আত তারগীব ওয়াত তারহীব-আল মুনযিরী (রহ)- কিতাবুস সুন্নাহ
দারুস সাআদাত গ্রন্থ
গ্রন্থঃ মুখতাসার আত তারগীব ওয়াত তারহীব
লেখক, আল মুনযিরী (রহ)
অনুবাদঃ দারুস সাআদাত কর্তৃক সংকলিত ও অনূদিত
স্বত্বঃ দারুস সাআদাত কর্তৃক সংরক্ষিত, বিনানুমতিতে কপি করা, মূদ্রণ করা এবং এপে ব্যবহার করলে আইনত দণ্ডনীয়।
كتاب السّنة
কিতাবুস সুন্নাহ
কিতাবুস সুন্নাহ মূলত কিতাবুল ইখলাসের অংশ। ইবনে হাজার (রহ) মুখতাসার তারগীবে এটি পৃথক করেছেন। এখানে পৃথকভাবে উল্লেখ করা হলো।
1 – التَّرْغِيب فِي اتِّبَاع الْكتاب وَالسّنة
১.কিতাব ও সুন্নাহর অনুসরণের প্রতি উৎসাহ প্রদান
হাদীস ২৮ (৬১)
عَن الْعِرْبَاض بن سَارِيَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ وعظنا رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم موعظة وجلت مِنْهَا الْقُلُوب وذرفت مِنْهَا الْعُيُون فَقُلْنَا يَا رَسُول الله كَأَنَّهَا موعظة مُودع فأوصنا
قَالَ أوصيكم بتقوى الله والسمع وَالطَّاعَة وَإِن تَأمر عَلَيْكُم عبد
وَإنَّهُ من يَعش مِنْكُم فسيرى اخْتِلَافا كثيرا فَعَلَيْكُم بِسنتي وَسنة الْخُلَفَاء الرَّاشِدين المهديين عضوا عَلَيْهَا بالنواجذ وَإِيَّاكُم ومحدثات الْأُمُور فَإِن كل بِدعَة ضَلَالَة
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَقَالَ التِّرْمِذِيّ حَدِيث حسن صَحِيح
হযরত ইরবায ইবন সারিয়া (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ (সা) আমাদেরকে এমন ওয়ায করলেন যে, যা শুনে আমাদের অন্তরে ভয় সঞ্চার হলো এবং চক্ষু দিয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ল। তখন আমরা আরয করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! মনে হচ্ছে এ যেন বিদায়ী ভাষণ। অতএব আপনি আমাদেরকে কিছু উপদেশ দিন। তখন রাসূলুল্লাহ (সা) বললেন, আমি তোমাদেরকে আল্লাহকে ভয় করার এবং (শাসকের) আনুগত্য অনুসরণ করার উপদেশ দিচ্ছি, যদিও কোন গুলামকেই তোমাদের শাসক বানানো হয় না কেন। তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তিই (আমার পরে) জীবিত থাকবে, সে অনেক মতভেদ দেখতে পাবে। অতএব তোমাদের জন্য আবশ্যক হলো আমার সুন্নত ও হিদায়াত ও সুপথপ্রাপ্ত খলীফাদের সুন্নতকে অনুসরণ করা এবং মজবুতভাবে আঁকড়ে থাকা। আর বিদআত বা দীনের মধ্যে নতুন সৃষ্ট বিষয় থেকে বেঁচে থাকবে, কেননা প্রত্যেক বিদআত হলো গোমরাহী।–সহিহ
হাদীসটি আবু দাউদ, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ এবং ইবনে হিব্বান তার সহিহ-এ বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী বলেছেন হাদীসটি হাসান সহিহ।
হাদীস ২৯ (৬২)
وَعَن أبي شُرَيْح الْخُزَاعِيّ قَالَ خرج علينا رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ أَلَيْسَ تَشْهَدُون أَن لَا إِلَه إِلَّا الله وَأَنِّي رَسُول الله قَالُوا بلَى قَالَ إِن هَذَا الْقُرْآن طرفه بيد الله وطرفه بِأَيْدِيكُمْ فَتمسكُوا بِهِ فَإِنَّكُم لن تضلوا وَلنْ تهلكوا بعده أبدا. رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير بِإِسْنَاد جيد
