ اللَّهِ ذَلِكَ الدِّينُ الْقَيِّمُ وَلَكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُونَ (30)
সূরা রূম এর এই আয়াতঃ৩০ প্রত্যেক নামাযের পর তিন বার পাঠ করে নিজের উপর দম করুন।
অসুস্থ ও দুর্বল ব্যক্তির জন্য
وَكَذَلِكَ مَكَّنَّا لِيُوسُفَ فِي الْأَرْضِ يَتَبَوَّأُ مِنْهَا حَيْثُ يَشَاءُ نُصِيبُ بِرَحْمَتِنَا مَنْ نَشَاءُ وَلَا نُضِيعُ أَجْرَ الْمُحْسِنِينَ (56)
সূরা ইউসুফের এই আয়াতঃ৫৬, ৪১ বার পাঠ করে পানি ও বাদাম এর উপর দম করে ২১ তিন পর্যন্ত প্রতিদিন সকালে বাসি মুখে বাদাম খাওয়ান এবং পানি সব সময় পান করান। অসুস্থ ও দুর্বল ব্যক্তি যেমন কতক বাচ্চা শুকিয়ে যায় তাদের জন্য এই আমল উপকারী।
রুযী–রোযগারে বরকতের জন্য
اللَّهُمَّ رَبَّنَا أَنْزِلْ عَلَيْنَا مَائِدَةً مِنَ السَّمَاءِ تَكُونُ لَنَا عِيدًا لِأَوَّلِنَا وَآَخِرِنَا وَآَيَةً مِنْكَ وَارْزُقْنَا وَأَنْتَ خَيرُ الرَّازِقِينَ (114)
রুযী-রোযগারে বরকতের জন্য এবং উপবাস ও দারিদ্রতা দূর করার জন্য সূরা মায়িদার এই আয়াতঃ১১৪, ৭ বার পাঠ করে এর মাধ্যমে দুআ করুন।
রিযিকের উন্নতির জন্য
সূরা মুযযাম্মিল এক বৈঠকে ৪১ বার পাঠ করার দ্বারা উদ্দেশ্যে সহজতা এবং রিযিকে প্রাচূর্য আসবে।
প্রশস্ত জীবিকার জন্য
اللَّهُ يَبْسُطُ الرِّزْقَ لِمَنْ يَشَاءُ مِنْ عِبَادِهِ وَيَقْدِرُ لَهُ إِنَّ اللَّهَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ (62)
সূরা আনকাবূত এর এই আয়াতঃ৬২ ফজরের পর ১১ বার পাঠ করুন।
প্রশস্ত রিযিকের ২য় ওযিফা
هُوَ الَّذِي أَنْشَأَكُمْ وَجَعَلَ لَكُمُ السَّمْعَ وَالْأَبْصَارَ وَالْأَفْئِدَةَ قَلِيلًا مَا تَشْكُرُونَ (23)
সূরা মুলক এর এই আয়াতঃ২৩ প্রত্যেক নামাযের পর ৩ বার করে পাঠ করুন।
ব্যবসায় উন্নতির জন্য
لِلَّهِ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ إِنَّ اللَّهَ هُوَ الْغَنِيُّ الْحَمِيدُ (26)
সূরা লুকমান আয়াতঃ২৬ প্রত্যেক নামাযের পর ৪১ বার পাঠ করুন।
ঘর–বাড়ি ও ব্যবসা–বাণিজ্যে প্রশস্ততার জন্য
وَهُزِّي إِلَيْكِ بِجِذْعِ النَّخْلَةِ تُسَاقِطْ عَلَيْكِ رُطَبًا جَنِيًّا (25) فَكُلِي وَاشْرَبِي وَقَرِّي عَيْنًا
সূরা মারইয়াম এর এই আয়াতঃ২৫-২৬ ধারাবাহিকভাবে ১১ দিন পর্যন্ত ৩১৩ বার করে পাঠ করুন।
বিবাহের সম্বন্ধ, ব্যবসা বাণিজ্য এবং সব ধরণের পেরেশানী দূর করার জন্য
