আদাবুল মুফরাদ- ইমাম বুখারী (রহ) ৩.সন্তান-সন্ততী- হাদীস ৭৬-১০০

দারুস সাআদাত গ্রন্থ

গ্রন্থঃ আদাবুল মুফরাদ

লেখক, ইমাম বুখারী (রহ)

অনুবাদঃ দারুস সাআদাত কর্তৃক অনূদিত

স্বত্বঃ দারুস সাআদাত কর্তৃক সংরক্ষিত, বিনানুমতিতে কপি করা, মূদ্রণ করা এবং এপে ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয়।

আদাবুল মুফরাদ

 ৩.সন্তান-সন্ততী

হাদীস ৭৬-১০০

41- بَابُ مَنْ عَالَ جَارِيَتَيْنِ أَوْ وَاحِدَةً
অনুচ্ছেদঃ৪১.যে ব্যক্তি এক অথবা দুইজন কন্যাসন্তান প্রতিপালন করে
76 – عن عقبة بن عامر – رضي الله عنه – قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وسلم يقول: (مَنْ كَانَ لهُ ثَلَاثُ بَنَاتٍ وَصَبَرَ عليهِنَّ وكَسَاهُنَّ مِنْ جِدَتِه كُنَّ لَهُ حِجَابًا مِنَ النار) .
হাদীসঃ৭৬. উকবা ইবনে আমির (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছি, কারো তিনটি কন্যা সন্তান থাকলে এবং সে তাদের ব্যাপারে ধৈর্য ধারণ করলে, যথাসাধ্য তাদের (পানাহার ও) পোশাক-আশাক দিলে, তারা কিয়ামতের দিন তার জন্য জাহান্নাম থেকে অন্তরায় হবে।
77 – عن ابن عباس رضي الله عنهما عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: (مَا مِن مُسلم تُدركه ابْنَتَانِ فَيُحْسِنُ صحبتَهُما إلا أدخلتاه الجنة) .
হাদীসঃ৭৭. ইবনে আব্বাস (রা) নবী (সা) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি ইরশাদ করেন- কোন ব্যক্তির দু’টি কন্যা সন্তান থাকলে এবং সে তাদের সাথে উত্তম ব্যবহার করলে, তবে তারা তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে।
78 – عن جابر بن عبد الله رضي الله عنهما قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (مَنْ كَانَ لَهُ ثَلَاثُ بَنَاتٍ يُؤويهنَّ ويَكْفِيهنَّ ويَرْحَمَهُنَّ فَقَدْ وَجَبَتْ لَهُ الْجَنَّةُ الْبَتَّةَ) فَقَالَ رَجُلٌ مِنْ بَعْضِ الْقَوْمِ: وثْنَتَيْن يَا رسول الله قال وثنتين)
হাদীসঃ৭৮. জাবির (রা) বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন- যে ব্যক্তির তিনটি কন্যা থাকে আর সে তাদেরকে আশ্রয় দেয় ও প্রতিপালন করে এবং তাদের সাথে দয়ার্দ্র আচরণ করে, তবে তার জন্য নিঃসন্দেহে জান্নাত ওয়াজীব। লোকদের মধ্য হতে এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করলো, যদি দুটি হয়? তিনি (সা) বললেন, দুটি হলেও।

42- بَابُ مَنْ عَالَ ثَلَاثَ أَخَوَاتٍ
অুচ্ছেদঃ৪২ যে ব্যক্তি তিন বোনকে প্রতিপালন করে
79 – عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ – رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ – أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قَالَ: (لَا يَكُونُ لِأَحَدٍ ثَلَاثُ بَنَاتٍ أَوْ ثَلَاثُ أَخَوَاتٍ فَيُحْسِن إِلَيْهِنَّ إِلَّا دَخَلَ الْجَنَّةَ)
হাদীসঃ৭৯. আবু সাঈদ খুদরী (রা) বর্ণনা করেন। রাসূলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন- যে ব্যক্তির তিনটি কন্যা বা বোন থাকে আর সে তাদের সাথে দয়ার আচরণ করে তবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।