হযরত আবু শুরায়হ আল খুযায়ী বর্ণনা করেন। একবার রাসূলুল্লাহ (সা) তাশরীফ আনেন এবং বলেন- তোমরা কি এ বিষয়ের সাক্ষ্য প্রদান কর না যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন মাবুদ নাই এবং আমি আল্লাহর রাসূল? তখন লোকেরা বলল, অবশ্যই। রাসূলুল্লাহ (সা) বললেন, নিশ্চয়ই এই কুরআনের এক পার্শ্ব আল্লাহর হাতে আর অপর পার্শ্ব তোমাদের হাতে। অতএব তা মজবুতভাবে আঁকড়ে ধর, তারপর কখনো তোমরা ধ্বংস হবে না।– সহিহ
হাদীসটি তাবরানী তার কাবীরে উত্তম সনদে বর্ণনা করেছেন।
হাদীস ৩০ (৬৪)
وَعَن أبي سعيد الْخُدْرِيّ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من أكل طيبا وَعمل فِي سنة وَأمن النَّاس بوائقه دخل الْجنَّة قَالُوا يَا رَسُول الله إِن هَذَا فِي أمتك الْيَوْم كثير قَالَ وسيكون فِي قوم بعدِي.
رَوَاهُ ابْن أبي الدُّنْيَا فِي كتاب الصمت وَغَيره وَالْحَاكِم وَاللَّفْظ لَهُ وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
হযরত আবু সাঈদ আল খুদরী (রা) বর্ণনা করেন। নবী কারীম (সা) ইরশাদ করেন- যে ব্যক্তি হালাল খাবার খায়, সুন্নতের অনুসরণ করে এবং লোকদেরকে কষ্ট দেয়া থেকে বিরত থাকে, তবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। লোকেরা বললো, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনার উম্মতের মধ্যে এ ধরণের লোক তো এখন অনেক। নবী (সা) বললেন, আমার পরও এমন লোক থাবকে।–যয়ীফ
ইবনে আবিদ দুনইয়া কিতাবুস সুমত-এ হাদীসটি বর্ননা করেছেন। হাকীম হাদীসটি নিজ শব্দে বর্ণনা করেছেন আর তিনি বলেছেন হাদীসটির সনদ সহিহ।
হাদীস ৩১ (৬৫)
65 – وَعَن أبي هُرَيْرَة عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من تمسك بِسنتي عِنْد فَسَاد أمتِي فَلهُ أجر شَهِيد
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ من حَدِيث أبي هُرَيْرَة بِإِسْنَاد لَا بَأْس بِهِ.
৬৫.হযরত আবু হুরায়রা (রা) বর্ণনা করেন। রাসূলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন- যে ব্যক্তি আমার উম্মতের ফ্যাসাদের যুগে আমার সুন্নতকে মজবুতভাবে আঁকড়ে থাকবে, সে একজন শহীদের সওয়া পাবে।–যয়ীফ
তাবরানী হাদীসটি নির্দোষ সনদে বর্ণনা করেছেন [একশত শহীদের সওয়াব বিশিষ্ট হাদীসটি বেশী দুর্বল-অনুবাদক]
হাদীস ৩২ (৬৬)
عَن ابْن عَبَّاس أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم خطب النَّاس فِي حجَّة الْوَدَاع فَقَالَ إِن الشَّيْطَان قد يئس أَن يعبد بأرضكم وَلَكِن رَضِي أَن يطاع فِيمَا سوى ذَلِك مِمَّا تحاقرون من أَعمالكُم فاحذروا إِنِّي قد تركت فِيكُم مَا إِن اعْتَصَمْتُمْ بِهِ فَلَنْ تضلوا أبدا كتاب الله وَسنة نبيه الحَدِيث. رَوَاهُ الْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