فَإِنَّ مَعَ الْعُسْرِ يُسْرًا (5) إِنَّ مَعَ الْعُسْرِ يُسْرًا (6)
সূরা আলাম নাশরাহ আয়াতঃ৫-৬ প্রত্যেক নামাযের পর ২১ বার পাঠ করুন।
দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগ দূর করার জন্য
الَّذِينَ آَمَنُوا وَتَطْمَئِنُّ قُلُوبُهُمْ بِذِكْرِ اللَّهِ أَلَا بِذِكْرِ اللَّهِ تَطْمَئِنُّ الْقُلُوبُ
সূরা রা’দ এর এই আয়াত:২৮ সব ধরণের উদ্বেগ দূর করতে এবং মনের বা মানসিক রোগ দূর করার জন্য ৪১ বার পাঠ করে পানিতে দম করে পান করান- আরোগ্য লাভ হওয়া পর্যন্ত।
অন্তরের রোগ ব্যাধির জন্য
সূরা ইয়াসিন মনের কষ্ট, উদ্বেগ ও দুর্বলতার জন্য ফজর অথবা ইশার নামাযের পর পাঠ করে পানিতে দম করে পান করান, আরোগ্য লাভ হবে। কেননা হাদীস শরীফে সূরা ইয়াসিনকে কুরআনের অন্তর বলা হয়েছে।
অকাল গর্ভপাত থেকে সুরক্ষা
اللَّهُ يَعْلَمُ مَا تَحْمِلُ كُلُّ أُنْثَى وَمَا تَغِيضُ الْأَرْحَامُ وَمَا تَزْدَادُ وَكُلُّ شَيْءٍ عِنْدَهُ بِمِقْدَارٍ
সূরা রা’দ এর এই আয়াতঃ৮ গর্ভের শুরু থেকে প্রসব পর্যন্ত প্রতিদিন যে কোন নামাযের পর ২১ বার পাঠ করে নিজের উপর দম করুন আর পানিতে দম করে পান করুন।
সহজ প্রসবের জন্য
সূরা ইয়াসিন পাঠ করে পানিতে দম করে পান করানোর দ্বারা সন্তান প্রসব সহজ হয়।
মামলা মুকাদ্দামায় সফলতার জন্য
وَقُلْ جَاءَ الْحَقُّ وَزَهَقَ الْبَاطِلُ إِنَّ الْبَاطِلَ كَانَ زَهُوقًا
সূরা বনী ইসরাইল এর এই আয়াতঃ৮১, ৩১৩ বার পাঠ করে দুআ করুন। কিন্তু সাবধান মিথ্যা ও নাজায়েয মামলা মুকাদ্দামার জন্য এই আমল করবেন না, ফলে বিপদাপদে গ্রেফতার হতে পারেন।
কেউ মিথ্যা মামলা বা চক্রান্তের মধ্যে ফেসে গেলে
فَاسْتَجَابَ لَهُ رَبُّهُ فَصَرَفَ عَنْهُ كَيْدَهُنَّ إِنَّهُ هُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
সূরা ইউসুফ এর এই আয়াতঃ৩৪ প্রত্যেক নামাযের পর ২১ বার পাঠ করে আহাজারি করে দুআ করুন।
ব্লাড পেসারের রোগীর জন্য
وَالْكَاظِمِينَ الْغَيْظَ وَالْعَافِينَ عَنِ النَّاسِ وَاللَّهُ يُحِبُّ الْمُحْسِنِينَ
সূরা আল ইমরানের এই আয়াতঃ১৩৪ দৈনিক ১০১ বার পাঠ করে পানিতে দম করে পান করুন।
ক্রোধ দমনের জন্য
وَالْكَاظِمِينَ الْغَيْظَ وَالْعَافِينَ عَنِ النَّاسِ وَاللَّهُ يُحِبُّ الْمُحْسِنِينَ
সূরা আল ইমরানের এই আয়াতঃ১৩৪ ক্রোধ দমনের জন্য ১০১ বার পাঠ করে চিনিতে দম করে খাওয়ান অথবা পান করান।