43- بَابُ فَضْلِ مَنْ عَالَ ابْنَتَهُ الْمَرْدُودَةَ
অনুচ্ছেদঃ৪৩ যে তার ছেড়ে দেয়া কন্যা সন্তানকে প্রতিপালন করে তার মর্যাদা
80 – عن علي بن رباح أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِسُرَاقَةَ بْنِ جُعْشُم: (أَلَا أَدُلُّكَ عَلَى أَعْظَمِ الصَّدَقَةِ أَوْ مِنْ أَعْظَمِ الصَّدَقَةِ؟) قَالَ: بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ: (ابْنَتُك مَرْدُودَةٌ إِلَيْكَ ليس لها كاسِبٌ غيرُكَ)
হাদীসঃ৮০. আলী বিন রাবাহ নবী (সা) থেকে বর্ণনা করেন। রাসূলুল্লাহ (সা) সুরাকা ইবনে জু’শুম (রা)-কে বলেন, আমি কি তোমাকে সবচেয়ে বড় সাদকা অথবা যা বড় সাদকার মধ্যে গণ্য হয় তার সম্পর্কে বলব না? সে বলল, অবশ্যই ইয়া রাসূলাল্লাহ! রাসূলুল্লাহ (সা) বললেন-তা হলো, তোমার সে কন্যা (বা বোন) যে তোমার নিকট ফিরে এসেছে এবং তুমি ছাড়া তার আর কোন উপার্জনকারী নেই।

81 – عَنْ سُرَاقَةَ بْنِ جُعْشُمٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ يَا سُرَاقَةُ مثله
হাদীসঃ৮১. সুরাকা ইবনে জু’শুম (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন- হে সুরাকা! অতঃপর বর্ণনাকারী অনুরুপ হাদীস বর্ণনা করেন।

82 – عن المقدام بن معدى كَرِب – رضي الله عنه – أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: (مَا أطعمتَ نَفسَك فَهُوَ لَكَ صَدَقَةٌ، وَمَا أطعمتَ ولدكَ فَهُوَ لَكَ صَدَقَةٌ، وَمَا أَطْعَمْتَ زوجكَ فَهُوَ لَكَ صَدَقَةٌ، وَمَا أطعمت خادمك فهو لك صدقة)
হাদীসঃ৮২. মিকদাম ইবনে মাদীকারব (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ (সা)-কে বলতে শুনেছেন- তুমি নিজের ভরণপোষণের জন্য যা ব্যয় কর তা তোমার জন্য সাদকা। তোমার সন্তানের ভরণপোষণের জন্য যা ব্যয় কর তা তোমার জন্য সাদকা। তোমার স্ত্রীর ভরণপোষণের জন্য যা ব্যয় কর তা তোমার জন্য সাদকা। তোমার খাদিম ও পরিচর্যাকারীর ভরণপোষণের জন্য যা ব্যয় কর তা তোমার জন্য সাদকা।

44- بَابُ مَنْ كَرِهَ أَنْ يَتَمَنَّى مَوْتَ الْبَنَاتِ
অনুচ্ছেদঃ৪৪ যে ব্যক্তি তার কন্যা সন্তানের মৃত্যু কামনা অপছন্দ করে
83 – عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَجُلًا كَانَ عِنْدَهُ وَلَهُ بَنَاتٌ فَتَمَنَّى مَوْتَهُنَّ فَغَضِبَ ابْنُ عُمَرَ فقال: (أنت ترزُقُهن؟
হাদীসঃ৮৩. ইবনে উমর (রা) থেকে বর্ণিত। তার নিকট একজন লোক বসা ছিল। তার কয়েকজন কন্যা ছিল। আর সে (কথায় কথায়) তাদের মৃত্যু কামনা করল। তখন ইবনে উমর (রা) তার উপর খুব রাগান্বিত হয়ে বললেন, তুমিই কি তাদেরকে রিযিক প্রদান কর?