হযরত ইবনে আব্বাস (রা) বর্ণনা করেন। রাসূলুল্লাহ (সা) বিদায় হজের ভাষণে লোকদেরকে উপদেশ দিতে গিয়ে ইরশাদ করেন- শয়তান এ ব্যাপারে নিরাশ হয়ে গেছে যে, তোমাদের যমীনে তার ইবাদত করা হবে, তবে অন্যান্য আমলের ব্যাপারে যা তোমরা তুচ্ছ মনে কর, তার ব্যাপারে অশা রাখে যে, তার অনুসরণ করা হবে। অতএব তোমরা এগুলোর ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করবে। আমি তোমাদের নিকট এমন বিষয় রেখে যাচ্ছি, তা যদি তোমরা মজবুতভাবে আঁকড়ে থাক তাহলে কখনো পথভ্রষ্ট হবে না। তা হলো আল্লাহর কিতাব আর নবীর সুন্নত।-সহিহ
হাকীম হাদীসটি বর্ননা করেছেন এবং তিনি বলেন এর সনদ সহিহ।
হাদীস ৩৩ (৬৭)
وَعَن ابْن مَسْعُود رَضِي الله عَنهُ قَالَ الاقتصاد فِي السّنة أحسن من الِاجْتِهَاد فِي الْبِدْعَة
رَوَاهُ الْحَاكِم مَوْقُوفا وَقَالَ إِسْنَاده صَحِيح على شَرطهمَا
৬৭.হযরত ইবনে মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন- সুন্নতের উপর মধ্যমপন্থা অবলম্বন করা বিদআত গবেষণার চেয়ে উত্তম।– সহিহ মাওকুফ
হাকীম হাদীসটি মাওকুফরুপে বর্ণনা করেছন এবং বলেছেন এটি বুখারী ও মুসলিমের শর্ত অনুযায়ী সহিহ।
হাদীস ৩৩ (৬৮)
وَعَن أبي أَيُّوب الْأنْصَارِيّ قَالَ خرج علينا رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَهُوَ مرعوب فَقَالَ وأطيعوني مَا كنت بَين أظْهركُم وَعَلَيْكُم بِكِتَاب الله أحلُّوا حَلَاله وحرموا حرَامه. رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير وَرُوَاته ثِقَات
হযরত আবু আউয়ুব আনসারী (রা) বর্ণনা করেন। একবার নবী (সা) আমাদের এখানে তাশরিফ আনেন। তখন তিনি গম্ভীর অবস্থায় ছিলেন। তিনি বললেন- যে পর্যন্ত আমি তোমাদের মাঝে আছি তোমরা আমার আনুগত্য কর। আর তোমরা আল্লাহর কিতাবকে মজবুতভাবে ধারণ কর। তার হালালকে হালাল ভাবআর হারামকে হারাম মনে কর।– সহিহ
তাবরানী কাবীরে এটি বর্ণনা করেছেন এর বর্ণনাকারীগণ বিশ্বস্ত।
হাদীস ৩৪ (৬৯)
عَن جَابر قَالَ إِن هَذَا الْقُرْآن شَافِع مُشَفع من اتبعهُ قَادَهُ إِلَى الْجنَّة وَمن تَركه أَو أعرض عَنهُ أَو كلمة نَحْوهَا زج فِي قَفاهُ إِلَى النَّار. رَوَاهُ الْبَزَّار
হযরত জাবির (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন- এই কুরআন হলো সুপারিশকারী আর তার সুপারিশ ঐ ব্যক্তির জন্য গৃহিত হবে যে তার অনুসরণ করে। এটি তাকে জান্নাতে নিয়ে যাবে। আর যে তা বর্জন করবে বা মুখ ফিরিয়ে নিবে, তাহলে ঐ ব্যক্তির ঘাড় ধরে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।-সহিহ
বাযযার হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
হাদীস ৩৫ (৭১)
وَعَن عَابس بن ربيعَة قَالَ رَأَيْت عمر بن الْخطاب رَضِي الله عَنهُ يقبل الْحجر يَعْنِي الْأسود وَيَقُول إِنِّي لأعْلم أَنَّك حجر لَا تَنْفَع وَلَا تضر وَلَوْلَا أَنِّي رَأَيْت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يقبلك مَا قبلتك.