বিবাহের সম্বন্ধের জন্য
أَمَّنْ يُجِيبُ الْمُضْطَرَّ إِذَا دَعَاهُ وَيَكْشِفُ السُّوءَ
সূরা নামলের এই আয়াতঃ৬২ বিবাহের উত্তম সম্বন্ধ লাভের জন্য প্রত্যেক নামাযের পর ৪১ বার পাঠ করে দুআ করুন। পিতা-মাতা বা অভিভাবকও পড়তে পারেন নিজ সন্তান বা অধীনস্থের জন্য।
বিবাহের বাধা দূর হওয়ার জন্য
وَهُوَ الَّذِي خَلَقَ مِنَ الْمَاءِ بَشَرًا فَجَعَلَهُ نَسَبًا وَصِهْرًا وَكَانَ رَبُّكَ قَدِيرًا
সূরা ফুরকান এর এই আয়াতঃ৫৪ ২১ দিন পর্যন্ত ৩১৩ বার পাঠ করে বিনীতভাবে দুআ করুন। ইনশাআল্লাহ! উত্তম সম্বন্ধ লাভ হবে।
যার সম্বন্ধ আসে না
সূরা রহমান দৈনিক তিনবার পাঠ করে দুআ করুন, ইনশাআল্লাহ! যথাশীঘ্র উদ্দেশ্য পূর্ণ হবে। কেননা রাসূলুল্লাহ (সা) সেূরা রহমানকে কুরআনের দুলহান বলেছেন।
হযরত আলী (রা) বলেন, আমি নবী কারীম (সা) কে বলতে শুনেছি,
لكل شيء عروس وعروس القرآن سورة الرحمن
প্রত্যেক বস্তুর দুলহান আছে আর কুরআনের দুলহান হলো সূরা রহমান। -শুআবুল ইমান
ঘর বাড়ির উন্নতি এবং উত্তম জীবন জীবিকার জন্য
وَلَقَدْ مَكَّنَّاكُمْ فِي الْأَرْضِ وَجَعَلْنَا لَكُمْ فِيهَا مَعَايِشَ قَلِيلًا مَا تَشْكُرُونَ
সূরা আরাফ আয়াতঃ১০ প্রত্যেক নামাযের পর ১৫১ বার পাঠ করুন এবং দুআ করুন। সমস্যা সমাধান হওয়া পর্যন্ত আমল জারি রাখুন। ইনশাাল্লাহ! খুব তাড়াতাড়িই সমাধান হয়ে যাবে।
মানুষের নজরে সম্মানিত হওয়ার জন্য
فَسُبْحَانَ الَّذِي بِيَدِهِ مَلَكُوتُ كُلِّ شَيْءٍ وَإِلَيْهِ تُرْجَعُونَ
সূরা ইয়াসীন আয়াতঃ৮৩ প্রত্যেক নামাযের পর ১১ বার পাঠ করে নিজের উপর দম করুন এবং দুআ করুন।
যখন সম্মানের উপর আঁচ আসে
وَيُحِقُّ اللَّهُ الْحَقَّ بِكَلِمَاتِهِ وَلَوْ كَرِهَ الْمُجْرِمُونَ
সূরা ইউনূস আয়াতঃ৮২ উঠতে বসতে চলতে ফিরতে বেশী করে পাঠ করতে থাকুন।
অপবাদ, বদনাম এবং বে-ইজ্জতী থেকে বাঁচার জন্য
وَلَا يَحْزُنْكَ قَوْلُهُمْ إِنَّ الْعِزَّةَ لِلَّهِ جَمِيعًا هُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
সূরা ইউনূস আয়াতঃ৬৫ সকাল-সন্ধ্যা ৪১ বার পাঠ করে নিজের উপর দম করুন।
সন্তান লাভের জন্য
رَبِّ لَا تَذَرْنِي فَرْدًا وَأَنْتَ خَيْرُ الْوَارِثِينَ
সূরা আম্বিয়ার এই আয়াতঃ৮৯ প্রত্যেক নামাযের পর তিনবার করে পাঠ করুন। ইনশাআল্লাহ সন্তানের জনক হবেন।