45- بَابُ الْوَلَدُ مَبْخَلَةٌ مَجْبَنَةٌ
অনুচ্ছেদঃ৪৫ সন্তানের কারণে কৃপণ ও ভীরু হওয়া
84 – عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: قَالَ أَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ يَوْمًا وَاللَّهِ مَا عَلَى وَجْهِ الْأَرْضِ رَجُلٌ أحبُ إِلَيَّ مِنْ عُمَرَ فَلَمَّا خَرَجَ رَجَعَ فَقَالَ: كَيْفَ حلفتُ أَيْ بُنَيَّةُ فقلتُ لَهُ، فَقَالَ أعزُّ علي والوَلدُ أَلْوَط
হাদীসঃ৮৪. আয়িশা (রা) বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আবু বকর (রা) একদিন বললেন, আল্লাহর শপথ! পৃথিবীর বুকে আমার নিকট (আমার সন্তান) উমরের চাইতে বেশী প্রিয় আর কেউ নাই। অতঃপর তিনি বাহিরে গিয়ে ফিরে এসে বললেন, হে আমার কন্যা! আমি কি শপথ করেছিলাম? তখন আমি তাকে স্মরণ করিয়ে দিলাম। তিনি বললেন, সে আমার নিকট খুব আদরনীয়। আর সন্তান তো কলিজার টুকরা হয়ে থাকে।

85 – عَنِ ابْنِ أَبِي نُعْمٍ قَالَ كُنْتُ شَاهِدًا ابْنَ عُمَرَ إِذْ سَأَلَهُ رَجُلٌ عَنْ دَمِ الْبَعُوضَةِ فَقَالَ: مِمَّنْ أَنْتَ؟ فَقَالَ: مِنْ أَهْلِ العراق. فقال: انظرو إِلَى هَذَا يَسْأَلُنِي عَنْ دَمِ الْبَعُوضَةِ، وَقَدْ قَتَلُوا ابْنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ هما رَيْحَانَيَّ من الدنيا)
হাদীসঃ৮৫. ইবনে আবু নু’ম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি এই বিষয়ের সাক্ষী যে, এক ব্যক্তি ইবনে উমর (রা) এর নিকট মশার রক্ত বিষয়ে (মাসআলা) জিজ্ঞাসা করল। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কোথাকার অধিবাসী? সে বলল, আমি ইরাকের অধিবাসী।
তিনি বললেন, তোমরা এর দিকে দেখ, সে (তুচ্ছ বিষয়) মশার রক্ত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করছে। অথচ তারা নবী (সা) এর সন্তান [নাতী- হুসায়ন (রা)]-কে হত্যা করেছে। আমি রাসূলুল্লাহ (সা)-কে বলতে শুনেছি-এই দুজন (হাসান-হুসাইন) আমার দুনিয়ার দুটি ফুল।

46- باب حمل الصبي على العاتق
অনুচ্ছেদঃ ৪৬ সন্তানকে কাঁধে উঠানো
86 – عن البراء – رضي الله عنه – قَالَ: رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالْحَسَنُ – صَلَوَاتُ اللَّهِ عَلَيْهِ – عَلَى عَاتِقِهِ وَهُوَ يَقُولُ: (اللهم إني أُحِبُه فَأَحِبَّه) .
হাদীসঃ৮৬. বারা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন- আমি নবী (সা)-কে দেখেছি, তার কাঁধে ছিলেন হাসান (রা)। আর তিনি তার জন্য এই দুআ করছিলেন, হে আল্লাহ! আমি তাকে মহব্বত করি সুতরাং আপনিও তাকে মহব্বত করুন।