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ
হযরত আবিস ইবনে রাবিআ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন- আমি উমর (রা)-কে দেখলাম হাজরে আসওয়াদ চুম্বন করে বলছেন- আমি জানি তুমি একটি পাথর মাত্র। না তুমি কোন উপকার করতে পার আর না কোন ক্ষতি। যদি আমি নবী (সা)-কে তোমাকে চুম্বন করতে না দেখতাম তবে কখনো তোমাকে চুম্ভন করতাম না।-সহিহ
হাদীসটি বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী ও নাসাঈ বর্ণনা করেছেন
হাদীস ৩৬ (৭৩)
وَعَن زيد بن أسلم قَالَ رَأَيْت ابْن عمر يُصَلِّي محلولا أزراره فَسَأَلته عَن ذَلِك فَقَالَ رَأَيْت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَفْعَله. رَوَاهُ ابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَرَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ
হযরত যায়দ ইবনে আসলাম বর্ণনা করেন। আমি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা)-কে দেখলাম তিনি জামার বোতাম খোলা অবস্থায় নামায পড়ছেন। আমি তাকে এর কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা)-কে এমন করতে দেখছি।- যয়ীফ
ইবনে খুযায়মাহ তার সহিহ-তে এবং বায়হাকী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
হাদীস ৩৭ (৭৪)
وَعَن مُجَاهِد قَالَ كُنَّا مَعَ ابْن عمر رَحمَه الله فِي سفر فَمر بمَكَان فحاد عَنهُ فَسئلَ لم فعلت ذَلِك قَالَ رَأَيْت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فعل هَذَا فَفعلت. رَوَاهُ أَحْمد وَالْبَزَّار بِإِسْنَاد جيد
মুজাহিদ (রহ) বর্ননা করেন। আমরা ইবনে উমর (রা) এর সাথে সফর করছিলাম। এক স্থানে পৌঁছে তিনি মূল রাস্তা থেকে সরে গেলেন। তাকে জিজ্ঞাসা করা হলো আপনি এমন কেন করলেন? তিনি বললেন, আমি নবী (সা)-কে (এই স্থানে) এমন করতে দেখেছি তাই তার অনুসরণ করেছি।-সহিহ
আহমদ ও বাযযার হাদীসটি উত্তম সনদে বর্ননা করেছেন।
হাদীস ৩৮ (৭৫)
وَعَن ابْن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا أَنه كَانَ يَأْتِي شَجَرَة بَين مَكَّة وَالْمَدينَة فيقيل تحتهَا ويخبر أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم كَانَ يفعل ذَلِك. رَوَاهُ الْبَزَّار بِإِسْنَاد لَا بَأْس بِهِ
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর সম্পর্কে এ কথাটি প্রচলিত আছে যে, তিনি মক্কা ও মদীনায় সফরের মাঝখানে একটি নির্দিষ্ট গাছের নিচে এসে কিছুক্ষণ বিশ্রাম করতেন আর বলতেন, নবী (সা) এমন করতেন।- সহিহ
বাযাার নির্দোষ সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
2 – التَّرْهِيب من ترك السّنة وارتكاب الْبدع والأهواء
২.সুন্নত পরিত্যগ করা এবং বিদআত ও প্রবৃত্তির অনুসরণ করার বিষয়ে ভতি প্রদর্শন
হাদীস ৩৮ (৭৭)
عَن عَائِشَة رَضِي الله عَنْهَا قَالَت قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من أحدث فِي أمرنَا هَذَا مَا لَيْسَ مِنْهُ فَهُوَ رد. رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَأَبُو دَاوُد
৭৭.হযরত আয়িশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন- যে আমাদের দীনের ব্যাপারে নতুন কিছু উদ্ভাবন করবে যা তার অংশ নয় তবে তা রদ করে দেয়া হবে। -সহিহ
হাদীসটি বুখারী, মুসলিম ও আবু দাউদ বর্ণনা করেছেন।
হাদীস ৩৯ (৭৯)
وَعَن مُعَاوِيَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَامَ فِينَا رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ أَلا إِن من كَانَ قبلكُمْ من أهل الْكتاب افْتَرَقُوا على ثِنْتَيْنِ وَسبعين مِلَّة وَإِن هَذِه الْأمة ستفرق على ثَلَاث وَسبعين ثِنْتَانِ وَسَبْعُونَ فِي النَّار وَوَاحِدَة فِي الْجنَّة وَهِي الْجَمَاعَة. رَوَاهُ أَحْمد