সন্তান লাভের ২য় দুআ
لِلَّهِ مُلْكُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ يَخْلُقُ مَا يَشَاءُ يَهَبُ لِمَنْ يَشَاءُ إِنَاثًا وَيَهَبُ لِمَنْ يَشَاءُ الذُّكُورَ
সূরা শূরার আয়াতঃ৪৯ ফজরের নামাযের পর ৩৩ বার পাঠ করে পানিতে দম করে স্ত্রী পান করবে।
সন্তান সন্ততীর জন্য
إِنَّا أَعْطَيْنَاكَ الْكَوْثَرَ فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَانْحَرْ إِنَّ شَانِئَكَ هُوَ الْأَبْتَرُ
সূরা আল কাউসার দৈনিক ১০১ বার পাঠ করুন সুসংবাদ লাভ হওয়া পর্যন্ত।
নিঃসন্তান ব্যক্তির জন্য
الَّذِي أَحْسَنَ كُلَّ شَيْءٍ خَلَقَهُ وَبَدَأَ خَلْقَ الْإِنْسَانِ مِنْ طِينٍ (7) ثُمَّ جَعَلَ نَسْلَهُ مِنْ سُلَالَةٍ مِنْ مَاءٍ مَهِينٍ (8) ثُمَّ سَوَّاهُ وَنَفَخَ فِيهِ مِنْ رُوحِهِ وَجَعَلَ لَكُمُ السَّمْعَ وَالْأَبْصَارَ وَالْأَفْئِدَةَ قَلِيلًا مَا تَشْكُرُونَ (9)
সূরা সাজদাহর এই আয়াতঃ৭-৯ দৈনিক ৩১৩ বার পাঠ করুন, শীঘ্রই উদ্দেশ্য পুরা হবে।
যদি সন্তান জীবিত না থাকে
وَنَجَّيْنَاهُ وَأَهْلَهُ مِنَ الْكَرْبِ الْعَظِيمِ
সূরা সাফফাত আয়াতঃ৭৬ দৈনিক সকাল সন্ধ্যায় ৩ বার করে পাঠ করুন।
প্রশস্ত জীবিকার জন্য
وَيُمْدِدْكُمْ بِأَمْوَالٍ وَبَنِينَ وَيَجْعَلْ لَكُمْ جَنَّاتٍ وَيَجْعَلْ لَكُمْ أَنْهَارًا
সূরা নূহ আয়াাতঃ১২ প্রত্যেক নামাযের পর ৭ বার পাঠ করে এর মাধ্যমে দুআ করুন।
স্ত্রীর মহব্বতের জন্য
وَمِنْ آَيَاتِهِ أَنْ خَلَقَ لَكُمْ مِنْ أَنْفُسِكُمْ أَزْوَاجًا لِتَسْكُنُوا إِلَيْهَا وَجَعَلَ بَيْنَكُمْ مَوَدَّةً وَرَحْمَةً إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآَيَاتٍ لِقَوْمٍ يَتَفَكَّرُونَ
সূরা রূম আয়াতঃ২১, ৯৯ বার পাঠ করে মিষ্টি দ্রব্য যেমন চিনি ইত্যাদির উপর দম করে উদ্দেশ্য সফল হওয়া পর্যন্ত (একতে) পনাহার করতে থাকুন।
যাদু খতম করার জন্য
قُلْنَا لَا تَخَفْ إِنَّكَ أَنْتَ الْأَعْلَى وَأَلْقِ مَا فِي يَمِينِكَ تَلْقَفْ مَا صَنَعُوا إِنَّمَا صَنَعُوا كَيْدُ سَاحِرٍ وَلَا يُفْلِحُ السَّاحِرُ حَيْثُ أَتَى
সূরা ত্বাহার আয়াতঃ৬৮-৬৯ প্রত্যেক নামাযের পর ১০০ বার পাঠ করে ১১ দিন পর্যন্ত নিজের উপর দম করুন।
স্বামী বা স্ত্রীকে পথে আনার জন্য