47- باب الولد قرة العين
অনুচ্ছেদঃ৪৭ সন্তান চক্ষু শীতলকারী হয়
87 – عن جبير بن نفير قَالَ جَلَسْنَا إِلَى الْمِقْدَادِ بْنِ الْأَسْوَدِ يَوْمًا فَمَرَّ بِهِ رَجُلٌ فَقَالَ: طُوبَى لِهَاتَيْنِ الْعَيْنَيْنِ اللَّتَيْنِ رَأَتَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاللَّهِ لَوَدِدْنَا أَنَّا رَأَيْنَا مَا رَأَيْتَ وَشَهِدْنَا مَا شَهِدْتَ فاستُغضِبَ فَجَعَلْتُ أعجبُ، مَا قَالَ إِلَّا خَيْرًا ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَيْهِ فَقَالَ: مَا يَحْمِلُ الرَّجُلُ عَلَى أَنْ يَتَمَنَّى مُحْضَرًا غَيَّبَهُ اللَّهُ عَنْهُ لَا يَدْرِي لَوْ شَهِدَهُ كَيْفَ يَكُونُ فِيهِ وَاللَّهِ لَقَدْ حَضَرَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَقْوَامٌ كَبَّهُمُ الله على مَنَاخِرِهِمْ فِي جَهَنَّمَ لَمْ يُجِيبُوهُ وَلَمْ يُصَدِّقُوهُ أَوَلَا تَحْمَدُونَ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ إِذْ أَخْرَجَكُمْ لَا تَعْرِفُونَ إِلَّا رَبَّكُمْ فَتُصَدِّقُونَ بِمَا جَاءَ بِهِ نَبِيُّكُمْ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ كُفِيتُمُ الْبَلَاءَ بِغَيْرِكُمْ وَاللَّهِ لَقَدْ بُعِثَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى أَشَدِّ حَالٍ بُعِثَ عَلَيْهَا نَبِيٌّ قَط فِي فَتْرَةٍ وَجَاهِلِيَّةٍ مَا يَرَوْنَ أَنَّ دِينًا أفضلُ مِنْ عِبَادَةِ الْأَوْثَانِ فَجَاءَ بفُرقان فرَّق بِهِ بَيْنَ الْحَقِّ وَالْبَاطِلِ وفرَّق بِهِ بَيْنَ الْوَالِدِ وَوَلده حَتَّى إِنْ كَانَ الرَّجُلُ لَيَرَى والدَه أَوْ ولدَهُ أَوْ أَخَاهُ كَافِرًا وَقَدْ فَتْحَ اللَّهُ قُفْل قَلْبِهِ بِالْإِيمَانِ ويعلمُ أنَّه إِنْ هَلك دَخَلَ النَّارَ فَلَا تَقَرُّ عَيْنُهُ وَهُوَ يَعْلَمُ أَنَّ حَبِيبَهُ فِي النَّارِ وَأنَّهَا لِلَّتِي قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ: (وَالَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ) [الفرقان: 74]
হাদীসঃ৮৭. জুবায়র বিন নুফায়র বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, একদিন আমরা মিকদাদ ইবনে আসওয়াদ (রা) এর পাশে বসা ছিলাম। তখন সেখান দিয়ে একটি লোক যাওয়ার সময় তাকে উদ্দেশ্য করে বললো, ধন্য হোক এই চোখ দুটি যা নবী (সা) এর দর্শন লাভ করেছে। আল্লাহর শপথ! আমারও এই আকাঙ্ক্ষা হয় যে, যদি আমি তা দেখতাম যা আপনি দেখেছেন, আর আমি সেখানে উপস্থিত থাকতাম যেখানে আপনি উপস্থিত ছিলেন। এটা শুনে মিকদাদ (রা) রাগান্বিত হলেন। আমি অবাক হলাম যে, সে তো ঠিক কথাই বলেছে (তথাপি তিনি কেন রাগান্তি হচ্ছেন)।
তখন আসওয়াদ (রা) তার দিকে ফিরে বললেন, মানুষের কি হলো যে, তারা ঐখানে থাকার ইচ্ছা পোষণ করে যেখান থেকে আল্লাহ তাদেরকে অনুপস্থিত রেখেছেন। কে জানে, যদি তারা ঐ সময় উপস্থিত থাকত তখন কি করতো? রাসূলুল্লাহ (সা) এর নিকট এমন লোকও তো আসত যাদেরকে আল্লাহ তাআলা উপুড় করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন অথচ তারা না তো তাকে মেনেছেন আর না তাকে সত্যায়ন করেছেন। তোমরা আল্লাহর প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা আদায় কর যে, তোমাদেরকে আল্লাহ তাআলা এমন সময় ইসলামে প্রবেশ করিয়েছেন যখন তোমরা আল্লাহকে চিন এবং তোমাদের নবীর আানিত সবকিছুর সত্যায়ন কর এবং অস্বীকৃতির বিপদ অন্যের ঘাড়ে (যারা এখনো মুসলমান হয়নি) পতিত হয়েছে (আর তোমরা নিরাপদ আছ)।
আল্লার শপথ! নবী (সা) অন্যান্য নবীদের চাইতেও কঠোর পরিস্থিতে আবির্ভূত হন। ঐ জাহিলিয়াতের যুগে মানুষ মূর্তিপূজা ছাড়া আর কোন ইবাদতকেই উত্তম মনে করতো না। অনন্তর রাসূলুল্লাহ (সা) কুরআন নিয়ে অবতরণ করেন যা সত্য ও মিথ্যার মধ্যে পার্থক্য করে দেয়, পিতা পুত্রের মধ্যে পার্থক্য করে দেয়। পিতা তার সন্তান বা ভাইকে কাফির অবস্থায় দেখতো কিন্তু আল্লাহ তাআলা তার অন্তরকে বন্ধনমুক্ত করে ইমানের সৌভাগ্য দান করেছেন, সে ভাবতো- তারা তো এই অবস্থায় ধ্বংস হয়ে জাহান্নামে চলে যাবে। আর যখন তারা দেখে যে, তাদের প্রিয়জন এভাবে জাহান্নামে চলে যাবে তখন তাদের চক্ষু শীতল হতো না। এ্রর পরিপ্রেক্ষিতেই আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
وَالَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ
আর যারা বলে, হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে স্ত্রী ও সন্তানের পক্ষ থেকে চোখের শীতলতা দান করুন।– সূরা আল ফুরকান ৭৪