হযরত মুআবিয়া (রা) বর্ণনা করেন। একবার রাসূলুল্লাহ (সা) আমাদের খুতবাহ দেওয়ার জন্য দাড়ান। তিনি ইরশাদ করেন- জেনে রাখ! তোমাদের পূর্বে আহলে কিতাব (ইহুদী-খৃষ্টান) ৭২ দলে বিভক্ত হয়েছিল। আর অচীরেই এই উম্মত ৭৩ দলে বিভক্ত হবে। এর মধ্যে ৭২ দল জাহান্নামে যাবে আর একটি দল জান্নাতে যাবে। আর তা হলো (কুরআন ও সুন্নাহর অনুসারী) জামাআত।– হাসান সহিহ
আহমদ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
وَأَبُو دَاوُد وَزَاد فِي رِوَايَة وَإنَّهُ ليخرج فِي أمتِي أَقوام تتجارى بهم الْأَهْوَاء كَمَا يتجارى الْكَلْب بِصَاحِبِهِ لَا يبْقى مِنْهُ عرق وَلَا مفصل إِلَّا دخله
আবু দাউদের বর্ণনায় অতিরিক্ত আছে- আমার উম্মতের মধ্যে এমন কিছু লোকের আবির্ভাব ঘটবে যাদের নফসানী খাহেশ তাদের সাথে এমনভাবে লেপ্টে থাকবে, যেভাবে কুকুর কামরালে তার প্রতিক্রিয়া প্রত্যেক রগ ও শিরা উপশিরায় ছড়িয়ে যায়।–হাসান
হাদীস ৪০ (৮১)
وَعَن أبي بَرزَة رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ إِنَّمَا أخْشَى عَلَيْكُم شهوات الغي
فِي بطونكم وفروجكم ومضلات الْهوى. رَوَاهُ أَحْمد وَالْبَزَّار وَالطَّبَرَانِيّ فِي معاجيمه الثَّلَاثَة
হযরত আবু বারযাহ (রা) রাসূলুল্লাহ (সা) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি ইরশাদ করেন- আমি তোমাদের ব্যাপারে সবচেয়ে বেশী ভয় করি তোমাদের পেট ও লজ্জাস্থানের অনাচার এবং পথভ্রষ্টকারী প্রবৃত্তির।–সহিহ
আহমদ, বাযযার ও তাবরানী তার তিন মুজামে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
হাদীস ৪১ (৮৪)
وروى عَنهُ الطَّبَرَانِيّ أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ مَا من أمة ابتدعت بعد نبيها فِي دينهَا إِلَّا أضاعت مثلهَا من السّنة
তাবরানী হযরত উযায়ফ বিন হারিস আশ শিমালী থেকে বর্ণনা করেন। রাসূলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন- যে উম্মতই নিজেদের নবীর (মৃত্যুর) পর নিজেদের দীনের ব্যাপারে বিদআত সৃষ্টি করেছে তখন অনুরুপ একটি সুন্নতকে বিনষ্ট করে দিয়েছে। -যয়ীফ
হাদীস ৪২ (৮৬)
وَعَن أنس رَضِي الله عَنهُ عَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ وَأما المهلكات فشح مُطَاع وَهوى مُتبع وَإِعْجَاب الْمَرْء بِنَفسِهِ. رَوَاهُ الْبَزَّار وَالْبَيْهَقِيّ وَغَيرهمَا
হযরত আনাস (রা) রাসূলুল্লাহ (সা) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি ইরশাদ করেন- ধ্বংসকারী বিষয় হলো ঐ লালসা ও কৃপণতা যার আনুগত্য করা হয়, ঐ নফসানী খাহেশ যার অনুসরণ করা আর কোন ব্যক্তির নিজেকে নিজে ভাল মনে করা।-হাসান লিগায়রিহী
ইমাম বাযযার ও বায়হাকীসহ আরো অনেকে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
হাদীস ৪৩ (৮৭)
وَعَن أنس بن مَالك رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِن الله حجب التَّوْبَة عَن كل صَاحب بِدعَة حَتَّى يدع بدعته. رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَإِسْنَاده حسن وَرَوَاهُ ابْن مَاجَه
হযরত অনাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন- নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক বিদআতির তওবা থেকে পর্দা করে নিয়েছেন (অর্থাৎ তার তওবা কবুল করেন না) যে পর্যন্ত না সে বিদআত বর্জন করে।– সহিহ
তাবরানী হাদীসটি হাসান সনদে এবং ইবনে মাজাহ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
وَابْن عَاصِم فِي كتاب السّنة من حَدِيث ابْن عَبَّاس وَلَفْظهمَا قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَبى الله أَن يقبل عمل صَاحب بِدعَة حَتَّى يدع بدعته.