قُلْ لَا يَسْتَوِي الْخَبِيثُ وَالطَّيِّبُ وَلَوْ أَعْجَبَكَ كَثْرَةُ الْخَبِيثِ فَاتَّقُوا اللَّهَ يَا أُولِي الْأَلْبَابِ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ
সূরা মায়িদার আয়াতঃ১০০, ১১ দিন পর্যন্ত ১৪ বার পাঠ করে কোন খাদ্য বা পানিয়তে দম করে খাওয়ান। ইনশাআল্লাহ! দ্রুত কামিয়বি আসবে।
প্রত্যেক বৈধ উদ্দেশ্য ও প্রয়োজনের জন্য
إِذْ تَسْتَغِيثُونَ رَبَّكُمْ فَاسْتَجَابَ لَكُمْ أَنِّي مُمِدُّكُمْ بِأَلْفٍ مِنَ الْمَلَائِكَةِ مُرْدِفِينَ
সূরা আনফাল আয়াতঃ৯ প্রত্যেক নামাযের পর ১৪ বার করে ১১ দিন পর্যন্ত পাঠ করুন।
প্রত্যেক বৈধ উদ্দেশ্য ও প্রয়োজনের ২য় ওযিফা
يَفْرَحُ الْمُؤْمِنُونَ بِنَصْرِ اللَّهِ يَنْصُرُ مَنْ يَشَاءُ وَهُوَ الْعَزِيزُ الرَّحِيمُ
সূরা রূম এর এই আযাতঃ৪-৫, ১১৩ বার পাঠ করে দুআ করুন।
নেক ও উত্তম সম্বন্ধের জন্য
رَبِّ إِنِّي لِمَا أَنْزَلْتَ إِلَيَّ مِنْ خَيْرٍ فَقِيرٌ
সূরা কাসাস আয়াতঃ২৪ প্রত্যেক নামাযের পর ১১৩ বার এবং সূরা দুহা তিনবার পাঠ করে এর ওসীলায় দুআ করুন এবং উদ্দেশ্য পুরা হওয়া পর্যন্ত আমল জারি রাখুন।
ছেলে মেয়েদের ভাল সম্বন্ধের জন্য
إِنَّمَا أَمْرُهُ إِذَا أَرَادَ شَيْئًا أَنْ يَقُولَ لَهُ كُنْ فَيَكُونُ
সূরা ইয়াসীন আয়াতঃ৮২ ফজরে নামাযের পর ১০১ বার পাঠ করুন।
স্মরণ শক্তি বৃদ্ধির জন্য
وَعَلَّمَكَ مَا لَمْ تَكُنْ تَعْلَمُ وَكَانَ فَضْلُ اللَّهِ عَلَيْكَ عَظِيمًا
সূরা নিসা আয়াতঃ১১৩ প্রত্যেক নামাযের পর ১২১ বার পানিতে দম করে ৪১ দিন পর্যন্ত পান করান।
জ্বর ও যখম আরোগ্যের জন্য
فَلِلَّهِ الْحَمْدُ رَبِّ السَّمَاوَاتِ وَرَبِّ الْأَرْضِ رَبِّ الْعَالَمِينَ (36) وَلَهُ الْكِبْرِيَاءُ فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَهُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ (37)
সূরা জাসিয়া আয়াতঃ৩৬-৩৭ প্রত্যেক নামাযের পর ৭ বার পাঠ করে তার মাধ্যমে দুআ করুন এবং রোগীকে দম করুন।
সন্তানকে অনুগত করার জন্য
رَبِّ أَوْزِعْنِي أَنْ أَشْكُرَ نِعْمَتَكَ الَّتِي أَنْعَمْتَ عَلَيَّ وَعَلَى وَالِدَيَّ وَأَنْ أَعْمَلَ صَالِحًا تَرْضَاهُ وَأَصْلِحْ لِي فِي ذُرِّيَّتِي إِنِّي تُبْتُ إِلَيْكَ وَإِنِّي مِنَ الْمُسْلِمِينَ
সূরা আহকাফ আয়াত ১৫ প্রত্যেক নামাযের পর তিনবার পাঠ করে তার মাধ্যিমে দুআ করুন।
সব ধরণের দুঃখ দুশ্চিন্তার জন্য