48- بَابُ مَنْ دَعَا لِصَاحِبِهِ أَنْ أكثِر مَالَهُ وولده
অনুচ্ছেদঃ৪৮ কারো জন্য মাল-সম্পদ ও সন্ততীতে বরকত হওয়ার দুআ করা
88 – عن أنس – رضي الله عنه – قَالَ: دَخَلْتُ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمًا وَمَا هُوَ إِلَّا أَنَا وَأُمِّي وَأُمُّ حَرَامٍ خَالَتِي إِذْ دَخَلَ عَلَيْنَا فَقَالَ لَنَا: (أَلَا أُصَلِّي بِكُمْ؟) وَذَاكَ فِي غَيْرِ وَقْتِ صَلَاةٍ، فَقَالَ: رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ فَأَيْنَ جَعَلَ أَنَسًا مِنْهُ؟ فَقَالَ جَعَلَهُ عَنْ يَمِينِهِ، ثُمَّ صَلَّى بِنَا، ثُمَّ دَعَا لَنَا أَهْلَ الْبَيْتِ بِكُلِّ خَيْرٍ مِنْ خَيْرِ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ فَقَالَتْ أُمِّي: يَا رَسُولَ اللَّهِ خُويْدِمُك ادْعُ اللَّهَ لَهُ فَدَعَا لِي بِكُلِّ خَيْرٍ، كَانَ فِي آخِرِ دُعَائِهِ أَنْ قَالَ: (اللَّهُمَّ أَكْثِرْ ماله وولده وبارك له)
হাদীসঃ৮৮. আনাস (রা) বর্ণনা করেন। একদিন আমি নবী (সা) এর নিকট হাজির হলাম। সেখানে আমার মা এবং আমার খালা উম্মু হারাম উপস্থিত ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সা) তাশরীফ আনেন এবং বলেন- আমি কি তোমাদেরকে নামায পড়াবোনা? যদিও তখন কোন নামাযের সময় ছিল না। কওমের এক ব্যক্তি আনাস (রা)-কে প্রশ্ন করলো তখন আপনাকে কোথায় দাড় করিয়েছিলেন? তিনি বললেন, তিনি তাকে ডান দিকে দাড় করিয়েছিলেন এবং আমাদেরকে নফল (নামায) পড়ালেন।
অতঃপর তিনি তার পরিবারের জন্য দুনিয়া ও আখিরাতের প্রত্যেক কল্যানের দুআ করেন। তখন আমার মা বললো, ইয়া রাসূল্লাহ! এ আপনার ছোট এক খাদিম, এর জন্য দুআ করুন। অতএব নবী (সা) আমার জন্য সব ধরণের কল্যাণের দুআ করেন। আর দুআর শেষে ছিল- হে আল্লাহ তার মাল-সম্পদ ও সন্তান সন্ততী বাড়িয়ে দিন এবং তাকে বরকত দান করুন।