ইবনে আবী আসিম কিতাবুস সুন্নায় হযরত ইবনে আব্বাস (রা) থেকে এই শব্দে হাদীসটি বর্ণনা করেন। রাসূলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন- আল্লাহ তাআলা অস্বীকার করেছেন যে, কোন বিদআতীর আমল কবুল করবেন, যে পর্যন্ত না সে তার বিদআত বর্জন করে।– সহিহ লিগায়রিহী
হাদীস ৪৪ (৮৮)
وَعَن الْعِرْبَاض بن سَارِيَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إيَّاكُمْ والمحدثات فَإِن كل محدثة ضَلَالَة. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَقَالَ التِّرْمِذِيّ حَدِيث حسن صَحِيح
হযরত ইরবায ইবনে সারিয়া (রা) বর্ণনা করেন। রাসূলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন- তোমরা প্রত্যেক নতুন বিষয় (বিদআত) থেকে বেঁচে থাক, কেননা প্রত্যেক নতুন বিষয় (বিদআত) গুমরাহী।–সহিহ
হাদীসটি আবু দাউদ, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ এবং ইবনে হিব্বান তার সহিহতে বর্ণনা করেছেন তিরিমযী বলেছেন হাদীসটি হাসান সহিহ।
হাদীস ৪৫ (৯০)
وَعَن عبد الله بن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لكل عمل شرة وَلكُل شرة فَتْرَة فَمن كَانَت فترته إِلَى سنتي فقد اهْتَدَى وَمن كَانَت فترته إِلَى غير ذَلِك فقد هلك
رَوَاهُ ابْن أبي عَاصِم وَابْن حبَان فِي صَحِيحه
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা) বর্ণনা করেন। রাসূলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন- প্রত্যেক কাজের জন্য আকাঙ্ক্ষা রয়েছে আর প্রত্যেক আকাঙ্ক্ষার রয়েছে লক্ষ্য। অতএব যার লক্ষ্য আমার সুন্নত অভিমুখী হবে সে হিদায়াত পাবে আর যার লক্ষ্য আমার সুন্নতের বাইরে অন্য কিছুর দিকে হবে সে ধ্বংস হবে।-সহিহ
ইবনে আবী আসিম ও ইবনে হিব্বান তার সহিহতে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
হাদীস ৪৬ (৯১)
وَعَن أنس رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من رغب عَن سنتي فَلَيْسَ مني.