وَأُفَوِّضُ أَمْرِي إِلَى اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ بَصِيرٌ بِالْعِبَادِ
সূরা মুমিন আয়াতঃ৪৪ ইশার নামাযের পর ১০১ বার পাঠ করে দুআ করুন।
কোন বৈধ কাজ বাধাগ্রস্থ হলে
وَلَسَوْفَ يُعْطِيكَ رَبُّكَ فَتَرْضَى
সূরা দুহা আয়াতঃ৫ বেশী করে পাঠ করুন।
কাশির চিকিৎসা
وَشَدَدْنَا مُلْكَهُ وَآَتَيْنَاهُ الْحِكْمَةَ وَفَصْلَ الْخِطَابِ
কারো কাশি হলে সূরা সাদ আয়াতঃ২০, ২১ বার পাঠ করে সাদা লবনের উপর দম করে চেটে খাবে।
অধিক হাঁচির চিকিৎসা
الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَنْزَلَ عَلَى عَبْدِهِ الْكِتَابَ وَلَمْ يَجْعَلْ لَهُ عِوَجًا
যদি কারো সর্দিকাশির কারণে অধিক হাঁচি আসে তাহলে সূরা কাহাফ আয়াতঃ১, ২২ বার পাঠ করে কোন খাদ্যদ্রব্যের উপর দম করে খাওয়ান।
পায়েরিয়ার চিকিৎসা
এই রোগে মাড়ি ফুলে যায় এবং তার থেকে দুর্গন্ধযুক্ত রক্ত বের হয়। আর যখন এই রোগ কঠিন আকার ধারণ করে তখন শআসও দুর্গন্ধযুক্ত হয়ে যায়।
পায়েরিয়ার ওযিফা
وَلَهُ مَا سَكَنَ فِي اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
সূরা আনআম আয়াতঃ১৩, ১১ বার পাঠ করে (নিয়মিত) দম করুন। ইনশাআল্লাহ! পায়েরিয়ার অসুখ ভাল হতে থাকবে এবং মুখের দুর্গন্ধও যেতে থাকবে।
মস্তিষ্কের দুর্বলতার চিকিৎসা
فَفَهَّمْنَاهَا سُلَيْمَانَ وَكُلًّا آَتَيْنَا حُكْمًا وَعِلْمًا وَسَخَّرْنَا مَعَ دَاوُودَ الْجِبَالَ يُسَبِّحْنَ وَالطَّيْرَ وَكُنَّا فَاعِلِينَ
সূরা আম্বিয়া আয়াতঃ৭৯ মস্তিষ্কের দুর্বলতার জন্য ফজরের পর ১০ বার পাঠ করা উপকারী।
মস্তিষ্কের স্বাভাবিকতা বিগড়ে গেলে
ذِي قُوَّةٍ عِنْدَ ذِي الْعَرْشِ مَكِينٍ (20) مُطَاعٍ ثَمَّ أَمِينٍ (21) وَمَا صَاحِبُكُمْ بِمَجْنُونٍ (22) وَلَقَدْ رَآَهُ بِالْأُفُقِ الْمُبِينِ (23) وَمَا هُوَ عَلَى الْغَيْبِ بِضَنِينٍ (24) وَمَا هُوَ بِقَوْلِ شَيْطَانٍ رَجِيمٍ (25) فَأَيْنَ تَذْهَبُونَ (26) إِنْ هُوَ إِلَّا ذِكْرٌ لِلْعَالَمِينَ (27) لِمَنْ شَاءَ مِنْكُمْ أَنْ يَسْتَقِيمَ (28) وَمَا تَشَاءُونَ إِلَّا أَنْ يَشَاءَ اللَّهُ رَبُّ الْعَالَمِينَ (29)
সূরা তাকভীর আয়াতঃ২০-২৯, ১৪ বার পাঠ করে পানিতে দম করে রোগীকে পান করান।
চোখের ছানির চিকিৎসা
যদি কারো চোখে ছানি (চোখের মনির উপর সাদা আবরণ) পড়ে তবে অপর কোন ব্যক্তি ওযু অবস্থায় ফজর ও ইশার নামাওেযর পর প্রতিদিন সূরা ইখলাস পাঠ করে রোগির চোখে দম করবে। ইনশাআল্লাহ! রোগ আরোগ্যে হয়ে যাবে।