49- باب الوالدات رحيمات
অনুচ্ছেদঃ৪৯ মায়েরা মমতাময়ী
89 – عن أنس بن مالك – رضي الله عنه – قال جَاءَتِ امْرَأَةٌ إِلَى عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا فَأَعْطَتْهَا عَائِشَةُ ثَلَاثَ تَمَرَاتٍ فأعْطَت كلَ صَبِيٍّ لَهَا تَمْرَةً وَأَمْسَكَتْ لِنَفْسِهَا تَمْرَةً، فَأَكَلَ الصِّبْيَانُ التَّمْرَتَيْنِ وَنَظَرَا إِلَى أُمِّهِمَا فَعَمَدَتْ إِلَى التَّمْرَةِ فَشَقَّتْهَا فَأَعْطَتْ كُلَّ صَبِيٍّ نِصْفَ تَمْرَةٍ فَجَاءَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرَتْهُ عَائِشَةُ فَقَالَ: (وَمَا يُعْجِبُكَ مِنْ ذَلِكَ لَقَدْ رَحِمَهَا الله برحمتها صَبِيَّيْها)
হাদীসঃ৮৯. আনাস (রা) বর্ণনা করেন। এক মহীলা আয়িশা (রা) এর নিকট উপস্থিত হলো। তিনি তাকে তিনটি খেজুর দিলেন। তখন মহীলাটি দুটি খেজুর তার দুই সন্তানকে দিয়ে একটি নিজের জন্য রাখলেন। বাচ্চা দুটি তাদের খেজুর দুটি খেয়ে নিল এবং মায়ের দিকে তাকালো। মা তখন তার নিজের খেজুর দুটি দুই ভাগ করে দুই সন্তানকে দিয়ে দিলেন।
এর মধ্যে রাসূলুল্লাহ (সা) ঘরে তাশরীফ আনেন। আয়িশা (রা) ঘটনাটি রাসূলুল্লাহ (সা) এর নিকট জানালেন। তখন রাসূলুল্লাহ (সা) বললেন, হে আয়িশা! এর মধ্যে অবাক হওয়ার কি আছে? যেভাবে ঐ মহীলা তার বাচ্চাদের প্রতি দয়াপরবশ হয়েছে, আল্লাহও তার প্রতি দয়াপরবশ হবেন।

50- باب قبلة الصبيان
অনুচ্ছেদঃ৫০ শিশেুদেরকে চুমু দেয়া
90 – عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ جَاءَ أَعْرَابِيٌّ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: أَتُقَبِّلُونَ صِبيانَكم؟ فَمَا نُقَبِّلُهُمْ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (أَوَ أمْلِكُ لَكَ أن نَزَعَ الله من قلبِكَ الرَّحمة
হাদীসঃ৯০. আয়িশা (রা) বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, এক আরব বেদুইন রাসূলুল্লাহ (সা) এর নিকট হাজির হলো এবং বললো, আপনারা শিশুদেরকে চুমু দেন? আমরা তো তাদেরকে চুমু দেই না। তখন নবী (সা) বললেন, যদি তোমার অন্তর থেকে আল্লাহ তাআলা দয়ামায়া বের করে নেন তবে আমি কি করতে পারি?

91 – عن أبي هريرة – رضي الله عنه – قَالَ: قَبَّل رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَسَنَ بْنَ عَلِيٍّ وَعِنْدَهُ الْأَقْرَعُ بْنُ حَابِسٍ التَّمِيمِيُّ جَالِسٌ فَقَالَ الْأَقْرَعُ إِنَّ لِي عَشَرَةً مِنَ الْوَلَدِ مَا قَبَّلْتُ مِنْهُمْ أَحَدًا فَنَظَرَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ قَالَ: (مَنْ لَا يَرحَم لَا يُرحَم)
হাদীসঃ৯১. আবু হুরায়রাহ (রা) বলেন, নবী (সা) হাসান বিন আলী (রা)-কে চুমু দিলেন। পাশে আকরা বিন হারিস তাইমী (রা) বসা ছিলেন। তিনি বললেন, আমার তো দশজন সন্তান, আমি তো তাদেরকে কখনো চুমু দেইনি। রাসূলুল্লাহ (সা) তার দিকে তাকিয়ে বললেন, যে অন্যের প্রতি দয়া করে না তার প্রতিও দয়া করা হয় না।