رَوَاهُ مُسلم
হযরত অনাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন- যে আমার সুন্নত থেকে বিমুখ হবে সে আমার দলভুক্ত নয়।-সহিহ
মুসলিম হাদসিটি বর্ণনা করেছেন।
হাদীস ৪৭ (৯৩)
وَعَن الْعِرْبَاض بن سَارِيَة رَضِي الله عَنهُ أَنه سمع رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول لقد تركتكم على مثل الْبَيْضَاء لَيْلهَا كنهارها لَا يزِيغ عَنْهَا إِلَّا هَالك. رَوَاهُ ابْن أبي عَاصِم فِي كتاب السّنة بِإِسْنَاد حسن
হযরত ইরবায ইবনে সারিয়া (রা) বর্ণনা করেন। তিনি রাসূলুল্লাহ (সা)-কে বলতে শুনেছেন- আমি তোমাদেরকে আলোকজ্জ্বল অবস্থার উপর রেখে গেলাম, যার রাত দিনের মতই উজ্জল। কেবল মাত্র ধ্বংসের উপক্রম ব্যক্তিই তা পরিত্যাগ করে উদ্ভ্রান্ত হতে পারে। -সহিহ
ইবনে আসিম তার কিতাবুস সুন্নায় উত্তম সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
3 – التَّرْغِيب فِي الْبدَاءَة بِالْخَيرِ ليستن بِهِ والترهيب من الْبدَاءَة بِالشَّرِّ خوف أَن يستن بِهِ
৩.অনুসরণ করা হয় এমন ভাল কাজের সূচনা করার প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং অনুসরণ করা হবে এমন মন্দ কাজের সূচনা করা থেকে ভীতি প্রদর্শন
হাদীস ৪৮ (৯৫)
عَن جرير رَضِي الله عَنهُ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من سنّ فِي الْإِسْلَام سنة حَسَنَة فَلهُ أجرهَا وَأجر من عمل بهَا من بعده من غير أَن ينقص من أُجُورهم شَيْء وَمن سنّ فِي الْإِسْلَام سنة سَيِّئَة كَانَ عَلَيْهِ وزرها ووزر من عمل بهَا من غير أَن ينقص من أوزارهم شَيْء.
رَوَاهُ مُسلم وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه وَالتِّرْمِذِيّ بِاخْتِصَار الْقِصَّة
হযরত জারির (রা) বর্ণনা করেন। (একটি ঘটনার প্রেক্ষিতে) রাসূলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন- যে ব্যক্তি ইসলামে কোন ভাল কাজের প্রচলন করবে, তাহলে তার প্রতিদান সে পাবে, আর তার পরে যত লোক তার উপর আমল করবে তাদের প্রতিদানও সে পাবে, আর ঐ লোকদের প্রতিদানও কম করা হবে না। আর যে ব্যক্তি ইসলামে কোন মন্দ কাজের প্রচলন করবে, তবে তার গুনাহ তার উপর বর্তাবে। আর তার পরে যত লোক এর উপর আমল করবে তাদের গুনাহও তার উপর বর্তাবে, আর ঐ লোকদের গুনাহও কম করা হবে না।–সহিহ
হাদীসটি মুসলিম, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ এবং তিরমিযী ঘটনা ব্যতীত হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
হাদীস ৪৯ (৯৬)
وَعَن حُذَيْفَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَأَلَ رجل على عهد رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَأمْسك الْقَوْم ثمَّ إِن رجلا أعطَاهُ فَأعْطى الْقَوْم فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من سنّ خيرا فاستن بِهِ كَانَ لَهُ أجره وَمثل أجور من تبعه غير منقص من أُجُورهم شَيْئا وَمن سنّ شرا فاستن بِهِ كَانَ عَلَيْهِ وزره وَمثل أوزار من تبعه غير منتقص من أوزارهم شَيْئا
رَوَاهُ أَحْمد وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد وَرَوَاهُ ابْن مَاجَه من حَدِيث أبي هُرَيْرَة