চোখের ঝাপসা দূর হওয়ার চিকিৎসা
সূরা তাকভীর পাঠ করে দম চোখে দম করার দ্বারা চোখের ঝাপসা দূরিভূত হয়।
চোখের অসুখের জন্য
তিনবার সূরা ইখলাস পাঠ করে চোখে দম করলে চোখের রোগ আরোগ্য হয়।
মস্তিষ্কে পানি জমা হলে তার চিকিৎসা
ওযু অবস্থায় রোগীর মাথায় হাত রেখে তিনবার সূরা ফাতিহা এবং সূরা ইখলাস পাঠ করে দম করতে থাকুন যে পর্যন্ত আরাম না হয়। আর আমলটি জারি রাখুন। ইনশাআল্লাহ! আল্লাহর ফযলে দ্রুত আরোগ্য হবে।
মাজুর (রোগজনিত অক্ষম) ব্যক্তির জন্য
أَلَهُمْ أَرْجُلٌ يَمْشُونَ بِهَا أَمْ لَهُمْ أَيْدٍ يَبْطِشُونَ بِهَا أَمْ لَهُمْ أَعْيُنٌ يُبْصِرُونَ بِهَا أَمْ لَهُمْ آَذَانٌ يَسْمَعُونَ بِهَا
সূরা আরাফ এর এই আয়াতঃ১৯৫, ৩১৩ বার পাঠ করে রোগীকে দম করুন এবং পানিতে দম কর পান করান।
দূরারোগ্য রোগের চিকিৎসা
فَدَعَا رَبَّهُ أَنِّي مَغْلُوبٌ فَانْتَصِرْ
সূরা আল কামার আয়াত ১০, ৩১৩ বার পাঠ করে আকাশের দিকে মুখ করে ফুঁক দিন এবং পানিতে দম করে পান করুন।
চলবে…
চোখের যখম ভাল হওয়ার চিকিৎসা
কোন কারণে চোখে যখম হয়ে গেলে এবং তাতে রক্ত জমা হয়ে গেলে সূরা আল হুমাযাহ চূড়ান্ত বিনয় ও একাগ্রতা সহকারে পাঠ করে চোখে দম করুন। ইনশাআল্লাহ সাত দিনের মধ্যে চোখের যখম ভাল হয়ে যাবে। এই্ আমল প্রত্যেক ফরয নামাযের পর করুন।
সব ধরণের আবদ্ধতা ও প্রতিবন্ধকতা দূর হওয়ার জন্য
ফজর নামযের পর একবার সূরা মুযযাম্মিল, চার কুল তিনবার এবং আয়াতুল কুরসী এগারবার পাঠ করে পানিতে দম করে রোগীকে পান করান এবং তার চেহারয় ও বুকে ছিটিয়ে দিন (তবে পানি যেন নিচে না পড়ে)। প্রথমে ও শেষে এগারবার দুরুদ শরীফও পাঠ করে নিন। আর এই আমল এগার দিন পর্যন্ত জারি রাখুন।
বিবাহের যাবতীয় বিষয়াবিলী উত্তমভাবে সুসসম্পন্ন হওয়ার জন্য
এসবকিছুর জন্য সূরা কুরায়শ- আসর ও এশার নামাযের পর ২১ বার পাঠ করা কুব উপকারী। এই আমল বিবাহের প্রস্তুতি থেকে নিয়ে বিবাহ সম্পন্ন হওয়া পর্ন্ত জারি রাখুন।
দেন-মোহরের ব্যবস্থা হওয়ার জন্য উত্তম ওযিফা
দরুদে ইবরাহিম ১১ বার
সূরা মুযযাম্মিল ১১ বার
ইয়া মুগনীয়ু ১১১১ বার (এগারশত এগারবার)
দরূদে ইবরাহিম ১১ বার
এই আমল ৪১ দিন এশার নামাযের পর কারো সাথে কথা না বলে সম্পন্ন করুন। উত্তম হলো নির্জনে এই আমল করা এবং এই আমলের কথা কাউকে না বলা।