51- باب أدب الوالد وبره لولده
অনুচ্ছেদঃ৫১ সন্তানকে পিতার আদব ও সদ্ব্যবহার শিখানো
92 – عن نمير بن أوس قال: كَانُوا يَقُولُونَ الصَّلَاحُ مِنَ اللَّهِ وَالْأَدَبُ مِنَ الآباء.
হাদীসঃ৯২. হযরত নুমায়র বিন আউস বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, নেক আমল আসে আল্লাহর পক্ষ থেকে আর আদব শিষ্টাচার আসে পিতা-মাতার পক্ষ থেকে।

93 – عن النعمان بن بشير رضي الله عنهما أَنَّ أَبَاهُ انْطَلَقَ بِهِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَحْمِلُهُ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أُشْهِدُكَ أَنِّي قَدْ نَحَلْتُ النُّعْمَانَ كَذَا وَكَذَا فَقَالَ: (أكلَّ ولدِكَ نَحَلْتَ؟) قَالَ: لَا قَالَ: (فَأَشْهِدْ غَيْرِي) ثُمَّ قَالَ: (أليسَ يَسُرَّك أَنْ يَكُونُوا فِي البِّر سَوَاءً؟) قال: بلى، قال: (فلا إذاً)
হাদীসঃ৯৩. নুমান ইনে বশীর (রা) থেকে বর্ণিত। একদিন তার পিতা তাকে উঠিয়ে রাসূলুল্লাহ (সা) এর কাছে নিয়ে গেলেন এবং আরয করলেন, ইয়া রাসূল্লাল্লাহ! আমি আপনাকে এ বিষয়ের সাক্ষী বানাচ্ছি যে, আমি অমার সন্তান নুমানকে এই এই সম্পদ দান করলাম।
রাসূলুল্লাহ (সা) বললেন, তুমি কি তোমার সব সন্তানকে অনুরুপ দিয়েছো? সে বললো, না। তিনি (সা) বললেন, তুমি আমাকে সাক্ষী করো না, বরং অন্য কাউকে সাক্ষী কর। অতঃপর বললেন, তুমি কি এটা চাও না যে, তোমার সব সন্তান নেককাজে (আদব ও সদ্ব্যবহারে) সমান হয়? সে বললো, অবশ্যই ইয়া রাসূলাল্লাহ! রাসূলুল্লাহ (সা) বললেন, তাহলে এমন করো না (বরং সবার সাথে সদাচরণ ও ইনসাফ কর যাতে তারাও তোমার সাথে ইনসাফ ও সদ্ব্যবহার করে)।
ইমাম বুখারী (রহ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) এই সাক্ষ্যের ব্যাপারে তাকে অনুমতি প্রদান করা উদ্দেশ্য নয় বরং উদ্দেশ্য তাকে ইনসাফ করতে উদ্বুদ্ধ করা।

52- باب بر الأب لولده
অনুচ্ছেদঃ৫২ সন্তানের প্রতি পিতার সদ্ব্যবহার
94 – عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: إِنَّمَا سَمَّاهُمُ اللَّهُ أَبْرَارًا لِأَنَّهُمْ بَرُّوا الْآبَاءَ وَالْأَبْنَاءَ كَمَا أَنَّ لِوَالِدكَ عليكَ حقا كذلك لِوَلِدكَ عليك حقا كذلك لولدك عليك حق)
হাদীসঃ৯৪. ইবনে উমর (রা) বলেন- আল্লাহ তাআলা (কুরআনে) নেককারদের নাম ‘আবরার’ রেখেছেন। কেননা তারা তাদের পিতা ও সন্তানদের সাথে সদ্ব্যবহার করেন। যেভাবে তোমার পিতার তোমার উপর হক আছে, তেমনি তোমার উপর তোমার পুত্রেরও (সন্তানের) হক আছে।

53- باب من لا يرحم لا يُرحم
অনুচ্ছেদঃ৫৩. যে দয়া করে না তার প্রতিও দয়া করা হয় না
95 – عن أبى سعيد – رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ – عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: (مَنْ لَا يَرحم لَا يُرحَم)
হাদীসঃ৯৫. আবু সাঈদ (রা) নবী (সা) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি ইরশাদ করেন- যে অন্যের প্রতি দয়া করে না তার প্রতিও দয়া করা হয় না।