হযরত হুযায়ফা (রা) বর্ণনা করেন। নবী (সা) এর যুগে এক ব্যক্তি (লোকদেরকে) সাহায্যের জন্য বললেন। কিন্তু লোকেরা কেউ তাকে কিছু দিল না। তখন এক ব্যক্তি কিছু দিল আর তার দেখাদেখি সবাই তাকে দিতে শুরু করলো। তখন নবী (সা) ইরশাদ করেন- যে ব্যক্তি কোন ভাল কাজের সূচনা করে অতঃপর তার অনুসরণ করা হয়, তবে তার ঐ কাজের প্রতিদান সে পাবে আর যারা সে কাজের অনুসরণ করবে তাদের সমপরিমাণ প্রতিদানও সে পাবে অথচ তাদের সওয়াবও হ্রাস করা হবে না। আর যে ব্যক্তি কোন মন্দ কাজের প্রচলন করে যার অনুসরণন করা হয়, তখন ঐ গুনাহ তার উপর বর্তাবে। আর যারা তার অনুসরণ করবে তাদের গুনাহও তার উপর বর্তাবে অথচ অনুসরণকারীদেরে গুনাহও কম করা হবে না।-হাসান সহিহ
আহমদ ও হাকীম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
হাদীস ৫০ (৯৭)
وَعَن ابْن مَسْعُود رَضِي الله عَنهُ أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ لَيْسَ من نفس تقتل ظلما إِلَّا كَانَ على ابْن آدم الأول كفل من دَمهَا لِأَنَّهُ أول من سنّ الْقَتْل. رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَالتِّرْمِذِيّ
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন- পৃথিবীতে এমন কোন অন্যায় হত্যা সংঘটিত হয় না, যার গুনাহর কিছু অংশ হযরত আদম (আ) এর প্রথম সন্তানের (কাবিলের) ভাগে না যায়। কেননা সে-ই প্রথম হত্যার সূচনা করে।–সহিহ
বুখারী মুসলিম ও তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
হাদীস ৫১ (-)
وَعَن وَاثِلَة بن الْأَسْقَع رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من سنّ سنة حَسَنَة فَلهُ أجرهَا مَا عمل بهَا فِي حَيَاته وَبعد مماته حَتَّى تتْرك وَمن سنّ سنة سَيِّئَة فَعَلَيهِ إثمها حَتَّى تتْرك وَمن مَاتَ مرابطا جرى عَلَيْهِ عمل المرابط حَتَّى يبْعَث يَوْم الْقِيَامَة
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير بِإِسْنَاد لَا بَأْس بِهِ
হযরত ওয়াসিলা ইবনে আসকা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন- যে ব্যক্তি কোন ভাল কাজের প্রচলন করবে তবে তার প্রতিদান মিলবে যত লোক তার জীবদ্দশায় অথবা মৃত্যুর তার অনুসরণ করবে, যে পর্যন্ত না তা পরিত্যাগ করা হবে। আর যে ব্যক্তি মন্দ কাজের প্রচলন করবে তার গুনাহ তার উপর বর্তাবে, যে পর্যন্ত না তা পরিত্যাগ করা হবে। আর যে ব্যক্তি সীমান্ত পাহাড়া দেয়া অবস্থায় মরা যাবে, তাহলে তার পাহারা দেয়ার আমল জারি থাকবে, যে পর্যন্ত না সে কিয়ামতের দিন জীবিত হবে।–হাসান সহিহ
হাদীসটি তাবরানী তার কাবীরে নির্দোষ সনদে বর্ণনা করেছেন।
হাদীস ৫২ (৯৮)
وَعَن سهل بن سعد رَضِي الله عَنْهُمَا أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ إِن هَذَا الْخَيْر خَزَائِن ولتلك الخزائن مَفَاتِيح فطوبى لعبد جعله الله عز وَجل مفتاحا للخير مغلاقا للشر وويل لعبد جعله الله مفتاحا للشر مغلاقا للخير
رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَاللَّفْظ لَهُ وَابْن أبي عَاصِم وَفِي سَنَده لين وَهُوَ فِي التِّرْمِذِيّ بِقصَّة
হযরত সাহল বিন সাদ বর্ণনা করেন। রাসূলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন- নিশ্চয়ই এই কল্যাণ হলো খাযানাহ স্বরুপ। আর এই কল্যাণের চাবীও রয়েছে। ঐ বান্দার জন্য সুসংবাদ যাকে আল্লাহ তাআলা কল্যাণের খাযানাহর চাবীস্বরুপ (কল্যাণ উন্মোচনকারী) করেছেন এবং মন্দের জন্য তালা বানিয়েছেন। আর ঐ ব্যক্তির জন্য ধ্বংস যাকে আল্লাহ মন্দ কাজের জন্য চাবি (মন্দ কাজের উন্মোচনকারী) বানিয়েছেন আর ভাল কাজের জন্য তালা বানিয়েছেন।-হাসান লিগায়রিহী
ইবনে মাজাহ হাদীসটি নিজ শব্দে বর্ণনা করেছেন