স্ত্রী–সহবাসে সক্ষমতার জন্য
يَاأَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوا رَبَّكُمُ الَّذِي خَلَقَكُمْ مِنْ نَفْسٍ وَاحِدَةٍ وَخَلَقَ مِنْهَا زَوْجَهَا وَبَثَّ مِنْهُمَا رِجَالًا كَثِيرًا وَنِسَاءً وَاتَّقُوا اللَّهَ الَّذِي تَسَاءَلُونَ بِهِ وَالْأَرْحَامَ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلَيْكُمْ رَقِيبًا
যে ব্যক্তি স্ত্রী সহবাসে সক্ষম নয় তাকে সূরা নিসার এই আয়াতঃ১ ফজরের নামাযের পর একটি সিদ্ধ ডিমের উপর দম করে ৪১ দিন খাওয়াবে। ইনশাআল্লাহ সক্ষমতা আসবে।
ঠোঁট এবং চামড়া ফেটে যাওয়র প্রতিকার
بسم الله الرحمن الرحيم
وَالضُّحَى (1) وَاللَّيْلِ إِذَا سَجَى (2) مَا وَدَّعَكَ رَبُّكَ وَمَا قَلَى (3) وَلَلْآخِرَةُ خَيْرٌ لَكَ مِنَ الْأُولَى (4) وَلَسَوْفَ يُعْطِيكَ رَبُّكَ فَتَرْضَى (5) أَلَمْ يَجِدْكَ يَتِيمًا فَآوَى (6) وَوَجَدَكَ ضَالًّا فَهَدَى (7)
بسم الله الرحمن الرحيم
إِذَا زُلْزِلَتِ الْأَرْضُ زِلْزَالَهَا (1) وَأَخْرَجَتِ الْأَرْضُ أَثْقَالَهَا (2) وَقَالَ الْإِنْسَانُ مَا لَهَا (3) يَوْمَئِذٍ تُحَدِّثُ أَخْبَارَهَا (4) بِأَنَّ رَبَّكَ أَوْحَى لَهَا (5) يَوْمَئِذٍ يَصْدُرُ النَّاسُ أَشْتَاتًا
সূরা দুহা শুরু থেকে فَهَدَى পর্যন্ত এবং সূরা যিলযাল শুরু থেকে أَشْتَاتًا পর্যন্ত ফেটে যাওয়া চামড়ার উপর হাত রেখে তিন তিনবার করে পাঠ করুন। ইনশাআল্লাহ ভাল হবে।
কারো উপর জিনের ছায়া থাকরে
তিনবার দরূদ শরীফ, সূরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসী, সূরা ইয়াসীন এর প্রথম রুকু, সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক, সূরা নাস, তিনবার দরুদ শরীফ পাঠ করে যদি পুরুষ হয় তাহলে হুজুর (সা) এর ওয়াসীলা দিয়ে আরোগ্যের দুআ করুন। যদি মহীলা হয় তবে ফাতিমা (রা) এর উসীলা দিয়ে দুআ করুন। যদি যুবতী হয় তাহলে সাকীনা (রা) এর উসীলা দিয়ে দুআ করুন। আর যদি যুবক হয় তবে আলী (রা) এর উসীলা দিয়ে দুআ করুন। এবং পানিতে দম করে রোগীকে পান করান।
জিনের আসরের চিকিৎসা
সূরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসী, সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক, সূরা নাস আসরগ্রস্থ রোগীর উপর তিনবার পাঠ করে দম করা অনেক উপকারী।
চলবে..