96 – عن جرير بن عبد الله – رضي الله عنه – قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا يَرْحَمُ اللَّهُ مَنْ لَا يَرْحَمُ الناس)
হাদীসঃ৯৬. জারির ইবনে আব্দুল্লাহ (রা) বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন- আল্লাহ তার প্রতি দয়া করেন না, যে মানুষের প্রতি দয়া করে না।

97 – عَنْ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وسلم: (من لا يرحم الناس لا يرحمه الله)
হাদীসঃ৯৭. জারির ইবনে আব্দুল্লাহ (রা) বর্ণনা করেন। রাসূলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন- যে মানুষের প্রতি দয়া করে না, আল্লাহও তার প্রতি দয়া করেন না।

98 – عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَاسٌ مِنَ الْأَعْرَابِ فَقَالَ لَهُ رَجُلٌ مِنْهُمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَتُقَبِّلُونَ الصِّبْيَانَ فَوَاللَّهِ مَا نُقَبِّلُهُمْ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (أَوَ أَمْلِكُ أنْ كَانَ اللَّهُ عَزَّ وجل نَزَع من قلبِك الرحمة) .
হাদীসঃ৯৮. আয়িশা (রা) বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) এর নিকট কতক বেদুইন আগমন করে। তাদের মধ্যে একজন বললো, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনারা বাচ্চাদেরকে চুম্বন করেন। আল্লাহর শপথ! আমরা তো চুম্বন করি না। রাসূলুল্লাহ (সা) বললেন, যদি তোমাদের অন্তর হতে আল্লাহ তাআলা একান্তই দয়া মায়া উঠিয়ে নেন, তাতে আমার কি করার থাকতে পারে?

99 – عَنْ أَبِي عُثْمَانَ أَنَّ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ اسْتَعْمَلَ رَجُلًا فَقَالَ: الْعَامِلُ إِنَّ لِي كَذَا وَكَذَا مِنَ الْوَلَدِ مَا قَبَّلْتُ وَاحِدًا مِنْهُمْ، فَزَعَمَ عُمَرُ أَوْ قَالَ عُمَرُ: إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ لَا يَرْحَمُ مِنْ عِبَادِهِ إلا أبرَّهُم)
হাদীসঃ৯৯. আবু উসমান (রা) বলেন, উমর (রা) এক ব্যক্তিকে কর্মী নিয়োগ করলেন। কর্মীটি বললো, আমার এতগুলো সন্তান আর আমি তাদেরকে কখনো চুমু দেইনি। তখন উমর (রা) ধারণা করলেন বা বললেন, নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাআলা তার বান্দাদের মধ্যে সদাচারী ব্যতীত কাউকে দয়া করেন না।

54- باب الرحمة مائة جزء
অনুচ্ছেদঃ৫৪ দয়া ও রহমতের শতভাগ
100 – عن أبي هريرة – رضي الله عنه – قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: (جَعَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ الرَّحْمَةَ مِائَةَ جُزْءٍ فَأَمْسَكَ عِنْدَهُ تِسْعَةً وَتِسْعِينَ وَأَنْزَلَ فِي الْأَرْضِ جُزْءًا وَاحِدًا فَمِنْ ذَلِكَ الْجُزْءِ يَتَرَاحَمُ الْخَلْقُ حَتَّى تَرفعَ الفرسُ حافِرها عن ولدها خشية أن تُصِيبَه) .
হাদীসঃ১০০. আবু হুরায়রা (রা) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা)-কে বলতে শুনেছি, আল্লাহ তাআলা রহমত ও দয়া মায়াকে শত ভাগ করেছেন। তার মধ্যে নিরানব্বই ভাগ তার কাছে রেখে দিয়েছেন আর এক ভাগ পৃথিবীবাসীদের জন্য দিয়েছেন যার দ্বারা সৃষ্টজীব পরস্পর দয়ামায়া প্রকাশ করে থাকে। এমনকি ঘোড়া তার পা এই আশঙ্কায় সরিয়ে নেয় যে, তার বাচ্চা হয়তো ব্যথা পাবে।

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button
error: Content is protected !!